মিশন বাইরের খাবার

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার সবাইকে।কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন।আমি মাঝখানে কিছু দিন অসুস্থ থাকার পর এখন অনেকটা সুস্থ আছি।আগেও বলেছি অসুস্থ হলে বোঝা যায় যে সুস্থ থাকাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
8152650d6651f01577e48134cd064123.0.jpg
যাই হোক অসুস্থ থাকার কারণে খাবার-দাবারের মেনু তে অনেকটা পরিবর্তন আনতে হয়েছিল।কম তেল মশলাযুক্ত খাবার গুলো স্বাস্থ্যসম্মত হলে ও বেশি দিন সেগুলো খেতে পারছিলাম না।বেশি ভালো আবার ভেজাল পেটেে সয় না।
আর তাই ছুতো খুজছিলাম যে কোন অজুহাতে বাইরের খাবার খাওয়া যায়।আমার ইচ্ছে পূরণের জন্য হয়তো হুট করে বাড়িতে অতিথি এসে হাজির।আমার ছোট দাদা,ছোট বৌদি,বড় বৌদির মেয়ে, বড় বৌদির মা,তার বোন সবাই এসেছিল আমাদের বাড়িতে ঘুরতে। এরা সবাই আমার মার দিকের আত্মীয়।আমার বড় মাশির ছেলে,ছেলে বৌ।
9360d59575c739b1e39d9c7a1ff8348d.0.jpg

ca6be25640479d6237c23a4145848db3.0.jpg
অনেক দিন পর তারা আসাতে মা অবশ্য বাড়িতে ও জম্পেশ আয়োজন করেছিল।কিন্তু আমার মন পরে ছিল বাইরের খাবারের দিকে।দাদা কে বললাম চল বাড়ির পাশেই একটা রেস্টুরেন্ট দিয়েছে।সব্বাই মিলে একটু ঢুঁ মেরে আসি।দাদা ও রাজি হয়ে গেল।আর তাই সবাই মিলে চলে গেলাম রেস্টুরেন্ট টিতে। পরিবেশ বেশ ভালোই ছিল,বেশ ছিমছাম।
খাবার মেনু তে আমরা ওর্ডার করে ছিলাম স্পেশাল চাউমিন,পাস্তা আর কফি।
খাবারের পরিমাণ দেখে ও আমরা বেশ খুশি হয়ে ছিলাম।খাবার ওর্ডার করে আমরা কিছু ফটো সেশন ও করে ফেললাম।আর আমার ছোট্ট কুহু বুড়ী তো বাইরে গেলেই বড্ড খুশি।সব মিলিয়ে বেশ আনন্দই হলো।আর আমার মনের ইচ্ছে টাও পুরণ হলো।
খাওয়া দাওয়া র পর্ব মিটিয়ে আমরা আবার বাড়িতে ফিরে এলাম।আজ এই পর্যন্ত ই লিখছি।ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
a1babc3e47514a0599d3f95158769725.0.jpg

03c6bf282536b7d856594e1df042ff82.0.jpg

Sort:  
 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন ভেজাল পেটে আবার ভালো খাবার গুলো সহ্য হয় না, 🤣🤣।আর আমার কাছেও মাঝে মাঝে এরকম খাবারের স্বাদ বদলাতে ভালো লাগে। তাইতো গতকাল সন্ধ্যাবেলায় আমরা নিজেদের ঘরে পার্টি করলাম। তবে সবাই বাইরে যায়নি এই ঠান্ডার মধ্যে কিন্তু ঘরে গ্রিল, পরোটা, সালাদ,কোক সবকিছু নিয়ে এসেছে। সবাই মিলেমিশে আনন্দ করে খেয়েছি। পিচ্চি মেয়েটা বেশ কিউট দেখতে🥰।

 2 years ago 

আমার মনে হয় সবাই মিলে কোথাও একএ হলেই মজাটা যেন চার গুণ বেশি হয়ে যায়। আর হ্যা শীত টাও ভালোই জেকে বসছে।এসময় টা বাড়ি তে থাকা টাই ভালো। আর ঘরে বসেই যেহেতু বাইরের খাবারের স্বাদ নেওয়া যায় এই ঠান্ডায় আর কি লাগে।পিচ্চি টা আমার মেয়ে আপু।