লাইফ স্টাইল :- দই চিড়া খাওয়ার মুহূর্ত
ABB 28 ডিসেম্বর ২০২৪ ✅
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
মাঝে মাঝে এমন কিছু মুহূর্ত থাকে যেগুলো অনেক ভালোলাগা কাজ করে। বিশেষ করে যখন ইউনিট কোন কিছু খেতে পারি। ইতিমধ্যে আপনারা সবাই জানেন আমি ভোজন প্রিয়সী মানুষ। যখন যে কোথাও গেলে ভালো কিছু মনের মত ইউনিক খাবার খেতে খুবই পছন্দ করি। কিছুদিন আগে আমরা গিয়েছিলাম নোয়াখালী। নোয়াখালী ঘোরাঘুরি করার পর হঠাৎ করে আমার একজন বড় ভাইয়ের বাসায় যাই।
নোয়াখালী যাওয়ার সময় নিবলু ভাইয়া সহ আমরা গিয়েছিলাম। আমাদের কিছু পার্সোনাল কাজ করার পর হঠাৎ করে একজন বড় ভাইয়ের বাসায় যাই। সেখানে তার সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। আড্ডা দেওয়ার পর ডিজাইন দোকানটার মধ্যে গেলাম। সেখানে বসেও কিছুক্ষণ আমরা কথা বললাম। এরপর হঠাৎ করেই মারুফ ভাই বলল চলেন কিছু খেয়ে আসি।
খাওয়ার কথা বললে কি আর না যাওয়া যায় 😋। সঙ্গে সঙ্গে আমি রাজি হয়ে গেলাম। নিবলু ভাইয়া সহ আমরা খেতে চলে গেলাম। যাওয়ার সময় ভাবতেছি কি খাব। তখন মারুফ ভাইকে বললাম কি খাওয়াবেন আজকে। তখন সে বলল কি খেতে চান। যা কিছু খাবেন সবকিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করব। তাকে বললাম আমি তো মোটা মানুষ বেশি কিছু খাওয়া যাবেনা 😆। তিনি হেসে হেসে হাঁটতে লাগলো।
জিজ্ঞেস করল ভারি কিছু খাবো নাকি নরমাল। আমি বললাম জাস্ট নাস্তা করার মত কিছু একটা হলে হবে। ভারি খাওয়ারের মত এখন খাওয়ার অবস্থা তো নাই। একদম নরমাল কিছু খেতে হবে। যা খেলে জিহ্বা একটু স্বাদ গ্রহণ করবে। সে তখন আমাদের বলা চলে না এক জায়গায় যাই। তখন অনেকদূর হাঁটতে ছিলাম। কথা বলতে বলতে আমরা বসুরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী চলে গেলাম।
সেখান থেকে একটি দোকানের উদ্দেশ্যে গেল। প্রথমত দেখলাম দোকানটা বন্ধ আছে। সেখানে পাশে আরেকটি দোকান ছিল। সেখানে গেলাম আমরা দই চিড়া খাওয়ার জন্য। দই চিড়া কথা শুনে আমার খুবই ভালো লাগলো। কারণ দীর্ঘদিনের মধ্যে এ খাবারটি খাওয়া হয় নাই। ছেলেও অনেক আগে খেয়েছিলাম। এক বছর পর বা দুই বছর পর যদি কোন খাবার হঠাৎ করে খেতে পারি তখন ভীষণ ভালো লাগে। শুনে আমার ভালো লাগা কাজ করলো।
যখন সামনে আসলো খাবার তখন প্রথমে বসে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। খাবারের ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। দই চিড়া এত বেশি মজার ছিল যেন মনে হচ্ছে এখনো লেগে আছে। স্বাদ অনেক বেশি ভালো ছিল। যখন কোন কিছু ভালো লাগে তখন খেতে খুবই ভালো লাগে। এতে শুধু আমার না সবারই একই অবস্থা। তাইতো যখন তখন বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল এই মুহূর্তটা। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | Lifestyle |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে দই চিড়া খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। আসলে আমিও সকালবেলায় এই রেসিপি মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি। আসলে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী রেসিপি এটা। এভাবে যদি বাড়ির সকলে মিলে একসাথে খাওয়া যায় সত্যি বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে এরকম খাবার সবাই একসাথে খেতে অনেক ভালো লাগে
https://x.com/NARocky4/status/1872635580603158963?t=kwsqRTUsNdBvB59ezJEouA&s=19
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাঝে মাঝে কিছু মুহূর্ত স্মৃতি হয়ে থাকে। আর সেই সুন্দর মুহূর্তগুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সবাই মিলে দই চিড়া খেতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। খাবারটি দেখতে কিন্তু খুবই লোভনীয় লাগছে।
খাবারটা আসলেই অনেক লোভনীয় ছিল।
বেশ দারুণ একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই দই চিড়া খাওয়ার মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে প্রত্যেকদিন সকালে নাস্তা হিসেবে চিড়া টাকে আমি বেশি পছন্দ করি।
খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে ভালো লেগেছে।
আপনার দই চিড়া খাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া প্রিয় খাবার গুলো খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনি বড় ভাইদের সাথে বেশ মজার খাবার খেয়েছেন।ইস আগে জানলে অবশ্যই চলে যেতাম হা হা হা। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দই চিড়া খাওয়ার অনুভূতিটা পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
ভাইয়া আপনি দই চিড়া খাওয়ার সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সবাই মিলে একসাথে দই চিড়া খেতে গিয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।দই চিড়া খাবারটি কিন্তু অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। আপনার কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত পোস্ট আকারে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও খুব ভালো লেগেছিল।
দই চিড়া বেশ পুষ্টিকর খাবার। ঢাকায় অনেক জায়গাতেই দই চিড়া বিক্রি হয়। আপনি বড় ভাইদের সাথে বেড়াতে গিয়ে দই চিড়া খেয়েছেন বেশ তৃপ্তিকরে। এবং তার স্বাদও বেশ ভালই ছিল যা আপনি এখনও ভুলতে পারছেন না। মাঝে এমন কিছু খাবারের স্বাদ সহজেই ভোলা যায় না।অনেক দিন পর্যন্ত মনে থাকে। দই চিড়া খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ এটা অনেক পুষ্টিকর একটা খাবার। খেতেও খুব দুর্দান্ত।
খাওয়া-দাওয়ার পোস্ট দেখলে এমনিতে জিভে জল এসে যায়। আপনি দেখতেছি বড় ভাইয়ের বাসায় গিয়ে ভালোই আড্ডা দিলেন। আর মারুফ ভাই বলার সাথে সাথে হালকা নাস্তা খেতে গেলেন। তবে দেখতেছি আপনারা খুব মজা করে দই চিড়া খেলেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট এই জায়গাতে নাস্তাগুলো মনে হয় ভালো। যাইহোক আপনাদের দই চিড়া খাওয়ার মুহূর্ত পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো।
এটা খেতে এতটা সুস্বাদু হয়েছে যে স্বাদ ভুলতে পারছি না।
সময় টা একসঙ্গে আপনাদের বেশ দারুণ কেটেছে বলতেই হয়। দই চিড়া নাকী অনেকের বেশ পছন্দের। কিন্তু সত্যি বলতে আমার খুব একটা ভালো লাগে না এইটা। তবে আমি খেয়েছি বেশ কয়েকবার। বেশ দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা।।
সময়টা একসঙ্গে সত্যি ভালো কেটেছিল।