ভূমিকম্প সম্পর্কে যা জানা দরকার পার্ট (১)
হ্যালো বন্ধুরা শুভরাত্রি আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি অনেক ভাল আছেন আজকে আমি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে ভূমিকম্প।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকম্প দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে ছোট বড় ভূমিকম্প। আমরা জানি তুরিস্কে ভূমিকম্পে প্রায় কত হাজার হাজার মানুষ নিহিত হয়েছে। তাই এই ভূমিকম্প সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানা অবশ্যই দরকার। তাই আজকে আমি এই ভূমিকম্প সম্বন্ধে আপনাদেরকে যতটুকু সম্ভব সচেতন করার চেষ্টা করবো। আশা করি আপনার পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
- বাংলাদেশের ভূমিকম্পের কারণে বড় বিপর্যয়ের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি যদিও নেই তারপরে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে তীব্র মাঝারি ভূমিকম্পের সম্মুখীন। বাংলাদেশের বিশ্ব অন্যতম ভূমিকম্প বলয়ে অবস্থিত। ইন্দু বার্মা হিমালয় প্লেটের প্রতিনিয়ত সরণ ও অঞ্চলের ভূমিকম্প হওয়ার কারন। তাছাড়া ভূগর্ভের জ্বালানি উত্তোলন পরমাণু বিস্ফোরণ ও বিকিরণের চাপ ভূপৃষ্ঠ পাহাড় টিলা ধ্বংস করার কারণে ঝুঁকির পরিমাণ প্রতিদিন বাড়ছে।
ভূমিকম্পের বলয় হিমালয়ের অত্যন্ত সক্রিয় এবং এখানে সক্রিয় থাকায় বাংলাদেশের ভূমিকম্প এলাকার হিসেবে গণ্য ঢাকা-চট্টগ্রাম সিলেটকে ভূকম্পনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
- বাংলাদেশের প্রকৌশলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গত পাঁচ বছর প্রায় শতাধিক মাঝারি ভূ-কম্পন রেকর্ড করেছে দিন দিন এর সংখ্যা বেড়ে চলেছে বিশেষ করে অল্প সময়ের মধ্যে এতবার ভূমিকম্প হওয়ার ঘটনাকে দেশের জন্য সংকেত বলে আশঙ্কা করছেন।
ভূকম্পন এমন একটি দুর্যোগ যার আগমনের আভাস পাওয়া যায় না। মূহুর্তের মধ্যে একটি শহর বা জনপদের ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। ব্যাপক সম্পদখানি ছাড়াও অগণিত মানুষের তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয়। সুতরাং ভূমিকম্প প্রস্তুতির ব্যাপারে আমাদের আন্তরিক ও বিশেষ যত্নবান হতে হবে।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে পরিবারের সদস্য ও কর্মক্ষেত্রের সহকারীদের সচেতন করা।কোথায় ও কিভাবে নিরাপত্তলে আশ্রয় নিতে হবে তা আগে থেকে চিহ্নিত করে রাখা।
বাড়ির গ্যাস বিদ্যুৎ এর মূল সংযোগ কোথায় অবস্থিত তা পরিবার সদস্যদের জানিয়ে রাখা এবং জরুরি অবস্থায় কে এবং কিভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে তা আগেই ঠিক করে রাখা।
অগ্নি নির্বাপন উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ধারণা গ্রহণ করা।
শিশু কিশোরদের ভূমিকম্পে করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং বছরে একাধিকবার মহড়া দেওয়া।
কে প্রতিষ্ঠান অফিস আদালত শিল্প কারখানা মার্কেট হাসপাতাল হোটেল এবং অন্যান্য কর্মস্থলে দুর্যোগকালীন সময় জরুরী নির্গমন পথ আগে থেকে প্রস্তুত এবং বড় আকারে লিখে রাখা।
ভবনের প্রতি তলায় অগ্নি নির্বাপন ফায়ার এক্সিকিউ উন্মুক্ত নিরাপদ স্থল সংরক্ষণ করা এবং ব্যবহারিত পদ্ধতি সকলকে শিখিয়ে রাখা।
ভবনের ভেতরে ঝুলন্ত বস্তু আলমারি গুলোকে শক্তভাবে দেওয়ালের সাথে লাগাতে হবে যাতে ভূমিকম্পের সময় শরীরে উপরে এসে না পড়ে।
আবাসিক গ্রহণ ও প্রতিষ্ঠানে হালকা উদ্ধার সরঞ্জাম ও প্রাথমিক চিকিৎসার বক্স নিরাপদ স্থানের রাখা ও নিয়মিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা।
পাড়ায় পাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে তাদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা এবং সন্ধান ও উদ্ধার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
ইমারত নির্মাণ আইন সহ ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মেনে চলা
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট টা পড়ে ভালো লাগল আপনি ভূমিকম্প সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন যেমন কিভাবে ভূমিকম্প হয় এবং ভূমিকম্পের ক্ষতি হতে কিভাবে বাচা যায় এ বিষয়ে বিভিন্ন করনীয় বর্ণনা করেছেন যা জেনে সবার অনেক উপকার হবে। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
ভূমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার কোন পূর্বাভাস নেই। যে কোন মুহূর্তে এটি করতে পারে এবং যে কোন মুহূর্তে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। তাই ভূমিকম্প সম্বন্ধে আমাদের আগে থেকে সতর্ক থাকা এবং তার করণীয় সম্বন্ধে জানা গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য। সেই সাথে পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।