দিদি বাড়ি ঘুরতে যাওয়া। পর্ব-১
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
অনেকদিন ধরেই মনে মনে আশা ছিল দিদির বাড়িতে একদিন ঘুরতে যাব। দিদি আর আমি অনেক কিছু পরিকল্পনা করেছিলাম যে আমরা যেদিন দিদি বাড়ি যাব সেদিন কি কি করব। কিন্তু আমার বর মশাই এর ছুটি না হওয়ার কারণে যাওয়া হচ্ছিল না। আসলে একদিনের ছুটিতে কোথাও যাওয়া যায় না, যেতে আসতেই সময় অনেক নষ্ট হয়ে যায়, দুই তিন দিন ছুটি পেলে তবেই দিদি বাড়ি গিয়ে মজা হয়। কয়েক মাসের পরিকল্পনার পর হঠাৎ করে একদিন বর মশাই এসে বলল দুইদিন ছুটি পেয়েছে এবার গিয়ে দিদির বাড়ি ঘুরে আসা যাবে। আমরাও সেই মতো পরিকল্পনা করে নিলাম যে, যেদিন ছুটি পড়ছে তার আগের রাতে বাড়ি ফিরেই ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাব দিদি বাড়ি। আমার জামাইবাবু কে বলায় সে বলল রাতে তার সাথেই গাড়িতে করে বাড়ি ফিরতে। তাই আমার বর ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর আমরা তৈরি হয়ে নিলাম দিদি বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। জামাইবাবুও চলে আসলো আমাদের নিয়ে যেতে। আমরা গাড়িতে করে জামাইবাবুর সাথে গল্প করতে করতে পৌঁছে গেলাম দিদি বাড়িতে। দিদি বাড়ি ঢুকেই দেখতে পেলাম দিদির ছেলের মুখে আনন্দের হাসি।
সে তার মাসি এবং মেসোর দেখা পেয়েছে অনেকদিন পর। তবে সে তার মেসোকে পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছে। আসলে আমার দিদির ছেলে আমার বরকে অনেক বেশি ভালোবাসে। যখনই দিদি ফোন করে তখনই দিদির ছেলে আমার বরের সাথেই কথা বলতে চায় এবং কথা বলতে দিলে অনেকক্ষণ ধরে ফোনে থেকেই দুজনে খেলা করে। আর দিদিকে ফোন দিতে চায় না। আমরা কিছুক্ষণ ছেলের সাথে খেলা করে একে একে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ পর দিদির তৈরি করা পায়েস খেতে লাগলাম কারণ আমাদের রাতের খাবার খেতে অনেক দেরি হবে। আসলে দিদি সবসময় আগে দিদির ছেলেকে খাবার খাইয়ে ঘুমপাড়িয়ে নেয় তারপর আমরা খেতে বসি। ছেলেমানুষ এমনি একটু দুরন্ত হয় তারপর দিদির ছেলে অনেক বেশি দুষ্টু প্রকৃতির তাই ওকে নিয়ে যদি একসাথে খেতে বসি তাহলে না ও শান্তিতে খাবে না আমাদের শান্তি করে খেতে দেবে। সেজন্য সবসময় আমরা দিদির ছেলেকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে তারপরেই গল্প করতে করতে খাওয়া-দাওয়া করি। ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে তারপর দিদি খাবার গরম করতে লাগলো। এবং আমাদের জন্য একটা স্পেশাল কাবাব তৈরি করছিল।
আসলে আমি আর আমার দিদি দুজনে একটু চেষ্টা করি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার, আর দুজনেই যেহেতু একটু ওজন বাড়িয়ে ফেলেছি তাই রাতে একটু কম খাওয়ারই চেষ্টা করি। আর ভাতটাকে যতটা সম্ভব অনেক কম খাওয়ার চেষ্টা করি। আর রাতে আমরা ভাতের পরিবর্তে অন্য কিছু খাওয়ার চেষ্টা করি। সেই মতো স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার দিদি করেছিল যা আমাদের অনেক বেশি পছন্দ হয়। আজকে রাতের ডিনারে আমাদের ছিল সুইট কর্ন, কাবাব, সালাদ, বাড়িতে তৈরি করা টমেটো সস এবং মিয়োনিজ। আমার দিদি যতটা সম্ভব হয় বাড়িতেই সবকিছু খাবার তৈরি করার চেষ্টা করে কারণ বাইরের খাবারে প্রায়ই সব কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয়। দিদির তৈরি করা খাবার অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল এবং ঘরে তৈরি করা টমেটো সস ও খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আমরা গল্প করতে করতে রাতের খাবার খেতে লাগলাম। এমন সময় দিদির ছেলে ঘুম থেকে উঠে কেঁদে উঠলো। আসলে ঘুমের মধ্যে মা-বাবাকে পাশে না পেয়ে ওর ঘুম ভেঙ্গে গেছে। দিদি ছেলেকে আবার গিয়ে ঘুম পাড়িয়ে এসে আবার আমাদের সাথে আড্ডায় অংশগ্রহণ করল। আমরা বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের রাতের খাবার সম্পন্ন করলাম। অনেক বেশি রাত হয়ে গেছিল তাই আমরা আর দেরি না করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।









