ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের দুর্ভাবনা

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো খোলা আছে তারাও দু'চার দিনের ভেতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ঈদের দু একদিন আগে থেকে বেশিরভাগ সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাবে। আর এই ছুটিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যায়। বিশেষ করে যারা জীবিকার তাগিদে গ্রাম থেকে শহরে থাকছেন তারা। গ্রামের মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে শহরে এলেও তার মনটা পড়ে থাকে সেই গ্রামেই। সেই কারণেই দুই ঈদের সময় শহরগুলোকে সম্পূর্ণ ভিন্ন চেহারায় দেখা যায়। যে ঢাকা শহর বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর গুলোর ভেতরে একটি। সেই শহরকেই অনেকটা ফাঁকা মনে হয়। কারন মানুষজন সব নাড়ির টানে বাড়িতে ফিরে যায়। যদিও কিছু মানুষ যাতায়াতের সমস্যার কথা চিন্তা করে ঢাকা শহরে থেকে যায়। তবে এই সময়টাতে ঢাকা শহরে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চুরি ডাকাতি সংঘটিত হয়। মানুষজন না থাকার সুযোগে চোর ডাকাতেরা তৎপর হয়ে ওঠে। তাই প্রতিবছরই দেখা যায় ঈদের ছুটিতে ঢাকায় প্রচুর চুরি ডাকাতি ছিনতাই এগুলো হয়।

IMG_20240325_002451.jpg

এ সমস্ত সমস্যার জন্য অনেকে বাড়িতে যাওয়া ইতোমধ্যে বাদ দিয়ে দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিবছরই সতর্কতামূলক নির্দেশনাবলী প্রদান করা হয়। তবে আমার মনে হয় বাড়ির মালিকদের এই ব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া দরকার। আর যখন কোন মানুষ তার বাসাটা তালা দিয়ে কয়েক দিনের জন্য অন্য কোথাও চলে যাবে। তখন তার উচিত সাথে করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া। তা না হলে সেই সময় চুরি ডাকাতি হলে মানুষের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। আসলে এই সমস্যাটা এমনই জটিল এখানে করার খুব বেশি কিছু নেই। কারণ আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনীর অবস্থা আমরা সকলেই জানি। একে তো তারা খুব একটা তৎপর না। সেই সাথে আবার রয়েছে তাদের জনবল ঘাটতি। সবমিলিয়ে তারা নাগরিকদের তেমন কোনো সুরক্ষা দিতে পারে না।


এই কারণে যেটা করা যেতে পারে যার যার বাসা তার তার নিজের নজরদারিতে রাখার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে। সেই সাথে এখন অনেক ডিভাইস তৈরি হয়েছে যেগুলো আপনার বাসায় অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ প্রবেশ করলে আপনাকে সিগনাল পাঠাবে। অনলাইনে একটু খুঁজলেই এই ধরনের প্রচুর ডিভাইস দেখা যায়। অবশ্য এগুলোর কার্যকারিতা কেমন সেটা নিয়ে আমার মনে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। তার পরেও এই সমস্ত সতর্কতামূলক গ্রহণ করা ছাড়া আপাতত আমাদের আর তেমন কিছু করার নেই। আশা করি এই ঈদে সবাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি গিয়ে তাদের ঈদটা উপভোগ করতে পারবে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Sort:  
 23 days ago 

বাড়ির লোক গুলো যখন বাড়ি খালি করে ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়িতে যায় তখনই একশ্রেণীর লোকজন আছে তারা এই সুবিধাটা ভোগ করে। তবে হ্যাঁ এই চুরি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বাড়িতে আধুনিক ডিভাইস লাগানো যেতে পারে যেটার মাধ্যমে আপনি যেকোনো জায়গা থেকেই বিস্তারিত সবকিছু দেখতে পারবেন। আইডিয়াটা কিন্তু খুবই ভালো, যে কেউ এপ্লাই করতে পারেন।

 17 days ago 

যারা চুরি ডাকাতি করে, তারা সারাবছর ঈদের ছুটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে। তাই পুলিশের উপর ভরসা না করে, নিজের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি অবশ্যই সবার লাগানো উচিত। তাছাড়া এখন বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস বের হয়েছে দরজায় লাগানোর জন্য। সেদিন একটি ডিভাইস দেখলাম ২৫ হাজার টাকা দাম এবং পুরোপুরি নিরাপত্তা দিবে। যদিও জানালার গ্রিল কেটে যদি চোর ডাকাত ঢুকে,তখন সেই ডিভাইস কোনো কাজে দিবে না। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67640.77
ETH 3784.66
USDT 1.00
SBD 3.65