ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের কথা
আমরা সকলেই জানি স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণের প্রধান শিষ্যদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম। ভগবান শ্রী রামকৃষ্ণ স্বামীজি কে তার সঙ্খের সঙ্ঘ নেতা হিসেবে নির্বাচন করে গিয়েছিলেন তার জীবন। এবং তিনি স্বামীজীর কাছে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন যে, স্বামীজী তাকে যেখানে নিয়ে গিয়ে রাখবেন সেখানেই তিনি থাকবেন ,যা দেবেন তাই তিনি খাবেন।
বেলুড় মঠের পুরনো মন্দির যেটি স্বামী বিবেকানন্দ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত
স্বামী বিবেকানন্দ ও ভগবান শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের সম্পর্কের মধ্যে ছিল এক আত্মিক বোধ। তাইতো স্বামীজি প্রথম যখন ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি তাকে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন ভগবান শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ ঈশ্বর কে দেখেছেন কিনা? এবং তার উত্তরে ভগবান শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছিলেন তিনি শুধু ঈশ্বরকে দেখেননি। তিনি স্বামীজীর থেকেও আরও বেশি স্পষ্টভাবে ঈশ্বরকে দেখেছেন এবং তার সাথে তিনি সর্বদাই কথাও বলতে পারেন। ঠাকুরের কাছে এই ঈশ্বর ছিলেন স্বয়ং মা ভবতারিণী। যাকে তিনি মাতৃরূপে কন্যা রূপে পূজা করেছেন ।
বেলুড় মঠে স্বামীজীর গৃহ
ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের জীবন এতই সহজ ও সরল ছিল যে তার সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করতো। ব্রহ্মসমাজের নেতা কেশব চন্দ্র সেন যখন ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। তিনিও ব্রহ্মই পরম পিতা অর্থাৎ পুরুষ তাছাড়া সবই মিথ্যা কল্পনাতীত, এই বলে ঠাকুরের সঙ্গে তর্ক করেন তার পরিপ্রেক্ষিতে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছিলেন ব্রহ্মই পরম পিতা অর্থাৎ পুরুষ কিন্তু পুরুষ কখনোই সৃষ্টি করতে পারে না সৃষ্টি করতে প্রয়োজন হয় প্রকৃতির এবং সেই প্রকৃতি হল স্বয়ং মা মহামায়া। এ এবং সেই মা মহামায়া ইচ্ছা ছাড়া কেউ এই মায়ার জগত ছিন্ন করে ব্রহ্ম কে লাভ করতে পারেনা।
তিনি বলেছিলেন ব্রহ্ম জ্ঞান কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। যার ব্রহ্ম জ্ঞান হয়েছে সেই শুধু বোঝে ব্রহ্ম কি?
এবং এটি বোঝাতে গিয়ে তিনি খুব সুন্দর একটি উপমা দিয়েছিলেন উপমা টি এইরকম একটি নুনের পুতুল সমুদ্রের জলে নুনের গভীরতা মাপতে গিয়েছে সে আর ফিরলো না অর্থাৎ নুনের পুতুল সমুদ্রে গিয়ে সমুদ্রের জলে মিশে গিয়েছে। ঠিক যেরকম ব্রহ্ম জ্ঞানী ব্রহ্ম জ্ঞান হলে সে ব্রহ্মের লীন হয়ে যায় তার আর এই জগতের জ্ঞান থাকে না সবেতেই তিনি ব্রহ্ম দর্শন করেন।
কেশব চন্দ্র সেন ব্রহ্ম সমাজের বিশিষ্ট একজন ব্রহ্ম বাদী ছিলেন যিনি ব্রহ্মের প্রচার করতেন এবং প্রথমে স্বামীজি ও ব্রহ্ম সমাজে যাওয়া আসা করতেন কিন্তু ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের সাথে তার সাক্ষাত হওয়ার পর তিনি ব্রহ্ম সমাজে যাওয়া ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেন এবং তার আধ্যাত্মিক জীবনে উপলব্ধি অনুভব করার জন্য বা ঈশ্বর উপলব্ধি করার জন্য ভগবান শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের শরণাগত হন। স্বামীজির মতো ব্যক্তিত্ব যিনি চোখে না দেখে কোন কিছুকেই বিশ্বাস করতেন না তিনি পরবর্তী সময়ে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণকে অবতার বরিষ্ঠায় বলে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের স্তব লিখেছেন।


আপনার পোস্টে আপনি শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আসলে আপনাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমার তেমন একটা ধারণা নেই তবে আপনার পোস্ট করে যতটুকু বুঝতে পারলাম উনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন দোয়া করি পরকালে উনি ভালো থাকুক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ উনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য ভালো থাকবেন।