মগজাস্ত্রে জিভ সাধনা(১০% @shy-fox এর জন্য)
তারিখ-২৪.১১.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। এই সপ্তাহে ভাইয়ের (মাসির ছেলে) শারিরীক অসুস্থতার কারণে খুবই ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। কাল সকাল পর্যন্ত এটা চলবে। কাল দুপুরে ওরা চলে গেলে আমি আবার একটু ফাঁকা হয়ে যাব।আজ তাই একটা রেস্তোরাঁর খাবারের রিভিউ পোস্ট নিয়ে এলাম।কারণ আজ সেই ভাবে আমি সৃজনশীল কার্যকলাপ করে উঠতে পারি নি। বাড়িতে অনেক আত্মীয়স্বজন থাকলে যা হয় আর কি। যে খাবারটা রিভিউ আমি আজকে করব সেটা আমি গত সপ্তাহে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড শর্মিষ্ঠার সাথে গিয়ে খেয়েছিলাম। দেখুন আমার কাছে রেস্টুরেন্টে খাওয়া মানে আমি বাড়ি থেকে মোটামুটি ভাবে যাই এইবার অন্তত অন্য কিছু খাবো। কিন্তু ভাবলে কি হবে বন্ধু গিয়ে তো চোখটা সেই বিরিয়ানিতেই আটকে যায়। যদিও এইবার আমি মোটামুটি মন থেকে স্থির করে গিয়েছিলাম যে এইবার পৃথিবী দুভাগ হয়ে গেলেও আমি বিরিয়ানি খাব না।কিন্তু ওই যে বলে, "তুমি যা খুশি ভাবো ভগবান তোমার জন্য যেটা ভেবে রেখেছে তোমাকে সেটাই করতে হবে।"
তো ঘটনাটা সূত্রপাত বলে আমি একদিন বসে আছি ঘরে, হঠাৎ করে শর্মিষ্ঠার মেসেজ আসে,"কিরে সিনেমা দেখতে যাবি?" আমার মত সিনেমা পোকা একজনকে কেউ সিনেমা দেখতে যাওয়ার কথা বললে সেই অফার কি আর ছেড়ে দেওয়া যায়? তা আমিও ভালো মানুষের মতনই বললাম হ্যাঁ যাবো কোন অসুবিধা নেই। তারপর আমি একা একাই ভাবলাম, "আমি তো শুধু সিনেমা পাগল নই আমি তো খাবার পাগল তাহলে যখন একটা আউটিং হচ্ছেই দুজনে মিলে তবে একটু খাওয়া দাওয়া কেন হবে না?"
আমি ওকে শুধু বললাম যে,"একটা শর্ত আছে কিন্তু আমার সিনেমা দেখতে যাওয়ার! "ও বলল, "কি শর্ত?"
আমি বললাম, "সিনেমা শুধু দেখলে হবে না,রেস্টুরেন্টেও যাব খাওয়া-দাওয়া করতে।" আমার সে বেস্ট ফ্রেন্ড। আশা করি এটুকু বুঝতে পারছেন যে এমনি এমনি তো কেউ বেস্ট ফ্রেন্ড হয় না। নিশ্চয়ই তার পছন্দটাও আমার মতনই। সুতরাং সে আর মানা করল না। সে হয়তো মনে মনে এটাই চাইছিল।
অবশেষে দিন দেখে আমরা ঠিক করলাম একটা একটু পুরনো মুভি 'কান্তারা',যেটা সেপ্টেম্বরে রিলিজ করেছিল,সেটাই দেখতে যাব।আর তারপরে বেরিয়ে কোন রেস্টুরেন্টে খাবো।সময় মত যথারীতি বেরিয়ে গেলাম।সিনেমাটাও বেশ ভালো দেখলাম। (যার রিভিউ পরে আসবে) আর তারপরে যখন সিনেমা দেখা হল, পেটে তো শুধু খরগোশ ছুঁচো নয় বরং বাঘ সিংহ সব দৌড়াচ্ছিল।
তো দুজনে মিলে প্রথমে ঠিক করেছিলাম ঢাকেশ্বরী রেস্তোরাঁতে যাব।কিন্তু তারপরে ভাবলাম যে ঢাকেশ্বরীতে খেয়েছি পুজোর সময়। তাহলে অনেকদিন মগজাস্ত্রে যাওয়া হচ্ছে না, তাহলে মগজাস্ত্রে যাওয়া যাক!শর্মিষ্ঠাও এক কথায় রাজি হয়ে গেল যে হ্যাঁ, অনেক দিনই মগজাস্ট্রে যাওয়া হয় না।ব্যাস টোটো তে করে পৌঁছে গেলাম মগজাস্ত্র।
মগজাস্ত্র রেস্টুরেন্টের ব্যাপারে কিছু কথা বলে রাখি।মগজাস্ত্র হলো এমন একটা রেস্টুরেন্ট যেটাকে সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি আপনারা বিশ্বাস করবেন না, ওখানকার যে ফ্রি ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড টা, সেটা জানার জন্য ফেলুদার গোয়েন্দাগিরির গল্প গুলো আপনাকে খুব ঠোটস্থ করে যেতে হবে।
আমি যে আউটলেটে গিয়েছিলাম সেটা এদের নতুন আউটলেট।পুরোনোটা দেখতে আরো অসাধারণ। আর সব রেস্টুরেন্টের মত আপনি এখানে ফ্রি ওয়াইফাই পাবেন যেমনটা আগে বললাম।কিন্তু এই ফ্রি ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড সেটা জানতে গেলে আপনাকে ফেলুদা পড়তে হবে ভালো করে।এই যেমন,"ঘূরঘটিয়ার ঘটনায় সিন্দুকের যে নম্বর সেটা কত ছিল?" এবার আপনি যদি ফেলুদা না পড়ে থাকেন, তাহলে তো আর আপনি সিন্দুকের নম্বর জানতে পারবেন না। তাহলে বরং আপনারা একটু সিন্দুকের নম্বরটা ভাবতে থাকুন। আমি বরং সব মিলিয়ে রিভিউটা করতে থাকি।
আসলে আমি এর আগে পুরনো অউটলেটে গিয়েছিলাম যেটা এই নতুন আউটলেটের ঠিক উপরের ফ্লোরে ই। তবে সেটাতে আপাতত কাজ চলছে, তাই আমাদের নিচের আউটলেটেই বসতে বলল। পুরোনো আউটলেট টা দেখতে খুবই সুন্দর। আর তেমন সাজানো। তবে নতুন আউটলেট টা করেছে একটু ছিমছাম।সুন্দর করে চারিদিকে ম্যান্ডেলার কাজ করা দেওয়ালে। আর ঠিক সেরকমই ফাংকি সব রং দিয়ে সত্যজিৎ রায়ের একটা বড় মত ছবি আঁকা। আর বসার জায়গাটা অনেকটা ত্রিকোণাকার। সকল স্টাফদের ব্যবহার বেশ ভালো। আর মালিকের ব্যবহার ও খুব ভালো। মালিক নিজে ফেলুদার ফ্যান বলেই এই রেস্টুরেন্ট তৈরি করেছেন আর সত্যজিৎ রায় ব্যক্তিগতভাবে মটন বিরিয়ানি এত ভালবাসতেন, তাকে ট্রিবিউট দেওয়ার জন্যই এই রেস্টুরেন্ট।
প্রথমে আমরা একটা ট্যাংরি কাবাব অর্ডার করলাম।আমার যদিও ইচ্ছা ছিল কোন মাছের স্টার্টার অর্ডার করবো।কিন্তু আমার বান্ধবীর কাবাব ধরনের কিছু স্টার্টার খাওয়ার ইচ্ছে ছিল। ভাবলাম বান্ধবীর বিয়ে হয়ে যাবে ওর কথাটাই রাখি। এরপর আমি বললাম, "চল আজকে একটু অন্য কিছু ট্রাই করা যাক।" ও দেখি চুপ করে আছে। আমি বললাম, "কি ব্যাপার? চুপ করে আছিস কেন?" ও বলল, "চল না! একটা বিরিয়ানি খাই।"
আমি ভাবলাম কি আর করব? এখানেও বিরিয়ানীই খাই তাহলে!"অর্ডার করে দিলাম মটন বিরিয়ানী আর দুটো কোল্ড ড্রিংকস।
কেমন লাগলো খাবার!
🍗কাবাব🍗
কাবাবটা দেখে তো উপর থেকে বেশ ভালো লাগছিল।মনে হচ্ছিল ওয়েল কুকড।হাফ প্লেট টেংরি কাবাবের দাম নিয়ে ছিল ২২০ টাকা। আমরা যা খাই তাতে আমাদের হাফ প্লেটই ঠিক ছিল। কারণ সেটা খাওয়ার পরে বিরিয়ানিটা পুরো খেতে পারিনি। এই ধরনের দাম হলে মোটামুটি সব রকম লোকই খেতে পারে রেস্টুরেন্টে। তাই দামের ব্যাপারে আমি বেশ খুশি ছিলাম।একটা বেশ বড় লেগ পিস দিয়েছিল আর একটা একটু ছোট লেগপিস। আমি ছবি তুলতে তুলতেই, বান্ধবী ছোট লেগপিসটা নিজের পাতে তুলে নিল। হয়তো ফরমালিটির জন্যই। আর তারপরেই আমি দেখলাম বড় পিসটা পড়ে আছে।আমি বললাম, "কিরে বড়টা আমার জন্য রাখলি কেন?" তোর বিয়ে হয়ে যাবে, তুই বড়টা খা!" কিন্তু ও ততক্ষণে ছোটটায় কামড় বসিয়ে দিয়েছে। অগত্যা আমার কোন দ্বিতীয় অপশন ছিল না।যাইহোক আমি যখন কাবাবে কামড় বসালাম,প্রথমে তো ভাবলাম ভালোই লাগছে! তারপরেই কাবাবের দিকে তাকিয়ে আমার চোক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল।"একি এত রক্ত কোথা থেকে আসছে?"
আমি ভাবলাম আমার মুখ কেটে গেছে।সাথে সাথে ফ্রন্ট ক্যামেরা অন করলাম।অন করে হা করে মুখের ভেতর চেক করলাম। দেখলাম, "না তো আমার তো মুখের ভেতর কোথাও কাটেনি।" তারপরে বুঝলাম পিসটা অনেকটা বড় হওয়াতে ভেতরটা ঠিকভাবে সেদ্ধই হয়নি। আর একটু সিদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন ছিল। সাথে সাথে একজন স্টাফকে ডাকলাম বললাম,"দাদা মাংসটা তো সেদ্ধই হয়নি ঠিকভাবে।"তখন উনি একটু লজ্জায় পেয়ে গেলেন, বললেন, "দিদি চেঞ্জ করে দেবো এটা?" আমি বললাম, "এখন আর চেঞ্জ করে কি হবে?থাক আমি আর এটা খাচ্ছি না।তবে পরের বার থেকে খেয়াল রাখবেন। এমনি ওভারঅল বেশ ভালো মসলা দিয়ে ম্যারিনেট করা হয়েছিল। আর মশলাটাও বেশ ভালোভাবেই ভাজা হয়েছিল। সুন্দর চারকোলের একটা গন্ধও আসছিল। কুচো করে রাখা স্যালাড এবং মিন্ট চাটনি সহকারে পরিবেশন করা হয়েছিল। কিন্তু হলে কি হয়? আসল জায়গাতেই তো গলদ।তাই ওভার অল আমার মোটেই ভালো লাগেনি কাবাব টা।
🍛বিরিয়ানি🍛
এরপরে আসি বিরিয়ানির ব্যাপারে।বিরিয়ানিটা বেশ মশলাদার ভালো ছিল খেতে। দু পিস করে মটন, একটা আলু আর একটা ডিম ছিলো প্লেটে। আর ছিলো স্যালাডে শশা এবং পেঁয়াজ। দাম পড়েছিল ২৪০ টাকা। এই দামে এক প্লেট বিরিয়ানিতে এত কিছু, সত্যিই বেশ অবাক লাগলো। মটন দুটো মিলিয়ে ওই ধরুন ২৫০ গ্রামের মত ওজন হবে।আর মটন কে ৩ আঙুলে ছেঁড়া যাচ্ছিলো। আর আলুর ভেতরে সুন্দর মশলা ঢুকেছে ফলে আলুটাও সুস্বাদু হয়েছিলো।ভাত গুলো মশলায় মাখানো থাকায় সাদা ভাতটা ছিলো না। তবে চাল টা লঙ গ্রেইন বাসমতী চাল ছিলো। আর গোলাপ জল কেওড়া জলের গন্ধে বেশ মঁ মঁ করছিলো।আমরা আর কোন সাইড ডিশ নেই নি। শুধু খাবার টা হজম করার জন্য এক গ্লাস করে থাম্বসআপ নিয়ে ছিলাম।
বিরিয়ানির যে ভাতটা দিয়েছিলো তা একজনের পক্ষে একদমই যথেষ্ট। আর পেটে সেরকম খিদে না থাকলে একটা দুজনে ভাগ করেও খাওয়া যায়।আমরা চোখের খিদে তে দুটো নিয়েছিলাম। কিন্তু খেতে পারি নি।
আর বিল দেওয়ার পরে, সাথে যে মুখশুদ্ধি দেওয়া হয়, সেই মুখ শুদ্ধি রাখার পাত্র গুলো,এত কিউট ছিল যে আমি ছবি না তুলে পারলাম না।সেই ছবিটাও আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।আর রইল কিছু আম্বিয়েন্সের ছবি। এক বোতল জলের দাম নিয়েছিল কুড়ি টাকা। আর কোলড্রিংস ৪০ টাকা করে গ্লাস।এটুকু দাম তো নেবেই। একটা একটু ভালো রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে আমার মনে হয় আজকালকার দিনে এই দামটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
আজ এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। আমার রিভিউ পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। যদি কোন কিছু আরো ইম্প্রুভ করতে হয়, সেটাও জানাবেন। আর পোস্ট লেখাটির কোন জায়গাটা আপনাদের সব থেকে ভালো লেগেছে,আর কোন জায়গাটা ভালো লাগেনি,তাও জানাবেন। আমি চেষ্টা করব পরেরবার থেকে যেন সেই ভুল না হয়।সকলে ভালো থাকবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
| রেস্টুরেন্ট | মগজাস্ত্র |
|---|---|
| অ্যাম্বিয়েন্স | ৮/১০ |
| ব্যাবহার | ৯/১০ |
| কাবাব | ৪/১০ |
| বিরিয়ানি | ৮.৫/১০ |
| সব মিলিয়ে | ৭/১০ |
| স্থান | কল্যাণী |
|---|---|
| তারিখ | ১৬.১১.২০২২ |
| ডিভাইস | রেডমি নোট টেন প্রো ম্যাক্স |
🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸
পরিচিতি
আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাঈ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।
সত্যি বলেছেন আপু আল্লাহ তাল্লাহ যার জন্য যা বরাদ্দ করে রেখেছে তাই থাকবে কপালে।।আপনি আপনার বান্ধবী শর্মিষ্ঠার মেসেজ পেয়ে ভালোই সিনেমা দেখেন। আসলে সিনেমা দেখে পেটের ভিতর ছুঁচো ছুটাছুটি করে হা হা হা। আপনার বন্ধবী শর্মিষ্ঠার সাথে কাবাব খেতে গেলেন কিন্ত কাবারের মাংস ভালো করে সিদ্ধ হয়নি জেনে একটু খারাপ লাগল। বিরিয়ানির সাথে অনেক কিছুই ছিল। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে আর মটন কে ৩ আঙুলে ছেঁড়া যাচ্ছিলো হা হা হা।।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ মাঝে মাঝে বন্ধুর সাথে হুট করে বেরিয়ে পড়ি ঠিকই।কিন্তু এর পরে আর হবে না। কারণ ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
বান্ধবীর সাথে খুব মজার সময় কাটালেন মুভি দেখে। শুধু মুভি দেখলে কি হয়?? পেটে তো কিছু দিতে হবে? বন্ধু শর্মিষ্ঠাকে নিয়ে বিরিয়ানি সাথে অনেক কিছুই ছিল কিন্তু কাবাবে কামড় দিলেন দেখলেন রক্ত, আহারে! 😂 তবে বিরিয়ানির মাটনগুলো তিন আঙুলে ছিড়তে পেরেছেন, খুব ভাল লাগলো মূহুর্তগুলো পড়ে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ দিদি বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরে তো মজা পেয়েছি।কিন্তু কাবাবটা খেয়ে একদমই মজা পাইনি।ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু, বাড়িতে কেউ থাকলে কাজ করতে একটু অসুবিধা হয়। কিন্তু আপনার বান্ধবী মুভি দেখার কথা বলে বেশ ভালোই করেছে। মুভি দেখা তার সাথে আবার খাওয়া-দাওয়া। আসলে আপনি যতই বিরিয়ানি খাবেন না বলুন না কেন? বিশেষ করে নামটা বললে, এমনকি সামনে থাকবে তো আর না করতে পারবেন না। তবে আপনার বান্ধবী ছোট লেগ পিসটা নিয়ে ভালোই করেছে। আপনার ভাগ্যের বড়টা সেদ্ধ হয়নি। বিরিয়ানি গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে না। আপনার এই ধরনের রিভিউ গুলো ভীষণ ভালো লাগে।
হ্যাঁ মুভিটা ভালো লেগেছে। কিন্তু কাবাব টা ভালো লাগেনি। তবে বিরিয়ানি টা টেস্ট ছিল। বিরিয়ানি নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। ওটা বেশ ভালো ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং কেউ এত সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে দেয় সেটা আপনার এই ছকটা না দেখলে বুঝতে পারতাম না। 🤣🤣... আসলে এতগুলো বিষয় আপনি পর পর করে তুলে ধরেছেন যে কোন বিষয়টা কমেন্টে লিখব সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে রেস্টুরেন্টের wifi এর পাসওয়ার্ড এর সিস্টেম আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। যদিও আমি ফেলুদা গোয়েন্দা গল্পের খুব বড় ফ্যান।
ভুলে গেছি, মনে নেই 😁😁
"ত্রিনয়ন ও ত্রিনয়ন একটু জিরো।"
😄
ধন্যবাদ।
39039820 এটা... মনে পড়েছে এইবার। টিয়ে পাখিকে মুখস্ত করিয়েছিল এটা। 🤭🤭
ঠিক। 😁