Better Life With Steem || The Diary game || 20th October 2023
Edited by Canva |
---|
Good morning Friends,
এখন ঘড়ির কাঁটাতে সকাল ৯.৩৮ বেজেছে, আজ দিনটা অন্যরকমই হবে। গতরাতে একটি দিনলিপি পরিদর্শনের মূহুর্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আগামীকাল অন্যভাবে দিনলিপি লিখবো।
|
---|
আমার বোনের সদ্যজাত শিশুর শরীরে সকালের সূর্যের আলো লাগাতে হবে। তাই ঠাকুরমা ও আমি বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার ও ভালো লাগছিল সকালের সূর্যের তাপ। ইতিমধ্যে একটু শীতের আভাস পাচ্ছি।
আমার কাজিন, কাকিমা ও ঠাকুরমা আমরা সবাই ছাদে বসেছিলাম। কারণ সদ্যজাত শিশুর ত্বকে সূর্যের আলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লাগাতে হবে। একটু ব্যতিক্রম হলেই গরমে ঠান্ডা লাগতে পারে।
আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, আমার বোনকে ইনসুলিন ইনজেক্ট করা। এটাকে বলা হয় প্রেগন্যান্সি ডায়াবেটিস। ডাক্তারের অভিমতানুসারে কিছু দিন বাদে এটি আর লাগবে না। খাবারের ১০/১৫ মিনিট পূর্বে এই ইনসুলিন দিতে হবে, এরকমটাই বলেছিল ডাক্তার ম্যাম।
মা পিঠা তৈরি করেছিল, তাই সকালে ২/৩ টি পিঠা খেয়েছিলাম। সবেমাত্র শীতের আভাস, তাই অনেকটা মজাও লাগছিল গরম গরম পিঠা। সকালে আজ আমি ভাত খাইনি। পিঠা খেয়েই সকালের খাবার সম্পন্ন করেছিলাম। আপনারা ও কি আমার মতো শীতের সকালে গরম পিঠা পছন্দ করেন?
মাঝে আবার আমার কাজিনের চেঁচামেচি শুনে, সেখানে ছুটে গিয়েছিলাম। পৌঁছে দেখলাম যে সে তাঁর মায়ের কাছে লিখিত ভাবে ছুটি আবেদন করছিল। বিদ্যালয় ও পূজার ছুটি, কিন্তু আমার কাজিনের বাড়িতে ও ছুটি লাগবে।
সকাল ১১.৩০, আমার বোনের জন্য রৌদ্রে জল গরম করার জন্য রাখা হয়েছিল, কারণ এখন ঠান্ডা লাগানো যাবে না। তাহলে সদ্যজাত শিশুর ও ঠাণ্ডা লাগবে। আমি আমার ভাগ্নির পাশে শুয়ে, কমিউনিটির কিছু কাজ করছিলাম। আমার বোনের স্নান শেষ হলে, আমি বিছানা থেকে উঠেছিলাম।
|
---|
আজই প্রথম আমার ভাগ্নিকে স্নান করিয়ে দিল, আমার এক ঠাকুরমা। গতকাল মনে হচ্ছিল, আমার ভাগ্নির ঠাণ্ডা লেগেছে (সর্দি)। আমরা সবাই একটু ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু আজ স্নান সম্পন্ন হতেই দেখলাম যে সেই সমস্যা আর হচ্ছে না। অর্থাৎ স্নান না করানোর জন্য ও এই সমস্যা হতে পারে শিশুদের।
বাবা বাড়িতে ছিল না, কিন্তু তাজা মাছের ঝোল রান্না করবে মা। তাই আমিই হাত জাল নিয়ে পুকুরে গিয়েছিলাম, মাছ ধরতে। পুকুরে পৌঁছে জাল ছুড়তেই, একটি বড় রুই মাছ ও কয়েকটি বাগদা চিংড়ি ও একটি গলদা চিংড়ি জালে ধরা পড়ল। আমি বিলম্ব না করেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
আমার খুবই প্রিয় এই বাগদা ও গলদা চিংড়ি। তাই মাছ মায়ের কাছে বুঝে দিয়েই বললাম যেন আমার জন্য ভাজি করে। আমি স্নান সেরে আসতে আসতেই, মা আমার জন্য বাগদা ও গলদা চিংড়ি রান্না শেষ করেছিল। আমি বিলম্ব না করেই মধ্যান্হভোজ শুরু করলাম।
|
---|
কমিউনিটির কিছু কাজ করে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু সেইটা আর হলো না। তারপর ভাবলাম একটু বাড়ির বাইরে যাওয়া প্রয়োজন। কারণ আমার মা সকাল ও সন্ধ্যায় চা নেয়। তাই মায়ের জন্য চা-পাতি ক্রয়ের প্রয়োজন ছিল।
বাজারে পৌঁছে কয়েকটি পুরি খেয়েছিলাম। সাথে ছিল মজার টক-ঝাল মসলা। সাথেই এক কাকু যোগ দিল। তারপর মায়ের জন্য মুদির দোকান থেকে চা-পাতি নিলাম।
আমার এক মামা চা নেওয়ার জন্য ডেকেছিল। পৌঁছে দেখলাম সেখানে অনেক ভীড়। কারণ ফুটবল খেলার জন্য খেলোয়াড় ভাগাভাগি চলছিল।
একটু বিলম্ব হওয়ার জন্য, অটোভ্যানে করে বাড়িতে ফিরলাম। ঘরে প্রবেশের পূর্বেই গভীর নলকূপ থেকে হাত পা ধৌত করে ঘরে প্রবেশ করলাম। এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করলাম।
আমার আজকের দিনলিপি সংক্রান্ত লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। আগামীকাল আবারো দেখা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে। সকলের সুস্থ্যতা প্রার্থনা করি।
আমি আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি পড়েছি। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমি আপনার আজকে দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে পারলাম।
আপনি সকালে আপনার দিদির বাচ্চাকে ছাদে নিয়ে গেছেন সূর্য তাপ লাগনোর জন্য। তারপর আপনি আপনার দিদিকে ইনসুলিন ইনজেক্ট দিছেন। আপনার মায়ের হাতের পিঠাগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি রৌদে পানি গরম করতে দিয়েছেন যাতে বাচ্চাকে গোসল করানো যায়। আপনার বাবা বাড়ি ছিল না আপনি জাল দিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরেছেন। তারপর আপনি কমিউনিটির কিছু কাজ করে একটু ঘুমানোর চেষ্টা ও চা পাতি কিনার জন্য বাজারে গিয়েছেন এবং পুরি খেয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে।
সবমিলিয়ে আপনি আজকের দিনটা খুবই সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন। আর আপনার দিনগুলো যেন সবসময় এরকম ভালো কাটে এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার ভাগ্নি খুব শুভক্ষণে আপনাদের কাছে এসেছে। এটা একটা খুবই শুভ লক্ষণ। আপনার মত মাসি পাওয়াটা ও খুব ভাগের ব্যাপার। আপনাদের সকলের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
ডাক্তারবাবু ঠিক বলেছেন, অনেকের প্রেগন্যান্সির সময় ডায়াবেটিস হয়। এটা কিছুদিন পরে ঠিক হয়ে যায়।