অপরাজেয় শাকিল এর গল্প (দ্বিতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


শাকিল চিন্তা করেছে সে যখন বড় হবে তখন তার এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু করবে। শাকিল এর বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। কিন্তু দরিদ্র কৃষক হলেও সে ছেলেকে লেখাপড়া করানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যত কষ্টই হোক ছেলেকে তিনি লেখাপড়া শেখাবেন। আর ছেলের আগ্রহ দেখে তার এই ইচ্ছাটা আরো বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এভাবেই সাকিলের দিনগুলো কেটে যাচ্ছিলো। দেখতে দেখতে শাকিলের এসএসসি পরীক্ষা চলে আসে। প্রস্তুতি ভালো থাকায় শাকিলের পরীক্ষাও অনেক ভালো হয়। তার যে সমস্ত বন্ধু-বান্ধবরা তাকে দেখে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো তাদের অনেকেরই পরীক্ষা খারাপ হয়।

Copy of What kinds of change steemit can bring in our society_20240819_192239_0000.png

তাদের অনেকেই পরীক্ষার হলে শাকিলের কাছ থেকে সাহায্য চায়। কিন্তু শাকিল তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেয় পরীক্ষার হলে কাউকে খাতা দেখানো একটা অপরাধ। সে এই কাজ কিছুতেই করতে পারবে না। এই কথা শুনে তার বন্ধুবান্ধবরা সবাই তার উপরে ক্ষেপে যায়। যাইহোক শেষ পর্যন্ত শাকিলের সবগুলো পরীক্ষায় ভালো হয়। এসএসসি পরীক্ষার পরে কয়েক মাস একটা গ্যাপ থাকে। শাকিল তখন তার বাবার কাছে আবদার করে সে কম্পিউটার শিখবে। ছেলের আবদার শুনে শাকিলের বাবা টেনশনে পড়ে যায়।

সে খোঁজখবর নিয়ে দেখে কম্পিউটার কোর্স করতে প্রায় তিন হাজার টাকা লাগবে। তার মতো দরিদ্র কৃষকের পক্ষে এতগুলো টাকা যোগাড় করা খুব কষ্ট হবে। শাকিলের বাবা এই বিষয়টা নিয়ে তার স্কুলের এক মাস্টারের সাথে কথা বলতে যায়। পরবর্তীতে সেই মাস্টার জানান তার ভাতিজার একটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আছে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ

Sort:  
 3 months ago 

শাকিলের চিন্তা ভাবনা খুবই ভালো। আশা করি শাকিল এসএসসি তে খুব ভালো রেজাল্ট করবে। পাশাপাশি শাকিল যদি ভালোভাবে কম্পিউটার শিখতে পারে, তাহলে পরবর্তীতে সেটা কাজে লাগবে। যাইহোক শাকিলের জন্য শুভকামনা রইলো।