“বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস”
আসসালামু আলাইকুম/আদাব,
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে “বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস” শীর্ষক আমার একটি লিখনি উপস্থাপন করলাম। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
গতকাল একত্রিশ মে দু-হাজার তেইশ ছিলো বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। কৃষি প্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। কৃষি উৎপাদনের আদর্শ স্থান হিসেবে বাংলাদেশ অন্য দেশগুলোর থেকে অনেক এগিয়ে। কারণ এখানকার মাটি উর্বর, দূর্যোগ সহনশীল আবহাওয়া ও আরো রয়েছে প্রাকৃতিক বৈচিত্রতা।
এবার তামাক চাষের কথায় আসি। বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদনে তামাক চাষকে আবর্জনার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এখানে আবর্জনা রুপক অর্থে ব্যবহৃত হলেও কৃষি খাতে কিন্তু এটিকে ক্ষতিকর চাষাবাদের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কারণ এটি পরিবেশের ক্ষতি করার সাথে সাথে মানবদেহেরও ক্ষতি করে।
আমাদের দেশে বর্তমানে মোট আবাদি জমির পরিমান রয়েছে তিন কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ্য সাত হাজার একর। স্বাধীনতার পর পর অনেক অনাবাদী পতিত জমি কৃষি উৎপাদনের আওতায় আসলেও দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও জলবায়ুর বিপরতীমুখী প্রভাবসহ বিভিন্ন কারনে আবাদি জমি প্রকৃতপক্ষে কিন্তু অনেক কম।
বর্তমানে তা কিন্তু আরো কমে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের জন্য সূদুর ভবিষ্যতে অশ্বানী সংকেত অপেক্ষা করছে। কারণ বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে খাদ্যের অভাব বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
প্রথমত আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে যে এখনই কিন্তু সময় আমাদের জীবন বাঁচাবার। এ কথা সবাইকে বোঝাতে হবে এবং তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
বর্তমান সময়ে যারা ধূমপানে অভ্যস্থ তারা শুধু ধূমপান থেকে অবশ্যই বিরত হবো এবং তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে এই সর্বনাশা ধূমপানের ক্ষতিকর দিক তাদের সামনে তুলে ধরবো। তাদের ধূমপানের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরকেই নিতে হবে।
তারপর শিশু কিশোরদের মাঝেও ধূমপানের ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। প্রয়োজনে স্কুল জীবন থেকেই তাদের এসব শিক্ষা দিতে হবে। আর এসব শিক্ষার বড় শিক্ষক হবেন বাবা মা ভাই বোন এবং স্কুল শিক্ষিকা।
তামাক মুক্ত দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো তামাক সেবনের ফলে যে ক্ষতি আমাদের ও আমাদের পরিবেশের হয়ে থাকে তা সবার সামনে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা। কেননা প্রতিবছর তামাক সেবনের ফলে বিশ্বে প্রায় ষাট লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে। তাই এই ক্ষতিকর দিকগুলো প্রতেক জাতির সামনে তাদের নিজস্ব ভাষায় তুলে ধরা আবশ্যক বলে আমি মনে করি।
তামাকজাত দ্রব্যের প্যকেটে বর্তমানে তামাকের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হচ্ছে এবং চিত্রের মাধ্যমে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে আমরা তামাক সেবন না করি। সরকারের এই পদক্ষেপকে আমি জোড়ালোভাবে সমর্থন করি। কিন্তু তারপরও তামাকের চাষ বন্ধে সরকারকে আরো কঠোর হওয়া অত্যন্ত জরুরী।
তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ফলে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সভা-সেমিনার, বক্তৃতা ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে বোঝানো উচিত তামাকের ভয়াবহতা ও অকাল মৃত্যু সম্পর্কে।
তাই আমি উচ্চস্বরে বলতে পারি তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো আমাদের জন্য মাথা ব্যথা। তাই তামাকের উৎপাদন বন্ধ বা কমাতে হলে কৃষকদের অন্যান্য পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি তামাকের বিকল্প ফসল চাষে কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে।
এবারের তামাকমুক্ত দিবসে, শুধু তামমুক্ত দিবসেই নয়, আমার সবসময় প্রত্যাশা থাকবে যে তামাকের মারাত্মক ছোবল থেকে আমাদের দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যেন এগিয়ে আসে। কেননা জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এমনিতেই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
আজ আর নয় বন্ধুরা। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহহাফেজ।
আমাদের দেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় এখন ব্যাপক ভাবে তামাক চাষ করা হচ্ছে ৷ আর এই তামাক অর্থনৈতিক দিকে থেকে লাভজনক হলেও এই তামাক যুব সমাজ কে নষ্ট করে ফেলতেছে ৷ কারন তামাক পাতায় রয়েছে বিষাক্ত ধোঁয়া যেটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর ৷ বর্তমান সমাজে ছোট বয়স্ক বাচ্চা থেকে শুরু করে মধ্য বয়স্ক মানুষেরা এই তামাক পাতার নেশায় পড়ে গেছে ৷ আমাদের এই সব থেকে বিরত থাকতে হবে ৷
এবং তার সাথে আপনি তামাকের ক্ষতিকর দিক এবং তামাক থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার কিছু কৌশল এই পোস্টে শেয়ার করেছেন ৷ খুবই ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্ট টি পড়ে ৷ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ ভালো থাকবেন ভাই ৷
Amigo es verdad debemos ser conciente como personas que el tabaco es algo que no perjudica tanto al que lo consume como a las personas que está cerca de el y tener en cuenta de que es algo que daña nuestra salud. Saludos y bendiciones.🤗