Club100 ||Steem Bangladesh Contest : Technology || 30% beneficiaries for hive-138339 🇧🇩
সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজ আমি প্রযুক্তি নিয়ে স্টিম-বাংলাদেশে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ।
ফটোস্ট্যাট একটি প্রারম্ভিক প্রোটোকশন ফটোকপিয়ার ছিল যা 1900 এর দশকে বাণিজ্যিক ক্যামেরা সংস্থা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, যা ফটোস্ট্যাট কর্পোরেশন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
অ্যানালগ পদ্ধতি :
ফটোকপি-মেশিন দেখতে অনেক বড়, ভিতরের যে কনসেপ্ট তা খুবই সিম্পল। ফটোকপির মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোন কাগজ মুদ্রিত বা লিখিত খুব সহজেই কপি করা যায়। যে গ্লাসটা থাকে সেখানে আপনি আপনার কাগজটি রাখেন।এখানে নিচে থেকে একটা আলো স্ক্যান করে সেই কাগজকে।আর এই সময় যা হয়; ওই আলো আসে কাগজের ওপর আর সেখান থেকে প্রতিফলিত হয়ে চলে যায় নিচে একটি বড় ড্রামের ওপর। এখানে আপনার কাগজে যা আছে প্রতিফলিত আলো ওই একই প্যাটার্নেই থাকবে। আর কাগজ যে একটি আলো স্ক্যান করা শুরু করল ড্রামটিও ঠিক একই মুহূর্তে ঘোরা শুরু করবে।
এখানে ওই ড্রামটি ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক্যালি চার্জড অবস্হায় থাকে। এখানে কাগজের ছাপা অংশ কোন আলো প্রতিফলিত করে না। তাই এখানে ড্রামের অন্ধকার অংশ যেখানে আলো পরেনি;তা পজিটিভ চার্জে চার্জিত হত। আর ফটোকপি মেশিন এর ভেতর থাকে একটি টোনার; যা থেকে প্রতিনিয়ত কালি স্প্রে হতে থাকে; এই কালিটি হয় নেগেটিভ চার্জে চার্জিত হয়ে থাকে। তাই এটি ড্রাম এর পজিটিভ অংশের সাথে আঠারমত আটকে থাকে।এর ভেতর যখন কাগজ ঢুকানো হয়;একে পজিটিভ চার্জে চার্জিত করা হয় এবং ড্রাম থেকে কার্বন পাউডার এর প্যাটার্ন তার গায়ে তুলে আনে। এরপর গরম রোলারে কাগজকে চালিয়ে কালিকে পার্মানেন্টভাবে কাগজের গায়ে লেগে দেয়া হয়।অত:পর বেরিয়ে আসে সেই কপি হওয়া কাগজ। এই পদ্ধতিটি বহু আগে থেকে চলে আসছে। ফটোকপির এই প্রক্রিয়াটি অ্যানালগ পদ্ধতি।
ডিজিটাল পদ্ধতি :
বর্তমানে ধীরে ধীরে যে নতুন ফটোকপি সিস্টেমটি প্রচলিত হচ্ছে, এটি ডিজিটাল পদ্ধতি এবং এর কনসেপ্ট পুরোপুরি আলাদা। এখানে কপি হওয়া পেজ এর সাইজ ছোট করা যায়, কালার কনট্রাস্ট বদলানো যায়। আবার তা ডিজিটালি স্টোর করা যায়। এখানে কনসেপ্টটা পুরোপুরিভাবে চেঞ্জড। এখানে আপনার কাছে যা থাকে তা হল একটি সেন্সর। যা মূলত আপনি যে কাগজ এর ফটোকপি করবেন তার একটি ছবি ক্লিক করে।এখানে প্রিন্টিং প্রোসেস একই, তবে আগের মত ওই লাইট রিফ্লেকশন প্রক্রিয়ায় বদলে এখানে করছে ডিজিটাল লেসার বা ক্যামেরা প্রক্রিয়া। এখানে আপনি কাজটি হচ্ছে সিম্পল ছবি ক্লিক করার মাধ্যমে। যা হচ্ছে একটি CCD সেন্সর এর মাধ্যমে। যার পূর্নরূপ হচ্ছে Charge Coupled Device। এটি একধরনের সেন্সর যা আগেকার ক্যামেরায় ব্যবহার করা হত। তবে বর্তমানে ক্যামেরায় BSI, CMOS এর মত আরও উন্নত উন্নত সেন্সর ব্যবহার করা হয়। তবে ফটোকপি মেশিনে CCD দিয়ে কাজ চলে।
স্টিম-বাংলাদেশ কমিউনিটির সকল এডমিন, মডারেটর ও সকল ভাই-বোনদের জানাই অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি দুই বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @lanegra2804 ও @jishan09.
ধন্যবাদ সবাইকে।
অসাধারণ একটি টেকনোলজি নিয়ে পোস্ট করেছেন ভাই। যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER: