Food Contest ||গ্রাম বাংলার হাট এর মুখরোচক খাবার ও আচার😛🤤||Date:19/04/2022||Tuesday||BY:@ratul24730||Contest From Steem Bangladesh||30% Beneficiaries to @hive-138339||
হ্যালো প্রিয় steemians.🙋♂️
আপনি কেমন আছেন?👱👩💼🙎♂️ আশা করি সবাই ভালো আছেন।♥️
আমি বাংলাদেশ থেকে @ratul24730 🇧🇩 আজকে (Food Contest 🌭🌮🌯🥩🍝🍞)অংশগ্রহণ করছি।||Date:19/04/2022||Tuesday||
গ্রাম বাংলার হাট-বাজারের ঐতিহ্যবাহী লোভনীয় খাবারের একগুচ্ছ ছবি ও খাবার সম্পর্কে কিছু কথা
আধুনিক এই বিশ্বে হাজারো প্রকার খাবার রয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত হাজার হাজার খাবারের প্রকারভেদ আবিষ্কার হচ্ছে। শহরের অলি-গলিতে বিভিন্ন রকম রেস্টুরেন্ট ও কফি শপ,জুস হাউস, কেক হাউস,পেস্ট্রি হাউস,এবং বিভিন্ন কনফেকশনারী দোকানের বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার সৌন্দর্য অপরূপ হয়ে থাকে।🍝🥩
এক কথায় বলতে গেলে খাবার এর প্রকারভেদ এর কোনো শেষ নেই। দিন যত যাচ্ছে খাবারের মান ততই ভাল হচ্ছে এবং তার দাম ও দিনে দিনে সামর্থের বাইরে চলে যাচ্ছে ফলে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সকল ধরনের খাবার খেতে সক্ষমতা লাভ করতে পারছে না। বিলাসবহুল খাবারগুলো দেখতে যতটা সুন্দর তার স্বাদ অনেক সুন্দর কিন্তু দামটা আকাশছোঁয়া।🍟🍟
কিন্তু এখনো আমাদের গ্রাম বাংলার হাট বাজারে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার পাওয়া যায় যার কেজি মাত্র ৮০ থেকে ১০০ টাকা হয়ে থাকে এবং এই সকল মুখরোচক খাবার গুলো কেমিক্যাল ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ বিহীন ভাবে তৈরি হয় সম্পূর্ণ হাতের মাধ্যমে কোন প্রকার মেশিনের মাধ্যমে সকল খাবার তৈরি করা হয় না ফলে এই সকল খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর হয় এবং শরীরের কোন প্রকার ক্ষতি করেনা।🤤😛
গ্রাম বাংলার হাট বাজারে এই সকল মুখরোচক খাবার গুলোর প্রকারভেদ অনেক বেশি আজকে আমি--ইস্টিম বাংলাদেশের ফুড কনটেস্টের গ্রাম বাংলার হাটের দশটি খাবারের ছবি এবং নাম ও সেই খাবার সম্পর্কে কিছু কথা ব্যাখ্যা করব।
গ্রাম বাংলার যেকোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রধান মুখরোচক খাবার হলো তেলেভাজা গুড়ের জিলাপি।
তৈরীর পদ্ধতি-একটি পাত্রে গম বা আটা এর সাথে একটু লবণ এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি মিশিয়ে মিশ্রণটি কে মসৃণ করে একটি বড় পাত্রে মধ্যে তেল গরম করে একটি সার্চের মাধ্যমে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জিলিপি বানানো হয় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গোল গোল চাকার মত দেখতে বোলে এই খাবারটি নাম জিলাপি । তারপর তেলে ভেজে নিয়ে খাবারটি খেজুরের গুড়ের মিশ্রণের মধ্যে চুবিয়ে নিয়ে উঠানো হয়।
দেখতে খুবই লোভনীয় এবং অনেক মিষ্টি এই খাবারটি খুবই বিখ্যাত গ্রামবাংলায় আমাদের শহরেও অনেক রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্টে এই খাবারটি দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু আসলে গ্রাম বাংলার জিলেপির গন্ধ ও রং তা শহরের রেস্তোরায় পাওয়া অসম্ভব।তাই এখনও শহরের মানুষেরা শুধুমাত্র জিলেপি খাওয়ার জন্য গ্রাম বাজারের হাটে উপস্থিত হয় এবং খাঁটি খেজুরের গুড়ের জিলাপি খায়।
নিমকি নোনতা জাতীয় একটি খাবার যা কিছুটা বিস্কুটের মত খেতে মচমচে ও নোনতা স্বাদের হয়ে থাকে। খাবারটি অনেক মজাদার একটু ভিন্ন স্বাদের খাবার এটি কিছুটা বিস্কুট ও পটেটো এর মত সম্পূর্ণ হাতে তৈরি হয় এই খাবারটি।
তৈরীর পদ্ধতি-মচমচে ও নোনতা স্বাদের এই খাবারটি আটা পানি ও লবণের মিশ্রণে তৈরি হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণে একসাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি ও লবণ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয় এবং এই মিশ্রণটি কারিগরেরা তাদের হাত দিয়ে একটি পাত্রে তেল গরম করে তেলের উপর খাবারটির আকার তৈরি করে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং হালকা খাবার টিকে ভাজা হয় তারপর তেল থেকে উঠে উঠানো হয়। এই খাবারটি দীর্ঘ সময় ধরে মচমচে থাকে কিছুটা মিষ্টি দেওয়া হয় বেশিভাগ তাই লবণ দেওয়া হয় কারণ এটি নোনতা বিস্কুট নামে পরিচিত।
কটকটি নামে পরিচিত এই খাবারটি খুবই মজাদার ও সুস্বাদু ।নামের সাথে দেখতেও অনেকটা মিল রয়েছে কেননা এটি খেতে একটু শক্ত ও মচমচে তাই এটির নাম কটকটি।
খাবারটি তৈরীর পদ্ধতি-নির্দিষ্ট পরিমান আটার সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি ও চিনি এর একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয় মিশ্রণটি একদম শক্ত হয়ে থাকে।ঠিক যেমন বাসায় রুটি বানানোর যে মিশ্রণটি তৈরি করা হয় একই রকম। মিশ্রণটি তৈরি করার পর রুটির মত আকারে নিয়ে আসা হয় এবং তারপর একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আয়তোকার এর মত করে খাবারটির আকার দেওয়া হয় এবং তেলে ভেজে নেওয়া হয় তারপরেই তৈরি হয়ে যায় মিষ্টি ও মচমচে কটকটি।
কাকরাই নামে পরিচিত এই খাবারটি দেখতে অনেক সুন্দর খেতে দারুন। খুবই মজাদার এই খাবারটি এর চাহিদা অনেক। এটি গ্রাম বাজার ছাড়া শহরের বিভিন্ন কনফেকশনারী তে দেখতে পাওয়া যায় কেননা এই খাবারটি অনেক সুস্বাদু এবং এই খাবারটি চাহিদা অনেক। খাবারটির কিছুটা বিস্কুটের মত উপর দিয়ে গুড়ের মিশ্রন রয়েছে।খুবই মচমচে ও মিষ্টিময় খাবার।
খাবারটি তৈরীর পদ্ধতি-নির্দিষ্ট পরিমান 8017 পরিমাণ চিনি ও পানি একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয়।তারপর লম্বা দড়ির মতো আকারের নেওয়া হয় এবং ছোট ছোট আকারে কেটে ফেলা হয়। তারপর তেলে ভাজা হয় ।তারপর ঠিক এরকম আকারে চলে আসে।খাবারটি ঠান্ডা হওয়ার পরে হালকা গরম খেজুরের গুড়ের মিশ্রণে ডুবে রাখা হয়। তারপর খাবারটি একবারে তৈরি হয়ে যায় খাবারটি অনেক বেশি মজাদার।
খুরমা নামে পরিচিত এই খাবারটি অত্যাধিক জনপ্রিয় খাবার ছোট বড় কনফেকশনারী দোকান সহ গ্রামবাংলায় খুবই বিখ্যাত এবং সচরাচর পাওয়া যায় এই খাবারটি। আমাদের দেশের ছোট ছোট উপজেলায় ও জেলায় বিভিন্ন মসজিদ ও দোয়া মাহফিলের তবারক হিসাবে ব্যবহার হয় এই খাবারটি। আগেকার বিয়ের বাড়িতেও তবারক হিসেবে ব্যবহার হতো এই খাবারটি। খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার যা খুবই মজাদার।
খাবারটি তৈরীর পদ্ধতি-নির্দিষ্ট পরিমান ওনির্দিষ্ট পরিমাণ পানি এর মিশ্রণে এ তৈরি হয়। এই মিশ্রণটি একটু শক্ত করে একটি গোল চারকোনা আকারে ময়দার মিশ্রণ কে পরিণত করা হয় এবং ছোট ছোট করে কেটে তেলে ভাজা হয়।তেলে ভাজার পর খাবার দিকে ঠান্ডা করে, হালকা গরম চিনির এর রস বানানো হয় এবং সেই রসে ভাজা খাবারটি ডুবিয়ে রাখা হয়।তারপর তৈরি হয়ে যায় মচমচে মিষ্টিময় এই খাবার যার নাম খুরমা।
এই সকল খাবারগুলো এর তৈরি পদ্ধতি প্রায় একই বলা চলে। একটু ভিন্ন ভিন্ন আকারের একটু ভিন্ন ভিন্ন জিনিসের মিশ্রণে তৈরি হয় এই খাবারগুলো। খাবারগুলো এর মূল উপাদান হলো ময়দা বা আটা।খাবারগুলো গ্রামবাংলায় খুবই বিখ্যাত এবং আমরা শহরের থাকা মানুষেরা এই খাবারগুলো মিস করি।বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার এগুলো আমাদের সকলের উচিত আমাদের গ্রামবাংলায় গিয়ে এই খাবারগুলো খাওয়া কারণ এগুলো হলো বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার।
গ্রাম বাংলার হাট বাজারে ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন মেলায় আরো একটি মূল উপাদান হলো আচার। হরেক রকমের আচারের দোকান বসে গ্রাম বাংলার মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলো।যেসকল আচারের স্বাদ অনেক মজাদার এবং বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল বা রাসায়নিক পদার্থ থেকে রক্ষা পাই এই সকল খাবারগুলো ।কারণ এই সকল খাবার গুলো একদম হাতে তৈরি ও অরিজিনাল চিনি বা গুড় দিয়ে তৈরি এতে কোন রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ নেই।
(আমের আচার বা আমশি)-খুবই মজাদার ও সুস্বাদু এই আচার টি আমাদের সবার পরিচিত।এই আচার এর মূল উপাদান হচ্ছে আম। আম দিয়ে তৈরি হয় এই আচার খুবই মজাদার এবং সারা বছর পাওয়া যায় । এক কথায় সারাবছর আমের স্বাদ পাওয়া যায় এই আচার এর মাধ্যমে। খুবই মজাদার এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় এই আচার টি।ফুটপাতে বিভিন্ন দোকান সহ বাংলাদেশের খাবার কম্পানি প্রাণে এই আচার টি তৈরি করে। আমাদের এলাকার বিভিন্ন দোকানে এইসকল আচার পাওয়া যায়।
হাজারটি টক-ঝাল-মিষ্টি ও দেখতেও অনেক বেশি লোভনীয় ,চোখে পড়লেই মুখে লালা চলে আসবেই।
(চালতা ফলের আচার)-চালতা ফল কি শুধুমাত্র আচার করে খাওয়ার মতনই একটি ফল। এই ফলটি আচড় ছাড়া অন্য কোন ভাবে ব্যবহৃত করা যায়। খুবই কম মূল্যে পাওয়া যায় এই ফলটি এবং বাংলাদেশের সকল জায়গায় এই ফলের গাছ উৎপন্ন হয়। সহজে পাওয়া যায় এই ফলটি হাট-বাজারে বিভিন্ন ফলের বাজারে এ ফলটি পাওয়া যায় এবং এর আচার অনেক বেশি মজাদার হয় । খুবই লোভনীয় আচার তৈরি হয় এই চালতা ফল দিয়ে যার স্বাদ সত্যি অসাধারণ।
(তেতুল ফলের আচার)-টক শব্দটি যখনই আমাদের কানে আসে তখনই আমাদের মাথায় চলে আসে তেতুলের কথা। তেতুল মানে টক- টক মানেই তেতুল। খুব সুপরিচিত এই ফলটি আমরা সবাই চিনি। এই ফলের গাছ বাংলাদেশের সকল জায়গায় হয় এবং খুবই সহজলভ্য এই ফলটি বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় । এই তেতুল দিয়ে বিভিন্ন প্রকার আচার তৈরি করা হয় যার স্বাদ অসাধারণ ও খুবই মজাদার।
হাতে তৈরি ও ভেজাল মুক্ত পদার্থ দ্বারা তৈরী হয় এই সকল আচারগুলো স্বাদ অনেক সুন্দর ও মজাদার খাবারগুলো একটু অন হাইজেনিক কিন্তু স্বাদ একদম অরজিনাল খুবই মজাদার এই খাবারগুলো অনেক কম দামে পাওয়া যায়। এসকল খাবারগুলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বহন করে এবং এখনো এই সকল খাবার গুলো অনেক কম দামে পাওয়া যায়। সুস্বাদু এই খাবারগুলো এখন আর আগের মতো খাওয়া হয়না। কারণ আস্তে আস্তে এইসকল খাবারগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই সমাজ থেকে ।সমাজে আবিষ্কার হচ্ছে নতুন নতুন খাবার।এভাবে আস্তে আস্তে এইসকল খাবারগুলো আমাদের সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
আমি আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।@yeri52 ও @biplopsoker আমি আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন এবং কমিউনিটির সকল কার্যক্রমে উপস্থিত থাকবেন ধন্যবাদ।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Thank you so much
ভাইয়া সত্যিই অনেক লোভ লেগে গেছে তোমার দেওয়া খাবারের ছবিগুলো দেখে।অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছো, খাবার গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে কেমন টেস্ট হবে।খাবার গুলো অনেক লোভনীয়। ধন্যবাদ
Thank you so kuch vaiya
আপনার খাবার গুলো অনেক মুখরোচক ছিলো। এত আচার দেখে জিভে জল চলে এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফুড রিভিউ শেয়ার করার জন্য।