My writing :what a dream and what a happiness
" #______কী সুখ---- স্বপ্ন দেখাতে?"
#________________অনুকাব্য।
প্রতিদিন নিয়ম করে কেনো রাত আসে?আর রাত্রিরা এমন হয় কেনো?
প্রতিরাতে নিথর ক্লান্ত দেহে ঘুমুতে যাই।ঘুম কেনো
আসেনা?চোখ বুজলেই স্বপ্ন আসে আর স্বপ্ন এলেই হুড়মুড় করে কেউএসে ঢুকে পড়ে আমার কোনঠাসা মনটার ঠিক মধ্যিখানে।
সারাদিনের কষ্টগুলি আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠে।শুনেছি প্রিয়জনের সাথে রাগ করলে ভালোবাসা কমেনা বরং বাড়ে এবং বাড়তেই থাকে.........
তুমি আসবে বলে জানালাটা খোলা রাখি ঠিকই।কিন্ত লোহার গ্রিল ভাঙ্গো কীভাবে?দিনময় শুধু ভাবি, এই বুঝি এলে! কোনকিছু পরার শব্দেও আতকে উঠি।হৃদয়ের জানালায় উকি মেরে তাঁকাই অনেকবার। না, কাউকে দেখিনা।
চারিদিক শূন্যতায় হাহাকার করে উঠে।
তবুও হৃদয়.........
হৃদয়ে সারাদিন তোমার স্মৃতির মুখরতা বাজে জলতরঙ্গের মতো.....।তিরতির করে কাঁপণ উঠে
শিরায়- উপশিরায়।অনুভবে বাসা বাঁধে তোমার
কন্ঠ,তোমার হাসি,তোমার স্পর্শ।সহ্যাতীত হয়ে
মাঝেমাঝেই তোমাকে বিরক্ত করতে ফোন দেই।
সেই আগের মতোই.......
বদলাওনি একটুও.........
আমি চুপ হয়ে শুনি তোমার অবাধ বিচরণের
পদব্ধনি।
এই আসো------ এই যাও...........
তোমার আসাতে খুব একটা শব্দ পাইনা শুধু একটা ঘ্রাণ পাই...........
বলোতো কীসের ঘ্রাণ? পারবেনা,এটা আমার অনুভুতিক ঘ্রাণ।এটা আমার একান্ত, বুঝলে!
এই ঘ্রাণ শুধু আমার।এটাতেই আমি বুঝি,টের পাই...... তবে হালকা একটা স্পর্শও পাই......
এটা বলোতো কেমন?
এটা হচ্ছে----এই ধরো অষ্টাদশী কোনো যুবক- যুবতীর প্রথম প্রেমের প্রথম স্পর্শের মতো.......এটা খুবই পবিত্র।স্পর্শটা এতো শৈল্পিক আর এতোটাই স্বর্গীয় যে---------- এই স্পর্শ সুখে যে কেউ কাটিয়ে দিতে পারবে শতাব্দীর পর শতাব্দী।
এটা শুধু অনুভবের..... লেখার না।
স্পর্শ সুখে আমি চোখ বুজে চুপটি করে থাকি,একদম নড়াচড়া করিনা।মনে হয় তুমি আমার বুকে খচমচ করে কিছু একটা জমা করছো।মনে হলো কিছু খড়কুটো,বাসা বানাবে বলে আনছো। মন অভিমানি হয়ে আছে।কিছুই জানতে চাইনা।তবুও চুপ....... কাছে আসা--- একটু সোহাগ----- একটু সুখ।
হঠাৎ কী ভেবে তুমি ফুড়ুৎ করে দিলে উড়াল......
কিছুই বলে গেলেনা।তবে সে আর নতুন কী? এটা তোমার স্বভাব- সুলভ আচরণ।
শূন্য হৃদয়......................
চলছে ভাঙ্গার খেলা।কখনো মনে হয় ক্রাসার মেশিনে পাথর ভাঙ্গার আওয়াজ,আবার কখনো মেঝেতে খুব জোড়ে কাঁচের পেয়ালা আছরে ফেললে যে আওয়াজ--- চূড়মার
হওয়ার, সে রকম।
বুকের ভেতরে চলতে থাকে পাঁজর ভাঙ্গার খেলা।
সাথে দাউদাউ আগুনে হৃদয় পোঁড়ার গন্ধ।
মাঝেমাঝে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ভাঙ্গা আর পোঁড়া গন্ধে আমি দিশেহারার মতো হয়ে যাই।
কেমন জেনো প্রলাপ বকি......
আনমনেই তোমার নাম বলে উঠি......
হাত বাড়াই, মন- পাখি.....!
মন-পাখি........!!
আধো ঘুম,আধো জাগরনে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াই।শহর কাঁপিয়ে রাত তিনটার ট্রেন আসলো,হুইসেল বাজলো...........
আবার ট্রেন চলে গেলো...............
সামনের পুকুড়ের পাড়ে কচুক্ষেতে কয়েকটা জোনাকি উড়াউড়ি করছে।জ্বলছে আর নিভছে।ওরাই জানে জ্বলা আর নেভায় কী সুখ?
কদম গাছটা থেকে একটা নিশুতি প্যাঁচা মুহুঃমুহুঃ
ডাকছে।ডাকটা স্বাভাবিক হলেও দূর্ভেদ্য।
আম গাছে পাখির ডানা ঝাপটার শব্দ।সচকিত হয়ে ঝিঁঝিঁ পোকাড়া ডেকেই চলেছে বিরামহীনভাবে। পুকুরের ওপাড় থেকে হঠাৎ একটা শিশুকান্না ভেসে এলো।পৃথিবী নিশ্চিন্তে
ঘুমুচ্ছে রাতের কোলে মাথা রেখে।রাতের ঘুম ভাঙ্গাতে একটা দুইটা চড়ুই মাঝেমাঝেই চি চি করে চেঁচিয়ে উঠে।
আস্তে আস্তে, কিছুটা কৌশলে, হাসনা হেনা তার রাতের গন্ধ ঢাকতে ব্যাস্ত। নিজস্ব নিয়মেই হাসনা
হেনার ঘ্রানটা হালকা হতে থাকলো ক্রমশ.........
পূব আকাশে একটি তারা প্রোজ্জ্বল হয়ে জ্বলছে।
আশে পাশে আর কোনো তারা নেই।এই তারাটা
জেগে আছে কেনো? তারার সাথীতো তারা হবার কথা! কিন্তু?এটা অন্য তারার চেয়ে একটু বড়।এটা শুকতারা।আলোও বেশী,একটু আলাদা
দেখতে।শুকতারা সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে আর শেষ রাতে পূবাকাশে থাকে।আমি জানি।এগুলো জানতে হয়।কারন একদিন কোটিকোটি আলোকবর্ষ দূর হতে খুব উজ্জ্বল একটা তারা আমার হাতের কাছে এসে পড়েছিলো।আমি তার ঠিক ডান গালে একটা চুমু দিয়ে বলেছিলাম-------
ভালোবাসি........ ভালোবাসি....... খুব ভালোবাসি।
তারাটা সেদিন আমাকে বলেছিলো-------
ও নো..... আমি এতো উজ্জ্বল একটা তারা......
আমি সাধারন মানুষের সাথে প্রেম ভালোবাসা করিনা।
: তাহলে?
: আমার সাথী হবে আরেকটা তারা.......!!
: ও, তাই?
: হুম।আমাকে সবায় দেখবে কিন্তু আমার সাথী..............!
সেদিন কলিজাটা ভেঙ্গে চুড়মাড় হয়ে গিয়েছিলো।
তাকে আমি শুধু রাত জেগে দেখি............
হয়তো একান্ত কিছু সময়, অসময়ের তীরে বিলীন
হয়ে গেছে।হয়তো এটাই বাস্তবতা...........
সজনের ডাল বেয়ে একটা কাঠবিড়ালী সামনে
এগুতে গিয়ে আমার বিমর্ষতা দেখে আবার ছুটে গেলো অন্যদিকে।
একি বাঁধনে জড়ালে আমাকে--- মন- পাখি??
আমি চাতকের ন্যায় আকাশ পানে চেয়ে আছি।
আমি শুকতারা দেখছি।
অরাধ্য মুক্তির সন্ধানে ডানা মেলে এইমাত্র উড়ে
গেলো বারান্দার শ্যামাটাও।
বিধ্ধংসী ক্রোধের দাবানলের মতো দাউদাউ করে
আবার জ্বলতে লাগলো ভেতরটা।
অনেক যত্ন করে বুকের পাঁজরে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম আমার সুখ পাখিটারে।পাখিটা কেনো এতো ছন্নছাড়া।কেনো হয় বারেবারে বাঁধনহারা?
হৃদয়ের আহাজারিতে প্রভাতের আলোটা মুহ্যমান
হয়ে গেলো।হাসি - কান্নার এই জীবনে অনেক কেঁদেছি।কী জানি ভালোবাসা হয়তো এমনই....
কাউকে হাসায় আর
কাউকে ভাসায়..........
চোখ গড়িয়ে দু ফোটা পানি হাতে পড়লো........
আমার ডায়েরি র পাতায় আরেকটা জেগে থাকা রাত যোগ হলো।।
ভালো থেকো রাতজাগা পাখি........
ভালো থেকো।।
¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢¢
#______ ছবি: আমার ঘুঘু।
#__________ তুলেছি নিজে।
nice post
Hello! I find your post valuable for the wafrica community! Thanks for the great post! @wafrica is now following you! ALWAYs follow @wafrica and use the wafrica tag!