আমার চট্টগ্রাম টূর!!!! পর্ব-৩ (শেষ পর্ব)
প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
২য় পর্বে যেখানে শেষ করেছিলাম সেখান থেকেই শুরু করলাম।
তো সারা টা রাস্তা খুব ভয়েই ছিলাম। তার মাঝে জানালা তো সে লাগায় ই নি। শীতে জান বার হয়ে যাচ্ছিলো। যাক এভাবে ধীরে ধীরে চট্টগ্রাম পৌছে যাই। আমরা জিইসি মোরে নামি বাস থেকে। হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছিলো। নেমে একটু জিরিয়ে নেই। তার পর ৩ জন মিলে থাকার জন্য হোটেল খুজতে থাকি। কিন্তু ধারে কাছে তেমন হোটেল ছিলো না। যেগুলা ছিলো সেগুলোর আকাশ চুম্নি দাম। একরাত নাকি ৩০০০-৪০০০ টাকা। কিন্তু আমাদের অত বেশি বাজেট ছিলো না।
তাই নেমে পরলাম অন্য হোটেল খুজার জন্য। কিন্তু কোন খবর নাই। অনেক হাটা হাটি করেও কোন হোটেল পেলাম না। তার পর একজন বয়স্ক লোকের সাহায্য নেই। উনি আমাদের বলেন বটতলী পুরানা রেলওয়ে স্টেশানেরএইদিক নাকি কমে হোটেল পাওয়া যায়। পরে আমরা একটা রিকশা নিয়ে সেখানে চলে যাই। গিয়ে প্রথমে কয়েকটা হোটেল খুজি কিন্তু সিট খালি নাই। খুব আশাহত হয়ে পরি। ঠিক তখন ই একটি হোটেল এ গিয়ে দেখি সিট খালি আছে। আমরা ৩ জন ছিলাম। ১২০০ টাকা প্রতিদিন। পরে আমরা সেটা ২ দিন এর জন্য নিলাম। কারন ২ দিন ই থাকবো। তারপর অনেক নিয়ম কানুন ফরম টরম পুরন করে রুমে গিয়ে ঢুকি।
রুমে ঢুকে গিয়ে দেখি দুইটা খাট দুই পাশে। ব্যাগ গুলা রেখেই নাস্তা খাওয়ার জন্য বার হয়ে যাই। হোটেল এর সামনে রাস্তার ও পাশে দেখি খাবার এর হোটেল ছিলো । সেখানে যাই নাস্তা করতে। হোটেল এ পরটা নি ৩ জনে আর সাথে ডাল ভাজি। খেয়ে দেয়ে চলে যাই হোটেল এ। গিয়েই ঘুম দেই। কিন্তু বেশিক্ষন ঘুমাতে পারিনি। কারন আমার এক ফ্রেন্ড এর পরীক্ষা ছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমরা ৩ জন মিলে চলে রেডি হয়ে বার হয়ে যাই। ঠিক করতে পারছিলাম না কিসে করে যাবো কারন কিছুই চিনি না। পরে হঠাত মনে পড়লো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন এর কথা। আমাদের আরো সুবিধা ছিলো আমরা ট্রেন স্টেশানএর পাসেই ছিলাম। যেই ভাবা সেই কাজ। চলে যাই স্টেশান এ। গিয়েই শুনি একটা ট্রেন আছে কিন্তু অনেক টা পথ দৌরেও লাব হলো না এতো বেশি ভিড় ছিলো যে উঠতেই পারলাম না। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিলো। তার ১৫ মিনিট পর আরেকটা ট্রেন ছিলো। এবার গিয়ে ট্রেন এর ইঞ্জিন এ চড়ে বসলাম। খুব ভিড় ছিলো ভিতরে জায়গা ছিলো না। কিছু পিকচার দেখুন
এখানে আমি আর আমার বন্ধু শাকিল। ইঞ্জিনেই বসে আছি দুইজন।
আমরা তিন বন্ধু। যে সেলফি তুলেছে তার নাম কাওসার। মধ্যে আমি আর শেষে শাকিল। খুব মজা হয়ে ছিলো আবার ভয় ও লাগতে ছিলো। কারন ধরে বসার মত কিছু ছিলো না আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার লাইন টাও ছিলো অনেক আগের আকা বাকা। বার বার নরে জাচ্ছিলাম। যাক অনেক কস্টে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্টেশান এ পৌছাই। পৌছে চোখ বড় হয়ে যায়। এতো মানুষ বাবারে বাবা।
দেখুন একবার কত্ত মানুষ।
পাশের ট্রেন টার ইঞ্জিন এ দেখুন একবার। কত্ত মানুষ এরা বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রি। ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসছে। হোটেল এ ফিরার পথেও একি অবস্থা। তবুও ট্রেন এ করেই ফিরতে হয়। কারন তখন পরিবহন ধর্মঘট চলতেছিলো।
এই পিকচার টা তার পরেরদিন তোলা। সেদিন ও ভার্সিটিতে এসেছিলাম শাকিল এর পরীক্ষা ছিলো। ফাকে আমি আর কাওসার আশে পাশে একটু ঘুরে দেখি। বৃষ্টি হচ্ছিলো যদিও। ওইদিন থেকে পরের দিন সকালে ঢাকায় চলে আসি। এভাবেই সমাপ্ত হয় আমার চট্টগ্রাম টূর এর। আবার যাবো কোনো একদিন।
Don't you think its a shit post? you have been continuously doing this what I'm observing! make some quality dear otherwise it will bring problem for you!
I just editing this post.. have't got time to make full post... now see my post... and also see after some hour some picture will be added. And my future post will be quality full. Thanks for your suggestion. I will keep it in my mind.
@ayasha apu. Now I complete the post. I know that last 2 post of mine are so bad and low quality. I am sorry for this.
Yeah I saw you have completed now! Nice!
crazy