বার্ধক্যে একাকিত্বের কষ্ট (দ্বিতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আর আজ যখন তার একটু যত্ন দরকার তখন সন্তানরা তাকে এক প্রকার দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলো। শহর থেকে ফেরার সময় তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন আর কখনোই সন্তানদের কাছে ফিরে যাবেন না। তারপর থেকে যতো কষ্টই হোক সুলতান মিয়া নিজের বাড়িতেই থাকেন। দিনের বেশিরভাগ সময় তিনি বাড়ির সামনের পুকুর পাড়ে গিয়ে একা একা বসে থাকেন। আর শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে থাকেন। এভাবেই একদিন চুপচাপ তিনি পুকুর পাড়ে বসে ছিলেন। হঠাৎ করে দেখেন সেখানে তার বন্ধুর ছেলে শফিক এসে তার পাশে বসেছে।

1000001322.png

পাশে বসে জিজ্ঞেস করে সুলতান চাচা আপনি কেমন আছেন? সুলতান মিয়া উত্তর দেয় আমার আর থাকা আর না থাকা। বয়স হয়ে গিয়েছে এখন যেকোনো সময় ওপারে যাওয়ার ডাক চলে আসবে। তখন শফিক বলে আপনার কোনো কিছু প্রয়োজন হলে আমাকে বলবেন চাচা। আমি চেষ্টা করব সেটার ব্যবস্থা করতে। তখন সুলতান মিয়া সস্নেহে শফিকের দিকে তাকিয়ে বলেন নিজের সন্তানরাই খোঁজ নেয় না। তোমাকে আর কি বলবো বাবা। তবে তুমি যে কথাটা বলেছ আমি তাতেই অনেক খুশি হয়েছি।

তবে এই বৃদ্ধ বয়সে আমি আর কি চাইবো? যদি কখনো সময় হয় তবে এই বুড়ো চাচার সাথে এসে দুটো কথা বলে যেও। আমি তাতেই খুশি। আমরা তো আর একটা সময় থাকবো না। আমাদের এই গল্পগুলোই তোমাদের কাছে রয়ে যাবে। এই কথা বলার পরে শফিক সুলতান মিয়ার সাথে বসে গল্প করতে থাকে। পরদিন শফিক দুপুর বেলায় আবার সুলতান মিয়ার কাছে আসে। অবশ্য এ দিন শফিক আসার সময় সুলতান মিয়ার জন্য তার বাড়ি থেকে রান্না করা কিছু খাবার নিয়ে এসেছে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Sort:  
 2 days ago 

সুলতান মিয়ার বন্ধুর ছেলে শফিক,সুলতান মিয়ার সাথে গল্প গুজব করাতে, সুলতান মিয়া তো দেখছি খুবই খুশি হয়েছে। সেজন্যই বলে আপনের চেয়ে পর ভালো। সুলতান মিয়ার ছেলেরা যদি শফিকের মতো একটু খোঁজ-খবর রাখতো,তাহলে সুলতান মিয়ার জীবনে কোনো কষ্ট থাকতো না। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।