একটু না হয় শুনে যাও
নমস্কার সকলকে। আশা করি ঈশ্বরের পরম কৃপায় সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও চলছি প্রকৃতির নিয়মে। অনেকটাই ছন্নছাড়া জীবন এবং বাঁধাধরা কিছু নিয়ম কানুন এর ভেতরে আবদ্ধ হয়ে গেছি। একটু স্বস্তির খোঁজে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াই আজকাল খুব। কখনো বা ক্ষনিকের জন্য পায় স্বস্তির নিঃশ্বাস, আবার কখনো গুমোট ঘরে নিজের দম আটকে কষ্টের মিষ্টতা নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করি।
অনেকদিন হলো আমার বাংলা ব্লগ পরিবারে আড্ডা দেয়া হয় না। দূরত্বটা কিভাবে যেন বেড়েই চলেছে। ভাবলাম আজ একবার উঁকি দিয়ে দেখি। কিছুদিন আগে একটা লেখা লিখেছিলাম সেটাই আজ আপনাদের সবার সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। তবে যে কথাটি না বললেই নয়, লেখার পটভূমি পড়ে কখনো কেউ এমন ভাববেন না যে, যে লিখেছে তার বাস্তব জীবনের সাথে সেটা সম্পর্কিত। মাঝে মাঝে যারা লিখতে পছন্দ করেন তারা অনেক ভাবেই অনেক বিষয়ের সাথে নিজেকে তুলনা করে সেই জায়গাতে নিজেকে বসিয়ে তারপর দুই একটা কথা লেখার চেষ্টা করেন। আমিও হয়তো সেই দলেরই একজন।
গল্পের দেশে
আমার দোষ টা কোথায় বলো,
প্রতিটা হৃদস্পন্দন যদি তোমার নাম করে
সামনে থাকা আয়নার অবয়ব টা যদি ঘুরে তোমাকে দেখায়
আমার দোষ টা কোথায় বলে দাও
অব্যাক্ত কথা সব কি বলতেই হবে.?
এত যে বলতে আমাকে নাকি খুব বুঝতে পারো
অনেক ভালো বন্ধু আমি তোমার
সব কি স্বচ্ছ জলে এক টুকরো ঢিল ফেলার মত ঘেঁটে "ঘ"
জোয়ার ভাটা সে তো নিত্য
কিন্তু অমাবস্যা পূর্ণিমায় বাড়ে কেন বলতে পারো ...
মস্তিষ্কের স্নায়ুযুদ্ধে আমিও যে গ্রাস হয়ে যাই
আবেগের রক্তক্ষরণে শান্ত মনে বসে দিক বিদিক ছুটি
আমার দোষ টা কোথায় বল !
হিটলারের নাৎসি বাহিনীকেউ আমি ততটা ভয় পাইনা
যতটা ভয় তোমাকে হারানোর
মানছি পাগলামো করে ফেলি খুব
কিন্তু "ভালোবাসি" মুখে না বললে বুঝি ভালোবাসা যায় না বলো !
আচ্ছা, এই আমি আর যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে না যাই
তবে কি তুমি খুব খুশি হবে?
আমাকে গ্রাস করা ভয়টা থেকে আমি কি মুক্ত হব?
নাকি যুদ্ধ জয় করে গোটা কয়েক জার্বেরা ফুল হাতে তোমার সামনে দাঁড়ালে বলবে,
"তবুও ভালোবাসি "
জানিনা আপনাদের কেমন লেগেছে আমার আবোল তাবোল এই গল্পের দেশের কথোপকথন। যদি একজনেরও একটু ভালো লাগে তাহলে হয়তো বা আমার এই পটভূমি সার্থক।