একটা স্নিগ্ধ সকাল
নমস্কার,
আমার বাংলা ব্লগে সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সারাদেশে নানান জায়গায় ঝড় বৃষ্টি হলেও ঢাকাতে খুব একটা লক্ষণ দেখছি না। যদিও আকাশ মেঘলা হয়ে থাকছে প্রতিদিনই। আর ভ্যাপসা গরমটা সেজন্যই হয়তো বেশি এখানে। প্রতিদিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু একদিনও সেটা সফল হতে দেখলাম না। হিহিহিহি, দুনিয়ায় সবাই ফাঁকিবাজি শুরু করেছে।
অফিসের ছাদে আমি কখনো যাই নি। অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল একবার ছাদে উঠে ঢাকা শহরটাকে দেখার। বিশ তলা তে দাঁড়িয়ে শহরটাকে যদি হাতের মুঠোয় পাওয়া যায় তাহলে ব্যাপারটা খুব একটা মন্দ হয় না। সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে জব করি তাই প্রতি সপ্তাহেই আমাকে নির্দিষ্ট কিছু দিনে নাইট ডিউটি করতে হয়। সেদিন ভোরে হঠাৎ করেই এক কলিককে নিয়ে চলে গেলাম ছাদে। ভোরের ঢাকাকে ওপর থেকে দেখব বলে। তবে সব থেকে মজার ব্যাপার আমার ইচ্ছেটা একদমই ফিকে হয়ে গেল ছাদে গিয়ে। কারণ পুরো ছাদ জুড়ে সেন্ট্রাল এসির ইকুইপমেন্ট বসানো। শান্তিতে যে একটু হেটে বেড়াবো তার কোন সুযোগ নেই। যন্ত্রপাতির ফাঁকে যেটুকু জায়গা আছে ওখান থেকেই দেখছিলাম শহরটাকে। খুব যে ভালো লাগছিল তা নয়। আবার মন্দও বলা চলে না অনুভূতিটা।
ছাদ থেকে নামার সময় ১৮ তলাতে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম টাকে। অনেকেই সকালে উঠে সেখানে এক্সারসাইজ করছিলেন। এই দৃশ্যটা খুব ভালো লাগছিল। আর উপর থেকে মেট্রো রেলের লাইনগুলো অসাধারণ লাগে এক কথায়। কিছুটা সময় চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম। আনমনে কি যে ভাবছিলাম নিজেও জানিনা।
লিফট দিয়ে সোজা চলে গেলাম নিচতলাতে। ভাবলাম একটু হাটাহাটি করে আসি। নামতেই চোখে পড়লো অফিসের সামনে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার জায়গাটায় কিছু ফুলের গাছ। এতদিন ধরে সেখানে যাতায়াত করছি কিন্তু এত কাছের থেকে হয়তো কখনো ফুলগুলোকে দেখা হয়নি। আমরা দুজন মিলে বেশ খানিকটা সময় ধরে ফুলগুলোকে দেখলাম এবং দু-একটা ছবি তুললাম। ফুলগুলোর নাম অবশ্য আমার অজানা। আগে জানা থাকলেও নাম আমি মনে রাখতে পারি না একদমই। তবে অদ্ভুত সুন্দর লাগছিল সকালের মিষ্টি বাতাসে ফুল গাছগুলোর দোল খাওয়া দেখে।
আশা করি সবগুলো ছবি আপনাদেরও অনেক ভালো লাগবে। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
শুনে অনেক ভালো লাগলো আপনি ভালো একটি চাকরি করেন এখন। আর সকালটা যদি এত সুন্দর স্নিগ্ধতা দিয়ে শুরু হয় তাহলে তো বেশ ভালো যায়। আজকাল ছাদের ওটার কোন উপায় থাকে না এসির মেশিন গুলো লাগানোর কারণে। এত উপরে উঠলে তো পুরো ঢাকা শহর দেখা যাবে বেশ ভালো উপভোগ করতে পারলে আপনি। আপনার পুরো লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
আমার অবস্থা টাও আপনার মতো ভাই। প্রতিদিনই মনে করি বৃষ্টি হবে ওয়েদার রিপোর্টে থাকেও সেইরকম। কিন্তু বৃষ্টি হয় না। ১৮ তলা থেকে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ করেছেন সুন্দর লাগছে। যতদূর জানি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কাজ চলছে। তবে লাগছে বেশ দারুণ। এবং নিচে এসে হাটাহাটির সময় ফুলের ফটোগ্রাফি টাও বেশ করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার সময় টা ভাই।
বৃষ্টি হয়েও তো গরম কমছে না ভাই। অবস্থা একদম টাইট। ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।