Better Life With Steem || The Diary game || 30 August অসুস্থ অবস্থায় দিন পার করা খুবই কষ্টকর!!
চাচাতো বোন এর গাছের কাঠ গোলাপ |
---|
প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়লাম! শরীরটা তেমন একটা ভালো না! প্রচন্ড জ্বর আজকে দুই দিন! তাই নামাজ পড়ে আবার শুয়ে পড়লাম! বর্তমানে বাবার বাড়িতে আছি! তাই নাস্তা বানানোর এতটা তাগাদা ছিল না! মা ঘুম থেকে উঠে রাফসান আর আদনানের জন্য,,, পরোটা বানিয়ে ছিল তার সাথে ডিম ভাজা।
আমাকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করার পর,,, আমি ঘুম থেকে উঠলাম! উঠে দেখলাম ওদের খাওয়া হয়ে গেছে!ওরা মোবাইলে বসে বসে কার্টুন দেখছে! আমি মাকে বললাম এক কাপ লাল চা করে দেয়ার জন্য,,, লেবু দিয়ে। মা আমার জন্য পরোটা ডিম ভাজা নিয়ে এসেছে। আমাকে বলল তুমি খেয়ে নাও,,, আমি তোমার জন্য চা করে নিয়ে আসছি।
সকালের নাস্তা |
---|
একটা পরোটা কোনোমতে খেয়েছি,,, খেতে কেমন যেন ভালো লাগছে না! এরপর চা খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিয়েছি! ঔষধ খেয়ে যাচ্ছি কেন যেন জ্বর কমছে না! আসলে চারপাশে খুবই ভয়াবহ অবস্থা! গত দুই দিনে আমাদের গ্রামে ডেঙ্গু জ্বরের কারণে দুইজন মহিলা মারা গেছে! নিজের কাছে অনেক বেশি ভয় লাগতেছে! অনেক কথা চিন্তা করে আবার শুয়ে পড়লাম! আমার শরীরটা সাড়া দিচ্ছে না কোন কাজ করার জন্য।
ঠিক দুপুর সাড়ে বারোটায় মা আবার ডেকে তুলল! প্রচন্ড জ্বর শরীরের মধ্যে,, মা মাথায় পানি দিল! এবং শরীর মুছে দিল! প্রচন্ড জ্বালাপোড়া লাগছিল,,, দুপুরে সামান্য কয়টা ভাত খেয়ে নিলাম,,, খেয়ে ওষুধ খেয়ে আবার শুয়ে পড়লাম।
দুপুরের খাবার |
---|
সারাদিন শুয়ে থাকতেও তেমন একটা ভালো লাগে না! এরপর মা বলল আবার দোকানে গিয়ে ভালো দেখে ওষুধ নিয়ে আসার জন্য! কিন্তু আমি কেমন যেন বাজারে আর যেতে ইচ্ছে পোষণ করলাম না! মাকে বললাম তুমি যাও গিয়ে,, নিয়ে ওষুধ চেঞ্জ করে নিয়ে আসো।
বিকেলে কিছুক্ষণ বসে স্টিম প্ল্যাটফর্মে ঢোকা ট্রাই করলাম! কিন্তু সার্ভার এতটাই প্রবলেম করছি,,ল অনেকক্ষণ ট্রাই করার পরেও আমি সার্ভারে ঢুকতে পারলাম না! এমনিতেই শরীর অসুস্থ! এমন অবস্থা দেখে আরো খারাপ লাগলো মাথাটা প্রচন্ড ব্যথা করতেছিল।
মায়ের হাতে মাখানো আমের আচার |
---|
এরপরে মা একটু আচার লবণ মরিচ মাখিয়ে দিয়েছে খাবার জন্য! প্রচন্ড মাথা ব্যথার কারণে কিছুই ভালো লাগছিল না! একটু আচার খেয়েছি,,, বাকিটা রাফসান এবং আদনান খেয়ে নিয়েছে।
সন্ধ্যায় মা বাজার থেকে আসার সময় চিকেন ফ্যাডিস নিয়ে এসেছিল। সবাই খুব মজা করে খাচ্ছিল,, কিন্তু আমার জ্বর থাকার কারণে আমার মুখে কিছুই ভালো লাগছিল না! তার পরেও সামান্য একটু খেয়ে পানি খেয়েছিলাম।
বাজার থেকে আনা ফ্যাডিস |
---|
এরপর ডিসকর্ডে এসে সামান্য কথাবার্তা বলেছিলাম! এরপর অনেকবার ট্রাই করেছিলাম পোস্ট করার জন্য পারছিলাম না! অবশেষে রাত পৌনে এগারোটার সময় পোস্ট করলাম! পোস্ট করে শুয়ে পড়লাম,,, কিছুই ভালো লাগছিলো না।
এভাবেই আমি কাটিয়েছি গতকাল! এই দুই দিনে আমি উপলব্ধি করেছি! অসুস্থ হলে মানুষ কতটা অসহায় হয়ে যায়! অসুস্থ হলে মা ছাড়া আর কেউ এভাবে সেবা যত্ন করে না! কেউ পাশে থাকে না! সবার সুস্থতা কামনা করে! আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি! আল্লাহ হাফেজ।
meraindia
সুস্থতা যেমন আল্লাহর নিয়ামত, তেমনি অসুস্থতাও তাঁরই নিয়ামত। অসুস্থতা সাময়িক সময়ের জন্য মাত্র। একটা সময় গিয়ে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।কিন্ত মাঝের এই সময়টা কাটিয়ে উঠাই যেন খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। যাইহোক,মহান রব আপনাকে উত্তম শেফা দান করুণ।আমিন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,,, আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম আপনি অসুস্থ। প্রথমেই আপনার জন্য দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করুক। আমিন। আসলে অসুস্থ হয়ে গেলে আমাদের বিশ্রাম নিতে হয়। কিন্তুু সারাদিন শুয়ে থাকলেও অনেক বোরিং লাগে। আমরা কোন কাজ না করলে আমাদের বোরিং লাগে। এরকম সময় আমিও কাটিয়েছি। যখন আমি অসুস্থ হই তখন আমারও এমন বোরিং লাগতো। তবে কি করার এটাই মেনে নিতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,,, আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আপনার শরীর খারাপ জেনে খুব খারাপ লাগছে। কিন্তু আপনকে ডিসকর্ডেও পেয়েছি। কিন্তু আপনি কাউকে আপনার শরীরের কথা জানান নি। আশাকরি এখন আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনি অসুস্থ, দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা খুব তাড়াতাড়ি আপনাকে সুস্থ করে দেক।
এখন আপনার শরীরের অবস্থা কেমন আগের থেকে ভালো বোধ করছেন?
আপনি অসুস্থ থাকার পরও আপনি আমাদের কমিউনিটির সকল দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে গেছেন, আপনি গ্রেট আপনি অসাধারণ।
আপনার পরিশ্রমের তারিফ না করে পারলাম না।
যাইহোক সব কাজকর্ম করছেন ঠিক আছে কিন্তু নিজের শরীরের ও একটু যত্ন নিবেন, আল্লাহ হাফেজ।