গরুর গোবর থেকে জ্বালানি গ্যাস উৎপাদন:

in Incredible India3 years ago
HI EVERYBODY

আমার পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আশা করি সবাই ভাল আছেন,আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।অনেক ব্যস্ততার মাঝে আজ আরো নতুন একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজ আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করব সে বিষয়টি হলো গরুর গোবর থেকে জ্বালানি গ্যাস উৎপাদন।

free-photo-of-vorderwald-cattle-on-a-farm.jpeg
source

গরু-বাছুর ও মহিষের গোবর, মানুষ, হাঁস-মুরগি, ছাগল, ভেড়া, ইত্যাদির মলমূত্র, কচুরিপানা, জলজ উদ্ভিদ, পচনশীল আবর্জনা, ইত্যাদি বর্জ্যপদার্থকে একটি আবদ্ধ চৌবাচ্চায় বাতাসের অনুপস্থিতিতে গাঁজন প্রক্রিয়ার সাহায্যে যে রংবিহীন জ্বালানি বাসে তৈরি করা হয়, তাকে বায়োগ্যাস বলে। চৌবাচ্চার মধ্যে পচানোর ফলে জৈব পদার্থের কার্বন জাতীয় যৌগগুলো বিয়োজিত হয়ে গ্যাস উৎপাদিত হয় ।

এই গ্যাসের ৬০-৭০% অংশ হল মিথেন গ্যাস আর বাকি অংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড। শুকনা গোবর, খড়কুটো, নাড়া জ্বালানি হিসাবে ইত্যাদির ব্যবহার বহু প্রাচীন। এ পদ্ধতিতে তাপশক্তি পাওয়া যায় বটে; কিন্তু তা খুবই কম। কেননা এর শতকরা ৮৫% তাপ শক্তি অব্যবহৃত থেকে যায় অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ সম্পদকে জ্বালানি কাজে ব্যবহার করায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য গবাদি পশুর গোবরকে কাজে লাগিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন।
এ গ্যাস রান্না করা, বাতি জ্বালানো, পাম্প চালানো, ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা যায়। গ্যাস উৎপাদনের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে বায়োগ্যাস রেসিডিউ বলে। এটি অত্যন্ত উন্নতমানের জৈব সার।

pexels-photo-12776422.jpeg
source

গরুর গোবরকে বায়বীয় অবস্থায় অর্থাৎ অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে একটি চৌবাচ্চার মধ্যে রেখে পচানোর ফলে গোবরের মধ্যকার কার্বন জাতীয় যৌগগুলো বিয়োজিত হয়ে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন করে। এই গ্যাসকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এ মূলনীতির উপর ভিত্তি করে গোবর থেকে জ্বালানি গ্যাস উৎপাদনের জন্য বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ করা হয়। এ প্লান্টের প্রধান অংশ তিনটি-:

(i) ইনলেট কক্ষ

(ii) হাইড্রোলিক চেম্বার

(iii) ডাইজেস্টার

উৎপাদন শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম ১:১ অনুপাতে গোবর ও পানির মিশ্রণ ইনলেট কক্ষে দেয়া হয়। এই মিশ্রণকে স্লারি বলা হয়। স্লারি ইনলেট কক্ষ থেকে ইনলেট পাইপের মাধ্যমে ডাইজেস্টারে বা প্লান্টের কুয়ায় চলে যায়। প্লান্টের কুয়ায় গ্লারি ঢেলে দেয়াকে চার্জিং বলে। অতঃপর ডাইজেস্টারের মধ্যে গোবরের অবায়বীয় বিয়োজন ঘটে। ফলে গোবর পচে গ্যাস উৎপন্ন হতে থাকে। এই গ্যাসকে আউটলেট পাইপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে গিয়ে জ্বালানি অথবা অন্যান্য কাজে লাগানো যায়।

pexels-photo-708776.jpeg
source

বায়োগ্যাস-এর সংজ্ঞা :

যে সকল দ্রব্যাদি থেকে বায়োগ্যাস উৎপন্ন করা হয় তা হল- গরু ও মহিষের গোবর, মানুষ, হাঁস-মুরগি, ছাগল, ভেড়া, ইত্যাদির মলমূত্র, কচুরিপানা, জলজ উদ্ভিদ, পচনশীল আবর্জনা, জঞ্জাল, ইত্যাদি। এসব আবর্জনা ও বর্জ্যপদার্থকে একটি আবদ্ধ চৌবাচ্চায় বাতাসের অনুপস্থিতিতে পচানোর ফলে যে রংবিহীন জ্বালানি গ্যাস তৈরি হয়, তাকে বায়োগ্যাস বলে। এই গ্যাসের মধ্যে ৬০-৭০% মিথেন গ্যাস থাকে। বাকি অংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড। বাংলাদেশে জ্বালানি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৭৬ সনে সর্বপ্রথম ৩ ঘমি. গ্যাস উৎপাদনে সক্ষম একটি ভাসমান ডোম মডেলের বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে। আর, স্থির ডোম প্লান্ট স্থাপিত হয় প্রথম ১৯৯১ সনে।

লেখার মাঝে কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, আজ এই পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ।

TQ.png

গরুর গোবর থেকে জ্বালানি গ্যাস উৎপাদন পদ্ধতি :
DeviceName
LocationBangladesh, bogura 🇧🇩
Short by@rxsajib

Q.png

Sort:  
 3 years ago 

আপনি অনেক সুন্দর একটি টপিক আমাদের সামনে উপস্থাপনা করেছেন আসলে গরুর গোবর দিয়ে যে জ্বালানি গ্যাস উৎপন্ন হয় সেটা আসলে অনেক ভালো।

আপনাদের বিষয়গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Loading...