শীতকাল নিয়ে রম্য কবিতা - টাট্টু মিয়ার গোসল
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। এখন দেশের তীব্র শীত চলছে। তাই আমি ভাবলাম আপনাদের সাথে শীতকাল নিয়ে একটি মজার কবিতা শেয়ার করি।
টাট্টু মিয়ার গোসল
টাট্টু মিয়া শীতকালে গোসল করে না।
পানি দেখলে তার নাকি হুঁশ থাকে না!
এলাকাবাসী করছে মিটিং, "কি করা যায় বল?"
বলল লোকে, "টাট্টুকে পানিতে ফেলি চল।"
দলবল নিয়ে গেল সবাই টাট্টু মিয়ার বাড়ি।
গিয়ে দেখে টাট্টু মিয়া দাঁড়িয়ে আছে হাতে নিয়ে দড়ি।
লোকজন দেখে টাট্টু মিয়া দিল ঝেড়ে কাশি,
বলল, "চেষ্টা যদি করো বাপু, দিব গলায় ফাঁসি।"
লোকজন এবার দমে গেল, নতুন চিন্তা মাথায়।
এভাবে নয়, টাট্টুকে বুঝাতে হবে কথায়।
একের পর এক চেষ্টা করতে লাগলো তারা,
গোসলটা তো করবেনা সে, এক পায়ে খাড়া।
টাট্টুর বউ বলল রেগে, "গোসল যদি না করো,
নিজের খাবার খেতে হলে নিজের রান্না করো।
থাকবো না আমি এখানে, যাব বাপের বাড়ি।
ছেলেকে বলেছি আমি, আনতে গরুর গাড়ি।"
এবার টাট্টুর মাথায় হাত, এত ভীষণ বিপদ!
বউ কেন রেগে গেল? আনল ডেকে আপদ!
গোসল তো সে করবে না, কিন্তু খাবে কি?
নিজের ঘরে উপোষ হয়ে মরবে নাকি?
নতুন বুদ্ধি এলো মাথায়। বলল হুংকার দিয়ে,
"আজকে তো বাপু হবে না। বেলা গেছে ফুরিয়ে।
লাগে যদি ঠান্ডা আমার; তাই তোমরা কর সবুর।
কথা দিলাম, করবো গোসল, আগামীকাল ভর দুপুর।"
শীতকালে আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত গোসল করতে চায়না। তার নানারকম ফন্দি-ফিকির খোঁজে কিভাবে অজুহাত দেওয়া যায়। তেমন একটি রূপক মজার কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি। কতটুকু মজা পেয়েছেন সেটা পাঠকই ভালো বলতে পারবে। ধন্যবাদ সবাইকে।
অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া। শীতকালে তো এই সমস্যা গোসল করতে ইচ্ছা করে না। আপনার কবিতায় টাট্টু মিয়া গোসল করতে চাই না। শত চেষ্টা করেও তাকে গোসল করানো গেলো না হা হা। কবিতাটা আসলেই অনেক মজার। কবিতাটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। শীতকালের জন্য একদম পারফেক্ট কবিতা। সুন্দর কবিতাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আপনি কবিতাটি বুঝতে পেরেছেন এবং আনন্দ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।