Better life with steem|| The Diary Game || 4th March 2024.
আজ একটু তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙে সকালে।নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই ঘুম থেকে উঠে পড়ি।এরপর কিছু সময় মোবাইল ব্রাউজ করে চলে যায় ছাদে।সেখানে বেশ কিছু সময় শরীর চর্চা করি।বেশ কিছু দিন খুব ভোরে উঠে কাজিন কে সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে বের হতাম।কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ঘুমে ঘাটতি থাকায় আবার এসে ঘুমিয়ে নিতাম একটু।ব্যাপারটা মোটেই সন্তোষজনক না হওয়ায় এখন একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠি এবং বাড়ির ছাদকে ব্যবহার করি শরীর চর্চার জন্য। যাইহোক প্রায় ৪০ মিনিট ব্যায়াম করে বেশ ক্লান্ত লাগছিল।
এরপর ছাদে থাকা কিছু গাছে জল দিয়ে নিচে নেমে আসি।বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ দুজন ব্যাক্তি হলো আমার ঠাকুরদা ও ঠাকুমা। দুজন দেখি বাইরে উঠানে আছেন।ঠাকুরদার বয়স ১০০ পার হওয়ায় এখন খুব বেশি চলাচল করতে পারে না।তাই সে চেয়ারেই বসে থাকে।তার সাথে কিছু সময় গল্প করলাম।এরপর ঠাকুমার সাথে গল্প করতে লাগলাম।সে তখন কাজ করছিল! এনারা এই বয়সে এসেও কাজ ছাড়া থাকতে পারে না।ব্যাপার টা ভাবলেই নিজের প্রতি লজ্জা হয়!
এরপর অফিস যাওয়ার প্রস্তুতি নেবার সময় হয়ে এলো।গ্রামের বাড়িতে থাকলে অফিস যাওয়া নিয়ে খুব বেশি পেইন নিতে হয় না।আমি এরপর স্নানাদি সেরে নিচে চলে গেলাম খাওয়া দাওয়া করতে।খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম আমার ছোট্ট বাইককে সঙ্গে নিয়ে।মাসের প্রথম দিকটায় আমার অফিসে ভয়ানক চাপ থাকে।এদিকে একজন অফিসার না থাকায় আরও লোড হয়ে গেছিল সব কিছু।কিন্তু কি আর করা,কাজ করতে করতে আজ আর নিজের ফোন টাকেও সারাদিনে একেবারের বেশি দুইবার ব্যবহার করতে পারিনি।
বিকালে অফিস থেকে নিচে নামলাম কয়েক মিনিটের জন্য। কিছু ঔষধ কিনলাম নিজের জন্য। এরপর কাজ শেষ করে বের হতে ৭:৪৫ বেজে গেল।তারপর আমি রওয়ানা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। রাস্তায় থাকতে আমার স্ত্রী ফোন দিয়ে বলল আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ। একের পর এক বিপদ আসতেই আছে আমাদের জীবনে।কোন কিছুতেই সামলাতে পারছি না।ওনাকে হাসপাতালে নিতে বললাম,পরিচিত কয়েকজন ডাক্তারের সাথে কথা বললাম, তারা কিছু রিপোর্ট করাতে বলল।তাই আমার স্ত্রীকে সেসব সাজেশন দিয়ে পুনরায় রাইড করে বাড়িতে এলাম।বিশ্বাস করেন,একদমই ইচ্ছে করছিল না আর রাইড করতে।
বাড়িতে এসে আবার ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম রিপোর্ট ভাল আছে। একটু স্বস্তি ফিরে পেলাম।এরপর ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেলাম ডিনার করতে।যেহেতু রাতের খাবারের ব্যাপারে এখন একটু সচেতন তাই রুটি সবজি ডিম দিয়েই খাওয়ার পর্ব সেরে নিলাম।খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছু সময় হাঁটাহাটি করতে থাকলাম।কাল একটু দ্রুত অফিসে যেতে হবে তাই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চলে যেতে হবে।আর দেরি না করে সারাদিনের ডায়েরি গেম লিখতে বসে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
জেনে ভালো লাগলো যে আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করেছেন যেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি দরকারি। শরীর ও মন দুটোই সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
অফিস শেষ করে নিজের জন্য ঔষধ কিনলেন এবং বাড়িতে রওনা হয়েছিলেন, তখন একটা খারাপ খবর পেলেন যে আপনার শাশুড়ি অসুস্থ। যাই হোক, দেরি না করেই তাকে ডাক্তার দেখালেন। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে উনি।।
ভালো থাকবেন।।
ভাই আপনার দিনলিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। দিনটি আপনি কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। কিন্তু আপনি হতাশা প্রকাশ করেছেন যে আপনার একটার পর একটা বিপদ লেগেই আছে। প্রিয় ভাই, হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। শুধু সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন দেখবেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা রইলো।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেন ফোনে কিছুক্ষণ ব্রাউজিং করতে করতে ছাদে চলে যান তারপর কিছুক্ষণ সময় ধরে শরীর চর্চা করে থাকেন ৷ তারপর অফিসে যান সেখানে অফিসের সকল কাজকর্ম গুলো সেরে ফেলেন ৷ রাতে দেখলাম রুটি সবজী খাওয়া করেছেন ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
ধন্যবাদ ভাই আপনাকেও পোস্টটি যত্নসহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার মন্তব্যে রিপ্লে দেওয়ার জন্য ৷ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ৷ ভালো থাকবেন 🧡 দিনটি আপনার জন্য শুভ হোক এই কামনাই করি সৃষ্টিকর্তার কাছে ৷
Un día un poco complicado pero que bueno que hallas podido solventar los problemas con calma.