Club5050 | | The Diary Game - A Busy Day | | 24-05-2022

গতকাল সকালে আমার ঘুমটা ভেঙেছিলো আমার বন্ধু নিশাদের কলে। সকাল ৮ টায় নিশাদ আমাকে কল দিয়ে বললো যে ও রংপুরে আসতেছে ওর এস.এস.সি. এর মার্কশীট তোলার জন্য। তাই আমি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিলাম। তারপর একটু ভাত খেয়ে বের হলাম। রংপুর শাপলা চত্বরে নিশাদ আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো। শাপলায় গিয়ে নিশাদের সাথে দেখা করলাম ও তারপর সোজা রংপুর সরকারি কলেযে চলে গেলাম।

কলেজে গিয়ে কয়েকটা ছবি তুললাম। তারপর সোজা চলে গেলাম অফিস রুমে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম যে যেই ব্যাক্তি মার্কশীট দিবেন তিনি নেই। একটু বাইরে গেছেন। ততোক্ষনে আমরা কলেজটা ভালোভাবে ঘুরে দেখলাম। তারপর আবারো ফিরে গেলাম অফিস রুমে। সেখানে গিয়ে নিশাদ তার রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও এডমিট কার্ড দেখালে তাকে তার মার্কশীটটি দিয়ে দিলো। মার্কশীট নেয়ার পর নিশাদ তার পরিচিত ২জন স্যারের সাথে দেখা করলো। স্যারদের ব্যবহার খুবই ভালো ছিলো। কলেজ থেকে আমরা বের হলাম দুপুর ১২ টার দিকে। মার্কশীট নিয়ে বের হবার পর কোথায় যাবো এটা ভাবছিলাম। তারপর নিশাদ বললো যে চিকলি ওয়াটার পার্কে গেলে কেমন হয়? তাই আমিও আর না করলাম না। চলে গেলাম সেখানে।

তারপর দুই বন্ধু মিলে চলে গেলা। চিকলি ওয়াটার পার্কে। আমি এর আগে ৩-৪ বার এখানে এসেছিলাম। রাতের বেলা এর সৌন্দর্য অনেকগুন বৃদ্ধি পায়। কেননা রাতের বেলা হরেক রকমের লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। চিকলি ওয়াটার পার্কের নাগরদোলায় উঠলে পুরো রংপুর শহর দেখা যায় এখান থেকে।

দুপুর বেলা রোদে প্রচন্ড গরম লাগছিলো। তাই পার্কের মধ্যে বসে কিচগুক্ষন বিশ্রাম নিলাম। বিশ্রাম নেয়ার পর আবারো বের হলাম। আস্তে আস্তে পুরো পার্কটি ঘুরে দেখলাম। সাথে অনকগুলো ছবিও তুললাম। তারপর চলে গেলাম স্পীড বোটের কাছে। কিন্তু রোদের কারনে আর চালাতে ইচ্ছা করলো না। সেখানে একটা সেলফি তুলে পার্কের ভিতর থেকে বের হয়ে আসলাম।

চিকলি ওয়াটার পার্ক থেকে বের হতে হতে বিকাল হয়ে গেলো। প্রচন্ড খিদা লেগেছিলো। তাই চলে গেলাম একটি বিরিয়ানি হাউজে। সেখানে গিয়ে দুই বন্ধু মিলে মোড়গ পোলাও খেলাম। মোড়গ পোলাও ঝাওয়ার পর একটা কোকা কোলা খেতে খেতে সেখান থেকে আবারো শাপলায় ফিরে আসলাম। শাপলায় এসে নিশাদকে বাসে উঠিয়ে দিয়ে আমি মেসে ফিরে আসলাম। তারপর গোসল করে শুয়ে পড়লাম।

সন্ধার সময় আমার রুমমেট রফিক আমাকে ঘুম থেকে তুলে দিলো। কারন আমার আব্বু আমার মোবাইলে কল দিয়েছিলো। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে আব্বুর সাথে কথা বললাম। তারপর ফ্রেস হয়ে রফিকসহ বাইরে গেলাম চা খাবার জন্য। সূর্য তখন ডুবু ডুবু আকাশটা দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিলো। তাই একটু ফটোগ্রাফি করলাম। চা খেয়ে মেসে ফিরে আসলাম।

মেসে ফিরে এসে বই পড়তে বসলাম। সারাদিন কোনো পড়ালেখা করি নি। তাই একটা তিনঘন্টা পড়লাম। তারপর আমার রাতের মিল নিয়ে এসে খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে মোবাইল চালানো শুরু করলাম। মেসেঞ্জারে বন্ধুদের সাথে বেশ কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম। আরেকবার বাইরে বের হলাম। দোকান থেকে একটা বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে আসলাম। বিস্কুট নিয়ে আসার সময় দেখলাম। যে আমাদের মেসটি দূর থেকে অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে। তাই একটা ছবি তুলে নিলাম। বিস্কুটের প্যাকেটটি কালকে সকালের জন্য রেখে দিয়ে শুয়ে পড়লাম।