"লোকনাথ বাবার মন্দিরে আনন্দমুখর সময়"

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা,


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ ও দোয়া আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি লোকনাথ বাবার মন্দিরে কাটানো কিছু আনন্দের মুহূর্ত আপনাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করছি ।



বেশ কিছুদিন আগে পরিবারের সবাই মিলে পরিকল্পনা করা হয়েছিল বাইরে কোথাও ঘুরতে যাবার কিন্তু ঠিক হলো না কোন দিনে আমরা যাব। কারন সপ্তাহের প্রত্যেক দিনেই কমবেশি সবার কাছ থাকে। বেশ কিছুক্ষণ মতবিনিময় করার পর সিদ্ধান্ত হল সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার। সবাই মেনে নিল আর আমারও খুব ভালো লাগলো ,যে ঘুরতে যাব বাইরে কোথাও কারণ অনেকদিন বাইরে ঘুরতে যাওয়া হয় না।

ঘুরতে যাবার আগের দিন রাতের খাবার শেষ করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম কারণ সকালে ঘুরতে যেতে হবে। পরের দিন সকালে উঠেই শুনতে পেলাম আমাদের যাওয়া হবে না শুনে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কেন যাওয়া হবে না দিদি আমাকে বলল আমরা যে জায়গায় যাবার কথা ভাবছি সে জায়গাটা আমাদের গাড়ির ড্রাইভার চেনে না তাই ঘুরতে যাওয়া হবে না। আমি কোন কথা না বলে রুমে এসে বসে থাকলাম। কিছুক্ষণ পর দিদি আমায় ডেকে বলল ঘুরতে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে । দিদির কথা শোনার পর খুবই আনন্দিত হয়ে পড়লাম মনের আনন্দে গান গাইতে থাকলাম সেক অন্যরকম অনুভূতি। আমি তাড়াতাড়ি নিজেকে তৈরি করে নিলাম ৩০ মিনিট পর সবাই প্রস্তুত হয়ে গাড়িতে চড়ে বসলাম। দিদিকে জিজ্ঞাসা করলাম আজ আমরা কোথায় যাচ্ছি? দিদি উত্তর দিল আজ আমরা লোকনাথ বাবার মন্দিরে যাচ্ছি যা শহর থেকে অনেকটা দূরে। গাড়িতে চড়ে সেই স্থানে যেতে ১.৩০ মিনিট সময় লাগে ।

গাড়িতে গান শুনতে শুনতে পৌঁছে গেলাম মন্দির প্রাঙ্গণে। গাড়ি থেকে নামতেই নিজের ভেতর শীতলতা বোধ হল শরীরে যেন অন্যরকম একটা শক্তি অনুভব করলাম মনটা ফ্রেশ হয়ে গেল। কিছু দূরে দেখতে পেলাম লোকনাথ বাবার মন্দির।

IMG20230226170400.jpg

তারিখ :২৭.০২.২০২৩

সময়:৪.২৫ মিনিট

স্থান :কচুয়া



তাই সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি রওনা হলাম মন্দিরের দিকে। দোকান থেকে কিছু ফুল, ফল, মিষ্টি ইত্যাদি উপকরণ নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলাম। পূজা শেষ করার পরে মন্দিরের ভিতরে কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করলাম ঠিক তখনই মন্দির কর্তৃপক্ষ লোক এসে আমাকে বারণ করল ছবি তুলতে। আমি তাদের সাথে বাক বিতর্কে না জড়িয়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে আসলাম। মন্দিরের বাইরে বড় একটি মাঠ আছে মাঠটা পুরোটাই সবুজ গাছপালা দিয়ে আটা। এই সবুজ গাছপালা যেন মন্দিরের সৌন্দর্য টাকে আরও বেশি বাড়িয়ে দিল।
IMG20230226170919.jpg

তারিখ:২৭.০২.২০২৩

সময়:৫.০০ মিনিট

স্থান: কচুয়া



বড় বড় গাছ তোলার নিচে মন্দিরে ঘুরতে আসা মানুষগুলো বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। গাছগুলো এতটাই বড় দেখে মনে হল শত বছরের পুরনো। মন্দির প্রাঙ্গণে ঘুরাঘুরি করাতে শরীরটা একটু দুর্বল হয়ে পরল ভাবলাম এখন কিছু খেতে হবে সামনে দেখতে পেলাম একটি ডাবের দোকান। ডাবের দোকানদারকে একটি ডাব কেটে দিতে বললাম।
IMG20230226171424.jpg

তারিখ :২৭.০২.২০২৩

সময়:৫.১৮

স্থান: কচুয়া



দুঃখের কথা হল এখানে ডাবের প্রচুর দাম একটি মাত্র ডাবের দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা কিন্তু কিছুই করার নেই এ সময় শরীরে ডাবের জল খুবই উপকারী একটা বস্তু।

ডাবের জল খাওয়ার পর আমি বাজার ঘুরতে শুরু করলাম। বাজার ঘুরতে ঘুরতে চমৎকার একটি বস্তু আমার চোখে পড়ল।
IMG20230226172504.jpg

তারিখ :২০.০২.২৩

সময়:৫.৩২মিনিট

স্থান :কচুয়া


আমি দোকানদার ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম এই বস্তুটি কি? সে আমাকে বলল এটা এক ধরনের জুতা যা প্রাচীনকালে মুনি ঋষিরা ব্যবহার করত। জুতাটি দেখতে সত্যিই অস্বাভাবিক জানিনা ওই সময়ে মানুষ এই বস্তুটি পরে কিভাবে চলাচল করত।

অনেকটা সময় মন্দির প্রাঙ্গণে ঘোরাঘুরির পর আমাদের বাড়িতে যাওয়ার সময় হয়ে গেল।ইচ্ছা করছিল না এই স্থান থেকে বাড়িতে যাতে।
IMG20230226174101.jpg

তারিখ :১২.০২২০২৩

সময়:৫.৫১মিনিট

স্থান: কচুয়া



আপনারা তো সবাই জানেন, যে কোন ধর্মীয় স্থান মন্দির, মসজিদ, গির্জা যাই হোক না কেন ইচ্ছা করে না বাড়িতে যেতে ইচ্ছা করে আরও একটু সময় থাকি এই সুন্দর পরিবেশে। কিন্তু বাড়িতে তো আসতেই হবে দিনশেষে এটাই বলতে পারি ধর্মীয় এই স্থানে এসে সুন্দর একটা সময় কাটালাম।

আজ এতোটুকুই লিখছি ।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67659.51
ETH 3800.90
USDT 1.00
SBD 3.55