Better life with steem || The Diary Game || 21 th October

in Incredible Indialast year
IMG_20231022_181757.jpg
"সপ্তমীর সারাদিনের গল্প"

Hello,

Everyone,

আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন। প্রথমেই আপনাদের সকলকে জানাই শুভ অষ্টমীর অনেক শুভেচ্ছা। আশাকরি আপনাদের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো গতকাল অর্থাৎ শুভ সপ্তমীর দিনটা কেমন কেটেছিল তার গল্প। সপ্তমীর দিন আমি বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছিলাম।

কারণ গতকাল থেকে অবশেষে শুভর অফিসে পুজোর ছুটি শুরু হয়েছে। দশমী পর্যন্ত অফিস বন্ধ থাকবে। তাই সকাল ৮ টা নাগাদ ঘুম ভাঙলো,তবে পুজো প্যান্ডেলের গানের আওয়াজে নয়, আজ পুজোর মন্ত্র শুনে। তাতেই বুঝলাম ইতিমধ্যে মহা সপ্তমীর পুজো শুরু হয়ে গেছে।

IMG_20231022_172907.jpg

৮ টায় ঘুম ভাঙলেও আরও কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর, প্রায় ৮.৪৫ নাগাদ ঘুম থেকে উঠলাম। শ্বশুর মশাইকে ইনসুলিন দেয়ার সময় সকাল ৯.৩০ টা। রাতে ওনাকে বলে এসেছিলাম যে, আমি না উঠলেও উনি যেন অবশ্যই খাওয়ার আগের ওষুধটা খেয়ে নেন। তারপর আমি ওনাকে ব্রেকফাস্ট ও খাওয়ার পরের ওষুধ গুলো দিয়ে দেব।

যাইহো, এরপরে উঠে ফ্রেশ হয়ে ছাদের গাছে বেশ কয়েকটি জবা ফুল ফুটেছিল, তাই সেগুলো তুলে নিয়ে আমি নিচে এলাম। ততক্ষণে শাশুড়ি মা উঠে পড়েছিলেন এবং দেখলাম তিনি ইতিমধ্যে রুটি বানিয়ে ফেলেছেন এবং শ্বশুরমশাই নিজের ব্রেকফাস্ট করছিলেন। তারপর আমি শুভর জন্য চা বানিয়ে নিয়ে উপরে গিয়ে ওকে চা দিলাম।

IMG_20231022_172707.jpg

ব্রেকফাস্টে আজকে ভাবলাম রুটির সাথে আলু ভাজা তৈরি করব। কারণ বেশ কয়েকদিন ধরে আমার নিজেরই গরম রুটির সাথে আলু ভাজা খেতে ইচ্ছে করছিলো। শুভর কাছে জিজ্ঞেস করলাম ও খাবে কিনা, ও যখন হ্যাঁ বলে দিলো তখন আর দেরি না করেই, আমি আমাদের জন্য আলু,ডিম ও পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিলাম। তারপর ব্রেকফাস্ট শেষ করে আমি কমিউনিটির কিছু কাজ সারলাম।

গতকাল দুপুর বেলায় শুভর একজন বন্ধু আমাদের বাড়িতে লাঞ্চ করবে কথা ছিলো। আসলে ওর মা বাড়িতে চিকেন/মটন কিছুই রান্না করে না। এই কারণে ও মাঝে মধ্যে শুভকে অনুরোধ করে, যাতে ও মটন এনে দিলে আমি রান্না করে দিই। আমিও মটন খাই না। তাই শুভরা দুজন মিলে মাঝে মধ্যে এই প্ল্যান করে।

IMG_20231022_181018_061349.jpg

গতকাল ওদের এই প্ল্যান ছিল। সেই মতন শুভর বন্ধু কিছুক্ষণ বাদে এসে মটন দিয়ে গেল। শাশুড়ি মাকে প্রথমে আমাদের নিজেদের জন্য রান্না করে নিতে বললাম। কারণ মাংস রান্না করার আগেই আমাদের রান্না করে নেয়া ভালো।

আর আমিও নিজে যেহেতু মটন খাই না, তাই শাশুড়ি মা আমার শ্বশুর মশাই ও নিজের জন্য অল্প কিছু রান্না করে নিলেন।তারপর আমি গিয়ে মটন রান্না করার জন্য সবকিছু জোগাড় করে নিলাম।

রান্না শেষ করতে করতে প্রায় তিনটে বেজে গেল। ইতিমধ্যে শুভর বন্ধুও চলে এসেছিলো। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে রান্না শেষ করে ওদের খেতে দিলাম। মটন দিয়ে খাওয়ার জন্য আবার আলাদা করে বাসমতি চালের ভাত ও করেছিলাম।

IMG_20231022_181114_061324.jpg

দুজনেই বেশ তৃপ্তি করে খেলো। তাদের খাওয়া দাওয়া শেষ হলে সমস্ত কিছু গুছিয়ে তারপর আমি খেতে বসলাম। ইতিমধ্যে অবশ্য আমার শ্বশুর, শাশুড়ি ও পিকলুর খাওয়া হয়ে গিয়েছিল।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে যখন উঠলাম তখন ঘড়িতে ৫.২০ বাজে। এর কিছুক্ষন পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। কমিউনিটির কিছু কাজ নিয়ে বসলাম এবং কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মডারেটরদের সাথেও কথা বললাম।

গতকাল রাতে ননদদের আমাদের বাড়িতে খাওয়ার কথা ছিল। কারণ আজকে আমার ননদের ছেলের জন্মদিন। তাই ঠিক হয়েছিল রাত বারোটার পরে আমাদের বাড়িতে কেক কাটা হবে। সেই মতন কিছুক্ষনের মধ্যে ওরা চলে এলো।

তারপর সকলে মিলে বেশ কিছুক্ষণ গল্প গুজব করার পর ডিনার করে নিলাম এবং তখনই আমরা ডিসাইড করলাম অষ্টমীর দিন আমরা আমার মামা শ্বশুরের বাড়িতে যাবো। কারণ পুজোর সময় ছাড়া, এইরকম তিন চার দিনের ছুটি শুভ বা ননদের হাজব্যান্ড কেউই পায় না। ননদের গাড়ি নিয়েই সকালবেলায় বেরিয়ে যাবো এমনটাই প্ল্যান হলো।

IMG_20231022_180814.jpg

এরপর ১২টা বাজলে সকলে মিলে আনন্দ করে কেক কাটলাম। একটুবাদে ননদরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলে, আমিও ঘরের টুকটাক কাজ সেরে, উপরে গিয়ে নিজের পোস্ট লিখখে বসলাম। কাজ শেষ করে যখন আমি শুতে গেলাম তখন ঘড়িতে রাত ২টোর বেশি বাজে।

আবার সকাল ৬টায় উঠতে হবে,এমনটা ভেবে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছিল না। তারপর একটু ফোন দেখতে দেখতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবে আমার গতকালের দিনটা কেটেছিল।

আজকের দিনটা কিভাবে কাটালাম সে গল্প আগামীকাল আপনাদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করব। আমি যেখানে এসেছি এখানে বিকাল‌‌ ৪টে থেকে ফোনের নেটওয়ার্ক কাজ করা বন্ধ হয়ে‌ গিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে বেশ‌কিছুটা দূরে এলাম। এখানে নেটওয়ার্ক রয়েছে,তাই ভাবলাম আজকের পোস্টটা একটু আগেই করি। যাইহোক সকলে ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।

Sort:  
Loading...

আপনার সারা দিন ভালই কেটেছে, সকালের নাস্তায় ছিল রুটি সাথে আলু ভাজি। সকালে রুটি সাথে আলু ভাজি দিয়ে আমারও অনেক পছন্দ। মোটামুটি তিনটা রুটি খেলে আর দুপুর পর্যন্ত কিছুই খেতে হয় না।
আপনার দৈনন্দিন আরো ভালো কাটুক এবং আপনার দিনগুলো শুভ হোক। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Congratulations!

This post has been supported through the account Steemcurator06 for containing good quality content.

Curated by : @pelon53

 last year 

আপনাদের দুর্গাপূজা চলছে গতকাল সপ্তমী ছিল আপনার দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটেছে। সকালে অনেকক্ষণ যাবৎ ঘুমাতে পেরেছেন, এরপর দাদার বন্ধু আসবে তাদের জন্য মাটন রান্না করেছেন। আসলে মাটন আমি নিজেও পছন্দ করি না।

এরপর আপনার মামা শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য সবাই মিলে প্ল্যান করেছেন। বারোটা নাগাদ কেক কেটেছেন, এভাবেই আপনার একটা দিন পার হয়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যাবলী আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

আলু ভাজা কে দেখে তো আমি মিক্সড সব্জি ভেবেছিলাম।