ভ্রমণ: রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কে যাওয়ার অনুভূতি।
আসসালামুয়ালাইকুম ......
......এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব........।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি।এই প্লাটফর্মের যুক্ত হয়ে ঘোরাঘুরি ও ফটোগ্ৰাফি করার নেশা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে ৯ মাস আগে সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমণ করার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।
রংপুর শহরের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিনোদন পার্ক রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম বিনোদন পার্ক হচ্ছে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক। আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে অনেকেই বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ার মধ্যে এবং এই কমিউনিটির কয়েকজন রংপুর শহরের তারা ইতিমধ্যে পোস্ট করেছেন। তাদের পোস্টের মাধ্যমে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক সম্পর্কে জেনেছেন। রংপুরের মধ্যে এটি একটি বিখ্যাত বিনোদন পার্ক। তবে,আমি নতুন অবস্থায় বন্ধু বান্ধবীদের সাথে কয়েক বার গিয়েছিলাম দিনের বেলায় ।তবে চিকলি ওয়াটার পার্ক দিনের বেলার থেকে রাতে বেলায় দেখতে বেশি সুন্দর । কিন্তু রাতের বেলায় দেখার সৌভাগ্য হয় না বন্ধু বান্ধবীদের সাথে।কারন মেয়ে মানুষ রাতের বেলা ফ্যামিলির লোক ছাড়া ঘোরাঘুরি করা একটু অসুবিধা ।তাই বেশ কয়েক বার যাওয়া সত্যি ও ফ্যামিলির কয়েকজন মিলে প্লান করি । রাতের ভিউ দেখার জন্য চিকলি ওয়াটার পার্ক যাবো।আমরা গতবছর ফেব্রুয়ারি মাস এ গিয়েছিলাম। ব্লগের জন্য আমার ফোনে পিকচার খুঁজেছি হঠাৎ এই পিকচার গুলো সামনে আছে তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আমাদের বাড়ি থেকে রংপুর শহরের যেতে ১ ঘন্টা সময় লাগে।সেই অনুযায়ী আমরা সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলাম ৩ টায় । তারপর রংপুর বাস টার্মিনালে এসে একটি অটো নিয়ে শাপলা চত্বরে হয়ে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ।এরপর পার্কে প্রবেশ করার জন্য আমরা সকলে মিলে টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম। প্রতিটা টিকেট এর মূল্য ছিলো ৫০ টাকা করে ।ভিতরে প্রবেশ করার পর দেখতে পারলাম, চিকলি ওয়াটার পার্কের নতুন নতুন অনেক কিছু তৈরি করতেছে । এতো দিনে হয়তো সব কমপ্লিট হয়েছে ।
আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় পুরো পার্ক ঘোরাঘুরি করলাম সবাই মিলে বিকাল বেলায় ভিউ এ পিকচার তুলে নিলাম ।পুরো পার্ক ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা চলে গেলাম চিকলি ওয়াটার পার্কের মূল আকর্ষণ সেই উত্তরবঙ্গের সব চেয়ে বড় নাগর দোলনার কাছে। নাগর দোলনার পাশে ফুচকা চটপটির দোকান । ফুচকা আমার অনেক প্রিয়,কোথাও গেলে ফুসকা না খেলে মজাই হয় না ।তবে ফুচকার দোকানে অনেক জ্যাম ছিল ।বেশ দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করলাম ফুচকা খাওয়ার জন্য, অপেক্ষা করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তারপরে পুরো ওয়াটার পার্ক নানা রংগের লাইটে আলোতে চারপাশ অনেক সুন্দর হতে থাকে। তারপর আমার খাওয়া দাওয়া শেষ এ আবার ও ঘোরাঘুরি শুরু করে দেই।
চারিদিকে লাইট গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আপনারা সামনাসামনি গিয়ে দেখলে হয়তো বিষয় গুলো আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারতেন । তবে, একটা মজার বিষয় সন্ধ্যা পরে রাতের বেলা এই পার্কের মধ্যে লোক আর ও অনেকই আসতেছে। দিনে তেমনটা লোক ছিল না কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে অনেক লোক । লাইটিং করা জায়গা গুলোতে পিকচার তোলার জন্য সিরিয়াল ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ।
রাতের বেলা পুরো নাগরদোলা টি খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে।পুরো নাগরদোলা টি বিভিন্ন ধরনের লাইট দিয়ে ডেকোরেশন করেছে। শহরের যে কোন জায়গা থেকে এই নাগরদোলা টি থেকে দেখতে পাওয়া যায়। এটা আসলে আমাদের রংপুর শহরের একটি সৌন্দর্য। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় নাগরদোলার কাছে ছবি উঠাইলাম।পুরো পার্ক টায় নানা জায়গায় নানা রকম ভাবে ফোটোগ্রাফি করার জন্য খুব সুন্দর ভাবে সাজানো ।
আপনারা চাইলে সেখানে এসে নিজের সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারবেন। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘোরাঘুরি করার পর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় । আমার কাছে রংপুরে মধ্যে সব পার্কে মধ্যে এই চিকলি ওয়াটার পার্ক অনেক ভালো লাগে।ভাবতেছি আবার ও জাবো ঘুরতে। কারণ এখন আগের থেকে অনেক সুন্দর করেছে কিছু দিন আগে ফেসবুকে একট ভিডিও দেখেছি ।এই ছিল আজকের ব্লগ আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।
Device | Infinix hot 12 play |
---|---|
Camera | 13 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের ভ্রমণ পোস্ট দেখে। রাতের বেলা লাইটিং গুলো বেশ ভালো লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপু আপনাদের ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
চিকলি ওয়াটার পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। আমার কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি। যেহেতু আমার বাসা থেকে অনেকটাই দূরে তাই যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। সময় পেলে কোন একদিন ঘুরে আসবো। দারুন সময় কাটিয়েছেন আপু।
চিকলি ওয়াটার পার্কে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন আপু, ছবিগুলোও অসাধারণ হয়েছে৷
রাতের দিকে বেশি লোক আসে লাইটে জন্য। কারণ বিভিন্ন রকম লাইটে পরিবেশের রং অন্যরকম দেখায়। দিনের বেলায় একরকম দৃশ্য রাত্রে বেলায় আরেক রকম দৃশ্য। এই কারণেই হয়তো মানুষ রাত্রেবেলা বেশি উপভোগ করতে চায়। আপনাদের ভ্রমণ খুব ভালো হয়েছিল জেনে ভালো লাগল।