রেসিপি পোষ্ট : পেঁপে দিয়ে মজাদার খিচুড়ি তৈরি।
আসসালামুয়ালাইকুম ......
......এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব........।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে পেঁপে দিয়ে মজাদার খিচুড়ির রেসিপি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশ ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।
বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের এইদিকে হালকা পাতলা থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে । আমার ছোট ভাই বায়না করে সে খিচুড়ি খাবে । তাই আমি ও আম্মু কে বলি সকাল সকাল খিচুড়ি রান্না করতে ।আমরা বাঙালি মানেই আমাদের কাছে বৃষ্টি মানেই খিচুড়ি উৎসব।এ ছাড়া ও খিচুড়িতে সব ধরনের খাদ্য উপাদান থাকার কারণে এটি শক্তিবর্ধক, স্বাস্থ্যকর খাবার সেটি আমরা সকলেই জানি। ছয় মাস বয়সের বাচ্চা থেকে শুরু করে যাঁদের কর্মক্ষমতা কমে গেছে, তাঁরা সব ধরনের পুষ্টি খিচুড়ি থেকে পেতে পারেন। এছাড়া ও কম ঝামেলার মধ্যে স্বাদযুক্ত খাবারের জন্য অনেক পরিবারের মায়েরা এই খিচুড়ি রান্না তৈরি করে থাকে ।ছোট শিশুরা সাধারণত বেশি খাবার একসঙ্গে খেতে পারে না। তাই আমরা মায়েরা বাচ্ছাদের এই পুষ্টিকর খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ায় ।অনেক উপাদান একসঙ্গে মেশানোর কারণে এতে খাবারের পরিমাণটা বাড়ে এবং সব পুষ্টি একত্রে পাওয়া যায়।যেহেতু একেক ধরনের খিচুড়ি তৈরিতে একেক ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয় তাই ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের উপস্থিতির কারণে বিভিন্ন ধরনের উপকারী ভূমিকা পালন করে।
- চাল।
- কাঁচা পেঁপে কুচি।
- মসুর ডাল ।
- আলু ।
- পেঁয়াজ কুচি ।
- তেজপাতা ।
- হলুদ গুঁড়া ।
- মশলা গুঁড়া।
- আস্ত লাল মরিচ ।
- লবণ স্বাদমতো ।
- কাঁচা মরিচ কুচি ।
- সিদ্ধ বুট ।
প্রথমে চাল ও মসুর ডাল গুলো ধুয়ে একটি পত্র নিয়েছি ।তার পরে পেঁপে গুলো চিকন চিকন করে কুচি করে নিলাম।
এরপর কড়াই পেঁপে কুচি গুলো দিয়ে হলুদ , মসলা,পিঁয়াজ কুচি ,আলু, লবণ , তেজপাতা ও তেল দিয়ে তেল দিয়ে ভেজে নিবো।
এরপর পেঁপের সবজি গুলো আস্তে আস্তে নাড়াচাড়া করে লাল লাল কালার করে ভেজে নিতে হবে ।
এরপরে ভেঁজে নেওয়া পেঁপের সবজি গুলোর উপরে, ধুয়ে রাখা চাল ও ডাল গুলো দিয়ে ৪ থেকে ৫ মিনিট সেগুলোর সাথে নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিতে হবে।
এরপরে আগে থেকে করে রাখা গরম পানি । চাল ও ডালের পরিমাণ মত পানি অল্প অল্প করে দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিতে হবে ।
তারপর ১০ ,১৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে আদাসেদ্ধ করে ।আগে থেকে সেদ্ধ করা বুট গুলো সেখানে দিয়ে নাড়াচাড়া করে আবারও ঢাকনা দিতে হবে।
এরপর যখন সব সেদ্ধ হয়ে যাবে । আর খিচুড়ি ঘন হয়ে যাবে তখন গরম মশলা ছড়িয়ে 5 মিনিট ঢেকে রেখে নামিয়ে নিতে হবে।
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আজকের পেঁপে দিয়ে মজাদার খিচুড়ি 😋।
এই ছিল আজকের রেসিপি পোস্ট পেঁপে দিয়ে খিচুড়ি । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।
Device | Infinix hot 12 play |
---|---|
Camera | 13 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
কম বেশি সব জায়গাতেই বৃষ্টি হচ্ছে তাহলে। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে পেঁপে দিয়ে এরকম খিচুড়ি রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপিটা দেখে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। মজার এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার চমৎকার এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আশা করি অনেক অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপনার পেঁপে দিয়ে তৈরি খিচুড়ি রান্না।
আসলে কেন জানি বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। আসে জায়গায় আপনি পেঁপে দিয়ে রান্না করেছেন। আশা করি আপনার এই রেসিপি অনেক অনেক সুস্বাদু ছিল এবং পরিবারের সবাই খেতে পছন্দ করেছে।
খিচুড়ি আমার খুব পছন্দের। বর্ষাকালে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার পেঁপে দিয়ে মজাদার খিচুড়ি তৈরি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। খিচুড়ি রন্ধন প্রক্রিয়া খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বিভিন্ন ধরনের খিচুড়ি খেয়েছি কিন্তু কোনদিন পেঁপে দিয়ে খিচুড়ি রান্না খাইনি ।আপনি পেঁপে আলু ও মুসুরির ডাল দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে খিচুড়ি রান্না করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপু খিচুড়ি রেসিপি আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনি আজকে পেঁপে দিয়ে চমৎকার খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। খিচুড়ি রন্ধন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কম বেশি সব জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময়ে খিচুড়ি খেতে দারুণ লাগে। ঠিক বলেছেন আপু খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দেওয়া হয় বলে বাচ্চাসহ সবার জন্য এটি খুবই উপকারী। শীতের সময়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায় আর সেগুলো দিয়ে খিচুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আজকে আপনি ভিন্ন রকম খিচুড়ি রেসিপি করেছেন। তবে আলু এবং ডাল দিয়ে অনেকবার খিচুড়ি রেসিপি করে খেয়েছি। কখনো পেঁপে দিয়ে এভাবে খিচুড়ি করে খাই নাই। তবে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু আছে। মজার রেসিপি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
পেঁপে দিয়ে খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করা যায়, তা আসলে আমার জানা ছিল না। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে পেঁপে দিয়ে মজাদার খিচুড়ি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।আর বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে একটু বেশি ভালো লাগে।
খিচুড়ি আমি অনেক পছন্দ করি৷ তবে আজকে যেভাবে আপনি পেঁপে দিয়ে এই খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন এটিকে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে৷ একই সাথে রেসিপি তৈরি করার মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে খুব সুস্বাদু এবং ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেলাম৷ যেভাবে আপনি আজকের এই রেসিপি এখানে শেয়ার করেছেন তা খুবই সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয়৷ ধন্যবাদ এত সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷