ছোটোবেলার স্মৃতিগুলো মনে করে একটা ছবি আঁকলাম।
প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন।আজ একটু ঠান্ডা ও পড়েছে।আজ একটু আঁকতে বসতে ইচ্ছা করলো।
আজ এমন একটা আঁকলাম যা আমরা সবাই ছোটোবেলায় প্রায়ই করে থাকি।আজ সকাল থেকে খুব ছোটোবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ছিলো,তাই ভাবলাম যা ইচ্ছা করছে তাই যদি আঁকি তাহলে তো ভালোই হবে।
আজ আমি আঁকলাম একটা ছেলে পুকুড়ের পাড়ে বসে কাগজের নৌকা ভাসাছে।আমি তো ছোটোবেলায় এইরকম কাজ অনেক করেছি।
তার জন্য মায়ের কাছে মারও খেয়েছি।কারণ খাতার পৃষ্ঠা নষ্ট করার জন্য খুব বকা খেতাম।এখন কার দিনের ছেলে-মেয়েরা এই সব আনন্দ গুলো কিছুই বোঝেনা।
আসলে দোষ তো তাদের না,কারণ এখন ছোটো থেকেই একটাই কথা বলা হয় তাদের যে তারা যেন সবসময় প্রথম হয়।
কিন্তু আমার মনে হয় তাদের এই শৈশবটাকে নষ্ট না করে তাদের একটু মন খুলে আনন্দ করতে দেওয়া উচিত।
তো আসুন আজ আমি কীভাবে আঁকলাম তা আপনাদের কে বলবো।
আঁকার সরঞ্জাম:-
১)এ ফোর পেপারের আঁকার খাতা।
২)ফোর বি পেনসিল।
৩)কাটার।
৪)রবার।
৫)মোম রং।
৬)ব্লেক বর্ডার পেনসিল।
পদ্ধতি:-
১)প্রথমে পেপারের চারিদিকে বক্স করলাম।
২)পেপারের একদম ওপরে একটা সোজা লম্বা করে অল্প দাগ দিলাম।
৩)সোজা দাগের ঠিক নীচে দুটো দাগ দিয়ে সামনে একটা ছোটো লম্বা দাগ দিয়ে মিলিয়ে দিলাম।
৪)ওই দাগ দুটোর ঠিক নীচ দিয়ে ওপরে লম্বা দাগের মতো নীচে আরেকটা লম্বা দাগ অর্ধেকটা দিলাম।
৫)লম্বা দাগের ঠিক নীচে একটু বেঁকিয়ে একটা দাগ টেনে তার ওপরে ছোটো ছোটো ইউ করে জঙ্গল করলাম।
৬)তারপরে লম্বা দাগের একটু নীচের দিকে গা ঘেঁষে একটু বেঁকিয়ে অর্ধেক একটা দাগ টানলাম।
৭)বেঁকানো দাগটার ঠিক পাশ দিয়ে দুটো সোজা দাগ টেনে ওপরের দিকে দুটো ভি করলাম।
৮)তারপরে সোজা দাগের গা দিয়ে ছোটো ছোটো ইউ করে গাছের পাতা করলাম।
৯)তারপরে গাছের পাশে ওই বেকানো দাগটা একটু বাঁড়িয়ে দিলাম।
১০)গাছের ঠিক পিছনে একটা লম্বা দাগ অর্ধেক টেনে তার মাঝখান দিয়ে দুটো সোজা দাগ টেনে ওর গা দিয়ে নীচের দিকে লম্বা দাগটা নামিয়ে দিলাম।
১১)গাছের গুঁড়ির ঠিক নীচে একটু বেঁকিয়ে একটা ছোটো দাগ টানে তার ওপরে ছোটো ছোটো ইউ করে জঙ্গল করলাম।
১২)মাঝের বেঁকানো দাগটার মাঝখানটা মুছে ওখানে একটা অর্ধেক গোল করলাম।
১৩)অর্ধেক গোলের দুধার দিয়ে নামিয়ে একটা ইউ করলাম।
১৪)ইউ ঠিক নীচে ছোটো করে একটা ইউ করলাম।
১৫)ওপরের ইউর দুধার দিয়ে নামিয়ে জামা আর জামার হাতা করলাম।
১৬)তারপরে হাতার ঠিক নীচ দিয়ে দুদিকে দুটো হাত করলাম।
১৭)তারপরে জামার ঠিক নীচে দুটো পা মুড়িয়ে বসে আছে সেটা করলাম।
১৮)তারপরে হাতের ঠিক নীচে একটু বেঁকিয়ে একটা দাগ টানলাম।
১৯)তারপরে দাগের ঠিক নীচে একটা নৌকো করলাম।
২০)তারপরে ছেলেটার মুখের ভিতরে ভ্র,গোল করে দুটো চোখ,ইউ করে নাক,বড়ো ইউ করে ঠোঁট করলাম।
২১)তারপরে ছেলেটার ঠিক পাশে একটা জঙ্গল করলাম।
২২)তারপরে ছেলেটার মাথার পাশে ছোটো ছোটো ইউ করে জঙ্গল করলাম।
২৩)জঙ্গলের ঠিক ওপর দিয়ে দুটো দাগ সোজা টানলাম।
২৪)সোজা দাগের ওপরে ছোটো ছোটো ইউ করে গাছের পাতা করলাম।
২৫)তারপরে আকাশে আকাশি রং টা হালকা করে করলাম।
২৬)তারপরে পাশের বাড়ির দেওয়ালে হালকা পিঙ্ক রং টা লম্ব লম্বা শেড দিয়ে করলাম।
২৭)তারপরে মাঝের সোজা দাগের ভিতরে খয়েরি রং করলাম।
২৮)তারপরে ছোটো গাছের গুঁড়িটা খয়েরি রং করলাম।
২৯)তারপরে পাতার ওপরে লম্বা লম্বা করে হালকা সবুজ রং করলাম।
৩০)তার ঠিক নীচে ডীপ সবুজ রং করলাম।
৩১)তার ঠিক নীচে স্যাফ সবুজ রং করলাম।
৩২)তারপরে পাতার চারিদিকটা ডীপ সবুজ রং দিয়ে আউট লাইন করলাম।
৩৩)বড়ো গাছটার গুঁড়িটা খয়েরি রং করলাম।
৩৪)ওপরের পাতাগুলি হালকা সবুজ রং করলাম।
৩৫)নীচের পাতাগুলো ডীপ সবুজ রং করলাম।
৩৬)গাছের ঠিক পিছনের বাড়িটা কমলা রং করে মাঝখানটা হালকা সবুজ রং করলাম।
৩৭)তারপরে জঙ্গল গুলো ডীপ সবুজ রং করলাম।
৩৮)তারপরে ছেলেটার মাথার চুলটা কালো রং করলাম।
৩৯)তারপরে ছেলেটার মুখ,গলা,দুটো হাত,পা স্কিন রং করলাম।
৪০)ছেলেটার ঠিক পিছনে হালকা হলুদ রং অর্ধেকটা করলাম।
৪১)হলুদ রং এর ওপরে হালকা বাদামি রং করলাম।
৪২)তার ঠিক নীচে হালকা সবুজ রং করলাম।
৪৩)সবুজ রং এর ঠিক নীচে হলুদ রং করলাম।
৪৪)হলুদ রং এর ঠিক নীচে হালকা সবুজ রং করলাম।
৪৫)সবুজ রং এর ঠিক নীচে বাদামি রং করলাম।
৪৬)তারপরে ছেলেটার জামা গোলাপি,আর প্যান্ট টা লাল রং করলাম।
৪৭)তারপরে গোলাপির ঠিক নীচে হাতায় হালকা হলুদ রং দিলাম।
৪৮)তারপরে জলে ডীপ নীল রং করে,নৌকোটা কমলা রং করলাম।
৪৯)তারপরে ছেলেটার
চোখ,ভ্র,নাক,কান,জামা,প্যান্ট পুরোটা ব্লেক বর্ডার পেনসিল দিয়ে আউটলাইন করলাম।
৫০)তারপরে পুরো সিনারিটা ব্লেক দিয়ে বর্ডার করলাম।
আমার আঁকাটা আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন কিন্তু।আজ এখানেই শেষ করলাম।
শুভ রাত্রি।
আমারও আপনার ছবিটি দেখে ছোটোবেলার কথা মনে পড়লো। সুন্দর হয়েছে আঁকাটা। অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ দিদি একদম ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ দিদি।
@sanchita96আমরাও এরকম কাগজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে জলে ভাষাতাম। আপনার আকা দেখে সেই ছোট বেলার দিন মনে পরে গেলো।
ধন্যবাদ দিদি।
বেশ অন্যধরনের আঁকা দেখে ভালো লাগলো, আপনার প্রতিভার বিকাশ হোক এই কামনা করি।
ধন্যবাদ স্যার।
আজকে আপনার আঁকা ছবি আমাকে আমার স্কুল জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো, সেই সময় যখন স্কুল মাঠে বর্ষায় জল জমতো, খাতার পাতা ছিঁড়ে নৌকা বানিয়ে এইভাবেই ভাসিয়ে দিয়ে চোখ রাখতাম কতদূর কার নৌকা পৌঁছয়।
হ্যাঁ দিদি একদম ঠিক বলেছেন।