Boc-lifestyle post ||| স্বপ্নতে বাজার করার অভিজ্ঞতা।
আসসালামু আলাইকুম।সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।আমিও আপনাদের ভালবাসায় সুস্থ আছি ও ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে লাইফ স্টাইল একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।জানিনা আমার পোস্টগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে? তবে আমি চেষ্টা করি সব সময় পোস্টগুলো সুন্দর ভাবে লেখার এবং উপস্থাপন করার।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পোস্টটিতে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
সব সময় আমার স্বামী বাজার করে কিন্তু কিছু কিছু সময় হঠাৎ আমি নিজে বাজার করার চেষ্টা করি।তবে খুব ভালো বাজার করতে পারি তা কিন্তু নয়।তাই গতকাল বিকালে সবজি বাজার করার জন্য বের হলাম আর বের হয়ে চিন্তা করলাম যেহেতু আমি খুব ভালো বাজার করতে পারি না তাই এমন একটি জায়গা থেকে বাজার করা উচিত যেখানে আমি ঠকবো না।তাই সরাসরি আমি স্বপ্নতে চলে গেলাম।স্বপ্নতে বাজার করার একটি সুবিধা সেটি হল দাম দর করতে হচ্ছে না। আমার দেখতে পাচ্ছি কোন টার দাম কত এবং আমার যদি পছন্দ হয় আমি সেই বাজারটি নিয়ে নিতে পারছি।
প্রথমেই সবজি কেনার জন্য সবজির সাইডে গেলাম এবং সবজির বিভিন্ন দাম দর দেখে মনে হল সাধারণ বাজারের চেয়ে এখানে একটু দাম বেশি। তবে প্রতিটি সবজি অনেক সতেজ এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আছে এখানে তাই নিজের পছন্দমত বেছে বেছে নেওয়া যাচ্ছে।সব সবজির দাম দেখে এখান থেকে কিছু কিছু পছন্দমত সবজি কিনে নিলাম এবং নেওয়ার পরে চিন্তা করলাম কিছু মাছ ও মুরগির মাংস নেওয়া দরকার তাই আবার মাছ ও মুরগির মাংসের সাইডে চলে গেলাম।
মাংসর সাইডে এসে দেখলাম সুন্দরভাবে মুরগির মাংসগুলো পিছে পিছে কেটে কেটে রাখা হয়েছে। যে জায়গার মাংস নিতে আমি ইচ্ছু সেই জায়গার মাংস নিতে পারব। আমি যদি শুধু পায়ের মাংস নিতে চাই নিতে পারবে এবং বডির মাংস নিয়ে চাই নিতে পারবে। পায়ের মাংস এবং বডির মাংসের দাম একটু পার্থক্য আছে।তবে এই বিষয়টি দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে কারণ আমার বাচ্চারা পায়ের মাংস খেতে বেশি পছন্দ করে।তাদের একটি কথায় তারা শুধু রানের মাংস খাবে।এজন্য আমি কিছু রানের মাংস নিয়ে নিলাম এবং সুন্দরভাবে তারা কেটে প্যাকেট করে দিয়ে দিল।
এরপর সব বাজার নিয়ে কাউন্টারে এসে বিল করে নিলাম এবং বিল করে টাকা প্রদানে করে স্বপ্ন আউটলেট থেকে বেরিয়ে পড়লাম বাসার উদ্দেশ্যে। বাসায় আসতে আসতে ভাবলাম আজকে বাজার করে আমি মনে হয় ঠকিনি বা খারাপ কোনো বাজার পায়নি এইটুকু বিশ্বাস আমার ভিতর কেন যেন সৃষ্টি হল।বাসায় এসে প্রতিটি বাজার খুলে একটি একটি করে দেখে নিলাম এবং নিশ্চিত হলাম যে আসলে আমি বাজার করে কোন খারাপ জিনিস এখানে পাইনি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি তবে আবারো কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আবার আপনাদের সামনে উপস্থিত হব সে পর্যন্ত আপনাদের থেকে বিদায় নিচ্ছি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।