Indian probiotic drink -Kanji (কাঞ্জি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়)
জানিনা ইতিপূর্বে কেউ এই পানীয়র নাম শুনেছেন কি না!
ভারতে এই পানীয়র বেশ চল আছে, এটি ফারমেন্টেশন এর দ্বারা তৈরী হয়, এবং শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
এই পানীয় সকালে ঘুম থেকে উঠে খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। প্রাতরাশের পূর্বে এই পানীয় পান করলে শরীরের ভিতরের রোগ প্রতিরোধী উপাদান বৃদ্ধি করে।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন, দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের প্রায় সবটাই তৈরি হয় এই ফারমেন্টেড উপাদান দিয়ে।
ধোসা, ইডলি ব্যাটার তৈরি করা হয়, চাল এবং ডাল ফারমেন্ট করে।
সপ্তাহে অন্ততপক্ষে তিন দিন আমাদের সকলের উচিত ফরমেন্টেড খাবার খাওয়া।
আজকে, কাঞ্জি তৈরির জন্য দুটি বিট কিনে এনেছি।
আচ্ছা, শুরুতেই বলি, এই পানীয় কিন্তু রাতারাতি তৈরি সম্ভব নয়!
আজকের লেখায় উপস্থিত, যারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে আগ্রহী, এবং জানতে চান কম খরচে শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ্য রাখতে হয় কিভাবে
তারা একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
দুটি বিটের একটি আজ ব্যবহার করছি, আরেকটি রেখে দিয়েছি।
বাড়িতে থাকা কাঁচের জলের জগে বিট টুকরো টুকরো করে নিজেদের পছন্দের আকারে কেটে নেবেন।
যেহেতু শীতকালে তাপমাত্রা গ্রীষ্মের মত থাকে না, তাই হয়তো একটি বেশি সময় লাগতে পারে, যদি ঘরে রোদ্দুর না আসে।
আমার কাছে ছোটো কাঁচের জগ নেই, থাকলে ভালো হতো! এই কাঞ্জি বেশি ভালো তৈরি সম্ভব কাঁচের জগ এর মধ্যে।
আমার জন্মদিনে পাওয়া ডেসার্ট এর জার দুটি বেশ কাজের হয়েছে, একার জন্য চলে যায়।
কাঁচের পাত্রে বিট, লবণ এবং সর্ষের গুড়ো মেশানোর পরে তোলা ছবি! |
---|
ফ্রিজে রাখা দুটি বিটের থেকে একটা নিয়ে, ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এরপর, তাদের পছন্দের মত করে চৌকো টুকরো করে নিয়ে জারের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
এবার তার মধ্যে খাবার জল মিশিয়ে দিয়েছি, সাথে নুন(পিঙ্ক সল্ট অথবা সাদা আপনাদের ইচ্ছে) এবং সর্ষের গুড়ো।
ভালো হয় বাড়িতে তৈরি করে যদি ব্যবহার করা যায়!
তবে, আমি বাজারে বিক্রিত সর্ষের গুঁড়ো ব্যবহার করেছি।
আপনদের বাড়িতে যদি কাঁচের জলের জগ থাকে তাহলে এই মিশ্রণটি আপনারা সেখানে তৈরি করবেন, তাহলে একসাথে, একবারে অনেকগুলো কাঞ্জি তৈরি করতে পারবেন।
আমার কাছে ওই ছোট্ট জার ছিল, অগত্যা আমি ঐ টিকে ব্যবহার করেছি।
এবার আপনদের যে বিষয়ে জানাতে চাই, সেটা হলো,
এই কাঞ্জি কিন্তু একদিনে তৈরি হয়ে যায় না!
মিশ্রণ তৈরির পর, জার অথবা মিশ্রণের জগটিকে রাখতে হবে ঘরের এমন একটি জায়গায় যেখানে সূর্যের তাপ পর্যাপ্ত গায়ে পড়ে, কাঞ্জি তৈরির পাত্রটির।
এইভাবে, টানা তিনদিন রেখে দিতে হবে পাত্রটিকে বন্দী অবস্থায় তাপবহুল জায়গায়, যদি ঠিকভাবে সূর্যালোক পায়, তাহলে ৩ দিনের মধ্যে এই কাঞ্জি তৈরি হয়ে যায়।
তবে শীতের সময় একটু বেশি সময় প্রয়োজন ফার্মেন্টেশন এর জন্য।
যখন দেখবেন, তিনদিন বাদে একটা টক টক গন্ধ আসছে, আর বিট এর টুকরোগুলো কাঠের চামচ ব্যবহার করে দেখবেন নরম হয়ে গেছে কিনা, ঠিক আচারের মতন।
আজকে তৈরি করে ফারমেন্টেশান করতে রেখে দিয়েছি, তৈরির পর দু'তিনবার পানীয়তে জল দিয়ে ব্যবহার করা যায়! |
---|
যদি দেখেন বিট নরম হয়ে গেছে এবং একটা টক গন্ধ বেরোচ্ছে পানীয় থেকে, জানবেন আপনার কাঞ্জি পানীয় একেবারে তৈরি।
বেচে যাওয়া নরম বিট গুলোকে আচার হিসেবে খেতে পারেন! ঘরে গাজর ছিল, যেটা দেওয়া যায়, কিন্তু আমার পাত্র আকারে ছোট, কাজেই জায়গার অভাবে আমি ব্যবহার করতে পারিনি।
যাদের পাত্র আকারে বড়, তারা ব্যবহার বিট এবং গাজর একসাথে দিয়ে কাঞ্জি তৈরি করতে পারেন।
পানীয় একটি অত্যন্ত উপকারী পানীয় এই কাঞ্জি:-
হৃদয় যন্ত্র সঠিক রাখতে, স্কিনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়, শরীরে ভিটামিন এর যোগানে সহায়ক।
সামান্য খরচে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় সম্পর্কে জানাতে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছিলাম। এটি নিজেদের খাদ্য তালিকায় সংযুক্ত করবার প্রয়াস করুন। সুস্থ্য জীবনযাত্রা এই ব্যস্তময় জীবন যাপন এর মাঝে অত্যন্ত জরুরি।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপশি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের প্রয়াস করুন। ভালো থাকুন সবসময়।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দিদি, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম কিভাবে স্বাস্থ্যকর উপায় বাসায় তৈরি করা যায় এই কাঞ্জি। এই কাঞ্জি মানব দেহের জন্য অনেক উপকার, তা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। আপনার পোস্টে পড়ে অনেক ভালো লাগলো, নতুন কিছু জানতে পারলাম। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল দিদি।
কম খরচে শরীরকে সুস্থ রাখার উপায়। আমিও এই করণার সময় থেকে অনেককিছু শিখেছি এবং সবসময় দামী উপাদান ছাড়াও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রকৃতি জোগান দিয়ে চলেছে, এটা আমরা অনেকেই আজ ভুলে যাচ্ছি, বাজারের অনলাইন পরিষেবা আর বিদেশী মুখরোচক খাবার পেয়ে।
ধন্যবাদ দিদি। আমার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন।
Thank you my friend for your encouraging support
প্রথমেই জানাই দিদি এই কাঞ্জি সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হলাম! এত সুন্দরভাবে কাঞ্জি তৈরির পুরো প্রক্রিয়া বুঝিয়েছেন, যেন মনে হলো নিজেই এটি তৈরি করছি।
ফারমেন্টেড পানীয়ের উপকারিতা এবং এর প্রতি আপনার যত্নশীল দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। কম খরচে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের প্রতি আপনার এই উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। অসাধারণ পোস্ট, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এমন মূল্যবান তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই করণার পর থেকে আমরা অনেক দিক থেকে সচেতন হয়েছি,আর ঠিক সেই কারণে নিজেদের শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ্য রাখতে কম খরচের এই পানীয় অনেক আগে থেকেই প্রসিদ্ধ।
পারলে একবার তৈরি করে খাবার অভ্যেস করবেন, যারা টক পছন্দ করে তাদের জন্য অসুবিধা হবার কথা নয়।
খুব বাজে খেতে এমনটা কিন্তু নয়, কারণ যেমন আচার আমরা খাই খানিক সেরকম।
তবে জলটা আসল। একবারের জল ব্যবহার হয়ে গেলে ওর মধ্যে আবার জল দিয়ে রেখে খাওয়া যায়। সবার পক্ষে অনেক খরচ করে স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব নয়, তাদের জন্য এই পানীয়।
टिप्पणी करने की अनुमति, बहन, यदि आप इसे अपने क्षेत्र में खरीदते हैं तो यह पेय स्वादिष्ट लगता है, इसकी कीमत कितनी है? 🤗☕