আমাদের ভুতের বাগান নিয়ে কিছু কথা।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি মহান রবের কৃপায় আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে টপিক টা নিয়ে লিখতে শুরু করলাম তা হলো আমাদের ভুতের ভিটে আসলে ভুতের ভিটা তো নয় ফলের বাগান। অতীতে নাকি এখানে অনেক ভয়ংকর কিছু হয়েছিল সেজন্য এটার নাম হয়েছি।ভূত-পেত্নীর ভিটে।
আমাদের এই ভূতের ভিটেতে নানান রঙ্গের বঙ্গের গাছ গাছালি দিয়ে ভরপুর একটি ভিটে। এই ভিটে প্রায় এক- দের শত বছরের, যাই হোক এখন প্রায় সব গাছের নানা ফুলের নানা ফলে ভরপুর হয়ে উঠেছে এখন।
আমি আপনাদের মাঝে যে গাছটি নিয়ে প্রথম উপস্থাপন করতে চাচ্ছি। সে গাছটি হচ্ছে আপনাদের চিরো চেনা এবং আমাদের সবার প্রিয় লেবু গাছ।
লেবু গাছে এখন লেবু আচ্ছে, ছোট ছোট লেবু এবং ফুল দিয়ে গাছ ছেয়ে গিয়েছে। লেবু আমাদের সবার প্রিয় একটি ফল যা আমরা সবাই পছন্দ করি। লেবুর উপকারী তা সম্পর্কে আর কি বলবো তা আমাদের সবার জানা।
আসলে আমাদের এই ভিটেতে অনেক ফলের গাছ রয়েছে যা লিখে শেষ করতে পারবো না, আপনাদের কিছু ফুল এবং গাছ নিয়ে বলি।
আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল গাছ এই ভিটেতে অনেক রয়েছে মূলত এটি একটি বাগানের ন্যায়। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল।
প্রতি বছর আমাদের এই ভিটে থেকে অনেক কাঁঠাল আমাদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অনেক বিক্রি করি, আর্থিকভাবে অনেক স্বচ্ছলতাও আসে এখানে থেকে।
এছাড়া ও রয়েছে আমাদের এই ভিটেতে বাদামি গাছ, আমি এই গাছ গুলোর এক সময় অনেক যত্ন নিতাম। কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণে এখন আর এরূপভাবে যত্ন নেওয়া হয় না।
আজকে বাসায় আশার পর আমি কিছু ছবি তুলছিলাম, এমন সময় আমার বাড়ির সদস্য, পন্ডিত মসাই মানে আমার চাচাতো ভাই বল্লো ভাইয়া আমি গাছে পানি দেই প্রতি দিন।
বললাম কভাবে দাও ওই বাড়ি থেকে একটা বোতল আর ছোট স্পে মেশিন দিয়ে পানি দিতে লাগলো। আমি ছবি তুলবো ইচ্ছে প্রসন করলো।
আমি ও ওদের ছবি তুললাম। ওদের এই পানি দেওয়া আগ্রহ দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো, কারন ছোট থেকেই প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শিখুক সবাই।
ওদের ছবি তুললাম আর বল্লো ভাইয়া আমি প্রতি দিন গাছে পানি দেই। আমি বলে দিলাম গাছে প্রতি দিন পানি দিলে তোমাদের অনেক মজা কিনে দেব।
ওরা তখন খেলাদুলা নিয়ে ব্যাস্ত।আমি তখন অন্যন্য সবুজ ফল ফুল নিয়ে ছবি তুলেছিলাম।
আমাদের এই ভিটেতে অনেক প্রজাতির গাছ রয়েছে। এগুলো এখন এক এক একটি রুপ ধারণ করেছে।
কোনোটিতে সবুজ পাতাদিয়ে ভরপুর আবার কোনোটিতে শুকনো রুগ্ন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে আকাশের দিকে।
যদিও বৃষ্টির জন্য উপেক্ষায় রয়েছে গাছগুলো। বৃষ্টি পেলেই সবুজে ছেয়ে যাবে গাছগুলো।
এর মাঝে আরো একটি ফল গাছ দারিয়ে রয়েছে এই ফল সবার প্রিয় পিয়ারা ফল যদিও এখন এর সিজন নয় তবুও দেখতে পেলাম ফল আসছে।
মনে হচ্ছে এই গাছটি সারা বছর ফল দিবে। ফুল এবং ফল দেখে তাই বোঝা যাচ্ছে।
আরো একটি প্রিয় ফল গাছের কথা বাদ পড়ে গেল এই গাছটির নাম আম গাছ। এখন আম আশা শুরু করেছে, প্রতিটি গাছেই।
যা আপনারা ছবির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন। আম আমাদের সবার প্রিয় একটি ফল। প্রতি বছর আমরা অনেক আম বিক্রি করি নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি।
এছাড়া ও রয়েছে বেল গাছ বেল গাছটি একদম বাঁশ ঝারের নিচে, এই গাছটি তেমন একটা বড় নয় কিন্তু ছোট গাছ হওয়ায় বেল অনেক দরে।
সুধ ফল নয় ফুলে ও ভরপুর আমাদের এই ভিটেতে যা আমার ছবি দেখে বুঝতে পাচ্ছেন আশা করি।
এছাড়া ও রয়েছে আলফ লতা এটি ফুল নয় কিন্তু সৌন্দর্য ভরপুর , সুধ দেখতে মন চায়। এটি একটি ঔষধি গাছ যা আপনাদের মাঝে এর উপকারী তা নিয়ে অন্য একদিন আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
তো বন্ধুরা আজ এখানেই আমি শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
Device | Name |
---|---|
Android | Redmi 10C |
Camera | Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @shahinalam12 |
এমন অনেক জায়গা এখনো রয়েছে যেগুলাতে গেলে মানুষ ভয় পেত ৷ তবে এখনকার যুগে ঐ সব নেই বললে চলে ৷ এখন সবকিছুতেই মানুষ অনেক এগিয়ে ৷ তার সাথে আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারন ছিল ভাই এবং সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন খুবই ভালো লাগলো ৷
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আপনি কথা সঠিক বলেছেন এই যুগে এমন আর দেখা যায় না,
মানুষ এখন সু শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে। মানুষ আর এগুলো বিশ্বাস করে না। সেই জন্য এখন এই বিটা এখন ফসলের জমিতে পরিনত হয়েছে।
আসলে আজ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগে মানুষ ভূত-প্রেত এগুলো বিশ্বাস করতো। তবে আমিও বিশ্বাস করি। অশরীরী কিছু না কিছু আমাদের এই পৃথিবীতে রয়েছে। যেটা আমার সাথে ঘটেছিল আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু আপনি যে বাগানের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটা জায়গাকে যদি কেউ ভূত পেতের বাড়ি বলে সম্বোধন করে। তাহলে সেটা আমি মেনে নিতে কখনোই পারবোনা।
আপনি অনেকগুলো গাছ সম্পর্কে আমাদেরকে আলোচনা করেছেন। এবং সেগুলোর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন
ছোট ভাই তোমার পোস্টটা পড়ে আমি তো প্রথমে অবাক হয়ে গেছিলাম যে ভূত পেত্নীর কথা শুনে। আসলে তুমি যে ভূতের কথা বলছিলে সেখানে অতীতে অনেক ভূত-পেত্নী বসবাস করত এরকম কাহিনী শুনতে পেরেছিলে কিন্তু বর্তমান যুগের মানুষ ভূত-পেত্নী বলে বিশ্বাস করে না। কারণ আসলে পৃথিবীতে ভূত বলতে কোন কিছুই নেই। যা আছে তা হল কিছু খারাপ জিন পরি বিভিন্ন রূপ দেখে মানুষকে ভয় দেখায়। ছোট ভাই তোমার পোস্টটা পড়ে বুঝতে পারলাম তুমি বিভিন্ন গাছ যেমন লেবু কাঁঠাল পেয়ারা বিভিন্ন গাছ নিয়েও তোমার পোস্টে মাধ্যমে তুলে ধরেছ।তাই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এমন সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবে
ভূত বিষয়টা আমার কাছে পুরোই কাল্পনিক। তবে যাইহোক, আপনি সুন্দর সুন্দর আলোকচিত্র উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের, ধন্যবাদ ভাইয়া।