৫ টি প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক
![]() |
|---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
এন্টিবায়োটিক আমাদের দেহে ব্যবহার করা হয় শরীরের ইনফেকশন দূর করতে। এই এন্টিবায়োটিক এর প্রধান কাজ হল শরীরের অভ্যন্তরীন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি বন্ধ করে ইনফেকশন হতে দেয় না। বিভিন্ন কারনে আমাদের দেহে ব্যকটেরিয়া আক্রমন করে। আর এই ব্যকটেরিয়াকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিকে আমাদের দেহে ব্যবহার করা হয়।
তবে অতিরিক্ত কিংবা অপ্রয়োজনিয় ভাবে এন্টিবায়োটিক গ্রহন করা মানব দেহের জন্য অতন্ত্য ক্ষতিকারক। এতে করে দেহের ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়ার সাথে উপকারী ব্যকটেরিয়া গুলো ধ্বংস হশে পড়ে। এতে আমাদের দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তবে প্রকৃতি কিছু উপাদান বা খাবার আছে যে গুলো সেবনে দেহ এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ। তেমনি ৫ টি উপাদান রয়েছে যাতে আছে এন্টিবায়োটিক তা নিয়ে আজ আমি আলোচনা করবো।
রসুনকে বলা হয় প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক কারন এতে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিভাইরাল। এতে আরো রয়েছে ভিটামিন, এলিসিন ও সেলেনিয়াম নামক উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এই এলিসন নামক উপাদানের কারনে রসুনকে বলা হয় সুপার ফুড। নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এটি যৌন দূর্বলতায় অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খেলে আমাদের দেহে এন্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে।
মধুতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এত বেশি। তাই একে ঘরোয়া এন্টিবায়োটিক বলা হয়। বেশির ভাগ এন্টিবায়োটিক তৈরিতে মধু ব্যবহার হয়। মধুতে বিদ্যমান এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও এন্টিসেপটিক অনেক ইনফেকশন এর সাথে লড়াই করতে উপযোগী। মধু ব্যকটেরিয়া সৃষ্টিতে বাধা দিয়ে থাকে। অন্যান্য খাবার থেকে মধুতে পানির পরিমাণ কম থাকে। এই পানির পরিমাণ কম থাকায় শরীরের যেকোনো ক্ষত স্থানের পানি দ্রুত চুষে নেয় এতে দ্রুত ক্ষত স্থান শুকিয়ে যায়। ব্যকটেরিয়ার কোষের তরল থেকেও মধুর ঘনত্ব বেশি হওয়ায় ব্যকটেরিয়া মধুর সংস্পর্শে এলে জীবাণুর কোষ থেকে পানি মধু শোষণ করে ফেলে। এতে ব্যকটেরিয়ার কোষ পানির অভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।
![]() |
|---|
আদাতে প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক রয়েছে যা দেহের অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। আদায় রয়েছে বিভিন্ন খনিজ, মিনারেল ও ভিটামিন। আমাদের দেহের বিভিন্ন সমস্যা যেমন পেটফাঁপা, বুক জ্বালাপোড়া, পেটব্যথা, আমাশয়, পাকস্থলীর সমস্যা, লিভারের সমস্যা সারাতে এন্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে আদা এছাড়াও হৃদযন্ত্রের ও উচ্চরক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে এই আদা।
প্রাচীন কাল থেকেই হলুদ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলুদে রয়েছে কার্কুমিন নামক শক্তিশালী উপাদান যা এন্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। আয়ুর্বেদ ও চীনা চিকিৎসায় অনুসারে হলুদের এন্টিবায়োটিক ব্যকটেরিয়া ধ্বংসে অনেক কার্যকরী। ক্ষত স্থান সারাতে হলুদ বেশ কার্যকরী।
খুব সহজলভ্য এন্টিবায়োটিক এর মধ্যে একটা হল নীম। যা ক্ষতিকারক ব্যকটেরিয় ধ্বংস করতে সক্ষম। বিশেষ করে চর্ম রোগের যম হল এই নীম পাতা। এছাড়াও ব্রন ত্বকের যেকোন ইনফেকশন নিরাময়ে নীম বেশ উপযোগী। শুধু তাই নয় দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে নীমের জুড়ি মেলা ভার। নীম দেহের ক্ষত দূর করতেও অনেক উপযোগী।
এছাড়াও আরো অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে এন্টিবায়োটিক। যা আমাদের দেহের জন্য অতন্ত্য উপকারী।
আজ এ পর্যন্ত বন্ধুরা। সবাই নিজের যত্ন নিবেন। আবার আসবো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে।
I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the The five natural antibiotics.






আপনি আজকে ৫ টি প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক নিয়ে সময়োপযোগী একটি পোস্ট করেছেন। এগুলো খুব ই সহজলভ্য এবং সবার বাসায় ই থাকে। কিন্তু অনেকেই আমরা জানতাম ই না এদের এত শত এন্টিবায়োটিক গুণের কথা।
আপনার পোস্টের মাধ্যমেবনেক কিছু জানতে পারলাম। সামনে আরো এমন পোস্ট আশা করি পাবো। ধন্যবাদ
প্রকৃতি আমাদের চারপাশেই আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান রেখে দিয়েছে। আমদের শুধু খুঁজে বের করে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতে হবে।
এত চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।আমি আপনার পোস্টটি মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম আর আপনি ৫ টি প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক এর সম্পর্কে অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
আজকে আপনি আমাদের সাথে পাঁচ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাও আবার প্রাকৃতিক, আসলে প্রাকৃতিক এই অ্যান্টিবায়োটিক গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। সেটা সম্পর্কে আমি সামান্য ধারণার রাখতাম। কিন্তু আজকে আপনার পোস্ট পড়ে সম্পূর্ণটা বুঝতে পারলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, এই পাঁচটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে এত সুন্দর একটা বিষয় আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আজকে আপনি প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে পোস্ট করেছেন।। আমাদের প্রাকৃতিক এই রয়েছে অনেক এন্টিবায়োটিক যেটা আমরা অনেকেই জানিনা।। আজকে আপনি এই এন্টিবায়োটিক নিয়ে বেশ কিছু তথ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।।
আপনার আজকের পোস্ট করে আমি খুবই উপকৃত হলাম খুবই ভালো লেগেছে।।