ঘাসফুল এবং পাতাবাহারের মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন?আলহামদুলিল্লাহ!আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় আমিও ভালো আছি।
আপনারা জানেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিনই নিয়মিত ক্যাম্পাসে থাকি। গত 11 সেপ্টেম্বর এর দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পর্কে লিখেছি। ওইদিনের কার্যক্রম একটু বেশি ছিল তাই শেষ করা হয়তো সম্ভব হয়নি। যাই হোক আজকে ওই দিনের কার্যক্রম নয় বরং লিখবো ওইদিনের করা ফটোগ্রাফি নিয়ে। আমি ঐদিন একাডেমিক এর উইভিং শেড এর সামনে থেকে ঘাসের ফুল এবং পাতাবাহার এর ফটোগ্রাফি করেছি। আমার ক্যাম্পাসে ফুল, ফল সবকিছুতেই ভরপুর।
ঘাসফুলের ফটোগ্রাফিঃ |
---|
ঘাসফুল ছাড়া এই সবুজ শ্যামল মাটিতে তেমন কোন কিছুই ঐরকম ভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। বেশ কিছু ঘাসের ফটোগ্রাফি করা যেতে পারে। ফটোগ্রাফি করতে গেলেও প্রচুর পরিমাণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করতে থাকে। আবার কেউ কেউ পাগল বলেও সম্বোধন করতে দ্বিধাবোধ করে না। সময় সুযোগ নিয়ে ক্লাসের ফাঁকে, একটু নিরবে একাকিত্বে এইসব কাজ সম্পন্ন করতে হয়।
ঘাসের ফুলের সাথে কালো এক ধরনের পিপড়া, যেগুলোকে আমরা আঞ্চলিক ভাষায় অনেক কিছু বলে ডেকে থাকি। তারা হয়তো নিজেদের বাসস্থানে সময় পার করছে এবং এখান থেকে খাদ্য সংগ্রহ করছে। তারা প্রত্যেকেই প্রচুর পরিমাণ ব্যস্ত তাদের হাতে কোন প্রকার সময় নেই এদিক সেদিক ফিরে দেখার। আমি আপন মনে তাদের মনোযোগ দেখছিলাম এবং কাজে কোন প্রকার অনিহা ছিল না।
তাদের এই কার্যক্রম গুলো দেখে আমি একটা সাহস পেয়েছি। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের স্বপ্নগুলোকে আঁকড়ে ধরা উচিত, তাহলে সফল হওয়া সম্ভব। তাদের এই আত্মবিশ্বাস আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। যদিও তাদের কার্যক্রম গুলো কাছে থেকে ফটোগ্রাফি করার সুযোগ হয়নি, এবং আমি মোবাইলটা নতুন ব্যবহার করাই ক্যামেরার অনেক কিছু বুঝতে পারি না। চেষ্টা করেছিলাম তবে মোবাইল কাছে নেওয়ার সাথে সাথে তারা লুকিয়ে পড়ে আড়ালে, যেন এক ধরনের যুদ্ধ চলছে আমার সাথে।
এটাও এক ধরনের ঘাসের ফুল, এর ভিতর থেকে সাদা সাদা এই ধরনের তরল বের হয়। এটা অনেক সময় বিভিন্ন জিনিস জোড়া লাগানোর সময় ব্যবহার করে থাকি আমরা। এতে এক ধরনের ছোট ছোট ফুল ফুটে আছে যেগুলোর কোন গন্ধ নেই।
পাতা বাহারঃ |
---|
পাতাবাহার মূলত বাহারী রঙের পাতা নিয়েই গঠিত। বিভিন্ন ধরনের পাতা বাহার হয়ে থাকে, এরমধ্যে হলুদ এবং সবুজ রঙের পাতা বাহার বেশি দেখা যায়। লাল রঙের পাতা বাহার পাওয়া যায় যা সেই সময় আমার কাছে ছিল না। লাল রঙের পাতা বাহারের মাঝখান দিয়ে লাল এবং উভয় পাশে সবুজ অথবা এরকম এক ধরনের সাজসজ্জা। তবে হলুদ রঙের ক্ষেত্রে ভিন্ন, সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ হলুদ ছোপ ছোপ দাগ থাকে যা পাতার নিয়ে পরিচিত।
আজকের মত এ পর্যন্তই তবে আগামী দিনগুলোতে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ। সবাই নিজেদের স্বাস্থের যত্ন নেবেন এবং নিজের স্বজনদের খুশি রাখার চেষ্টা করবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ |
---|
Device | Name |
---|---|
Android | Redmi 10C |
Camera | 5 MP f/2.2, Primary Camera 📸 |
Location | Bangladesh 🇧🇩 🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩 |
Short by | @sheikhtuhin |
ফটোগ্রাফি করতে প্রত্যেকেরই ভালো লাগে ।কিন্তু সবাই তো আর ঠিকঠাক ফটোগ্রাফি করতে পারে না। আপনার পোস্টে সমস্ত কাজ গুলি রাস্তার ধারে ধারে দেখা যায়। তবে গাছ গুলির নাম জানা নেই। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পাতাবাহারি গাছটা অনেকদিন পর দেখলাম ।ছোটবেলায় পাতাবাহারি গাছের ডালগুলো ভেঙে কত খেলা করে বেরিয়েছি। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কিছু কিছু সময় অনেক কিছুই নাম আমরাই জানি না শুধু চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তবে এইগুলা সোনালী অতীত হয়ে থাকে, পাতাবাহারী গাছ প্রায় সব বাড়িতেই আগে ছিল এখন নেই বললেই চলে।
জ্বী অবশ্যই!
আমার কার্যক্রম গুলো রাস্তার ধারেই বেশিরভাগ সময় হয় কারণ অধিকাংশ সময় কলেজ যাওয়ার সময় বা আসার সময় ছবিগুলো তুলে থাকি।
এই ফটোগ্রাফি করতে আমার প্রচুর পরিমাণ সময় লেগেছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার ফল সবাই চলে যাওয়ার কারণে আমি করতে পেরেছি। আমার একজন বন্ধু আছে যে আমার মোবাইল নিয়ে সবসময় টানাটানি করে তাকে তখন আমি খুব অপছন্দ করি।
আমাদের গ্রামের স্কুলে মাঠের পাশে বিভিন্ন ধরনের ঘাসফুল পাওয়া যায়। কিছু কিছু ফুল দেখতে এত সুন্দর যা পরিচিত ফুলের চেয়েও ভাল লাগে।
আসলে গ্রাম বাংলা বলতে সবুজ শ্যামলে ভরপুর।
এই জায়গাগুলোতে সবসময় এই ধরনের জিনিস গুলোই বেশি দেখা যায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখাতে মন্তব্য করার জন্য। এবং মতামত সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য ও প্রশংসা করার জন্য।
রাস্তার পাশে অনেক ঘাসফুল দেখা যায়, অনেক ফুলের নাম আমরা জানিও না, তবে ফুল সবসময় সুন্দর হয়, আর সেটা যদি সুন্দর ফটোকপি মাধ্যমে হয় তাহলে আরো বেশি সুন্দর দেখাবে, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর উপস্থাপনা করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার ফটোগ্রাফি মনোযোগ দিয়ে দেখার জন্য এবং সেটাতে সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। চলার পথে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলোর নাম আমরা জানি না, হয়তোবা চেষ্টা করলে কোন না কোন ভাবে জানা যেতে পারে কিন্তু সেটাও সময়ের কারণে হয় না।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন মাধ্যমে অনেক কিছুর নাম জানা সম্ভব, একটু চেষ্টা করলেই আমরা অনেক কিছু জানতে পারি, আমাদের চারপাশে অনেক জিনিস আছে যেগুলোর নাম আমরা জানি না, অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টের সুন্দর রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।
আসলে ডিজিটাল যুগে এসেও সঠিকভাবে সবকিছুর নাম জানা সম্ভব হয় না। অনেক সময় গুগলে সার্চ করলে সেখান থেকে সঠিক নাম আসে না। তাই জানার আগ্রহ থাকলেও আমরা অনেক সময় বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে পারি না।
ঘাসফুল আমার পছন্দের একটি ফুল। পাতা বাহার এটা একটা সৌন্দর্যময় গাছ। আমার কাছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর লেখাটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি পরবর্তীতে আরো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবে।
আপনাকে ধন্যবাদ আপনার পছন্দের কথা জানানোর জন্য। আমার লেখাটা পড়ে এবং পুরো পোস্টটা দেখে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ইনশাল্লাহ আমি চেষ্টা করব আগামীতে আরো ফটোগ্রাফি নিয়ে আসার জন্য