সত্য ঘটনা অবলম্বনের ভুতের গল্প-০১ ||10% Beneficiary to @shy-fox
প্রথমে জানায় শারদীয়া শুভেচ্ছা“আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা”কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ।আমিও ভাল আছি । ।আজ আমি হাজির হয়েছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে ।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের বাগানে যে ভূত আছে তার কথা। অনেকে আছে ভূত এর বিষয় টা বিশ্বাস করেন না। আমি কিন্তু বিশ্বাস করি।
সোর্স
আমাদের গ্রাম টা ঘাগড়া থেকে হেটে গেলে ৩০মিনিট মত লাগে, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া সময় বড় একটা সিড়ি উঠা লাগে সিঁড়ি সেপ্ট প্রায় ১৮০ টা মত। সিঁড়ি উঠার সাথে সাথে হচ্ছে আমাদের বাগান। বাগানটা বিশাল বড় বিভিন্ন ধরনের গাছ আছে , ফল মুল গাছ ও প্রায় সব ধরনের আছে এবং সাথে বাঁশ বাগান এক সাইটে আছে। বাগানে রাস্তাটা কাঁচা রাস্তা ।আমাদের বাগানে রাস্তা দিয়ে গ্রামের মানুষরা আসা যাওয়া করে । বাগান শেষ হওয়ার পর পর হচ্ছে আমাদের বাড়ি।
আমাদের বাগানের রাস্তা হচ্ছে মেইন রাস্তা গ্রাম এর মানুষ সবাই আসা যাওয়া করে এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া সময় ভুতের সাথে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বাগানে ভিতর বড় একটা বটগাছ আছে। ঐখানে ভুতের বাসা সবাই বলে তবে আমি বটগাছ টি এখনও দেখি নাই। এত বছর বিয়ে হয়েছে আমি আমাদের বাগানে ভিতর একবার ও যাই।যে রাস্তা কথা বলতেছি ও রাস্তা দিয়ে আমি দিনের বেলা একা আসা যাওয়া করতে পারি না ভয় লাগে।
বেশ কয়েক মাস আগে পেহেলা বৈশাখ সময় আমরা যখন বাড়িতে যায় তখন ও আমাদের সাথে ঘটে এই বিষয় গুলো।অমব্যাসা ও পূণির্মা তে বেশি ভূতের উপদ্রপ টা বেড়ে যায়, আমার দাদি শাশুড়ী বলে অনেকে বলে । আগে পাকিস্তান আমলে নাকি আমাদের বাগানে ভিতরের বটগাছে গলা ফাঁস দিয়ে নাকি মানুষ মরা যায় ঐ লোক গুলো নাকি উদ্ধার হয় না।আমরা পূর্ণ জম্ম বিশ্বাস করি। কেউ যদি আত্মহতা করে সেই মানুষ কুলে জম্ম গ্রহণ করতে পারে না।প্রেতাত্মা হয়ে থাকে ঘুরে । ওনাদের উদ্দেশ্য আমাদের ধর্মী অনুয়ায়ী দান ধর্ম করে দিয়েছে ঐ বটগাছের নিচের নাকি ২০১৬ সালে নাকি আমাদের ধর্ম গুরু ভান্তে রা ৭দিন ব্যাপী ধ্যান সাধনা করছেন। বটগাছের নিচের বসে । ঐ জায়গায় পিন্ড চারণ করতেন।এরপর থেকে নাকি কমছে। তবে এই বছর নাকি আবার আগে মত হচ্ছে , মানুষের রুপে নাকি দেখা যায় বলে গ্রামের লোকেরা।
একদিন নাকি আমার কাকি শাশুড়ি বাজার থেকে আসতেছিল একটু সন্ধ্যা হয়ে গেছে , একা নাকি। কাকি তবে ভয় পাই না, অনেক সাহসী। পিছনে দিক থেকে ডাক দেয় আমার দাদি শাশুড়ী বলে কি আনতে গেছ মা বাজারে বলে, কাকি বলে কয়েক টা বাজার শেষ হয়ে গেছে তাই আনতে গেছি।
কথা বলে বলে নাকি আসতেছিল দুই জনে ।প্রায় অর্ধেক রাস্তা এসেছে গেছে ।পরে কাকি শাশুড়ি জিজ্ঞেস করে তুমি কোথায় গেছ?এত দেরি করে আসতেছ কেন? অনেক জিজ্ঞেস করা পর কোন উত্তর না পেয়ে পরে পিছনে ফিরে দেখে কেউ নাই, তখন প্রায় বাড়ি কাছাকাছি আসছে কাকিদের বাড়ি রাস্তা টা আলাদা ।যেহেতু কথা বলে আসতেছে কাকি তো সামনে ছিল। কাকি কিছু মনে না করে চলে আসে বাড়িতে ।কাকির অনেক পানি পিপাসা লাগছে তাই তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসছে দেরি না করে ।দাদি জন্য অপেক্ষা করে নাই ।
তারপর দিন সকালে আমাদের বাড়িতে যায় আমার দাদি শাশুড়ী কে জিজ্ঞেস করে গতকাল আসতে কোথায় হারিয়ে গেছিলা। কাকি বলে আমি পরে চলে আসছি তোমার জন্য অপেক্ষা করতে পারি নাই।
আমার দাদী শাশুড়ী অবাক শুনে আমি কোথায় যায় না বলে।দাদি বাজারের যায় না বলে চলে ,বছরের মনে হয় একবার কোথায় বেড়াতে গেলে যায়।
এই রকম অনেক ঘটনা আছে, আমার তো অনেক ভয় লাগে,আমার সাথে একদিন হয়েছে এই বছর পহেলা বৈশাখ সময় যখন আমরা বাড়িতে জায়। অন্য একদিন শেয়ার করব যদি আপনারা জানতে চান কমেন্ট করে জানাবেন ।সবাই ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ সকলকে আমার পোস্ট পড়ার জন্য ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া ভালো খারাপ আছে ভূত মধ্যে। আমরা বলি ভূত আপনারা বলেন জীন । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করাব জন্য।
আসলে আমি ভূত-প্রেত তেমন একটা বিশ্বাস করি না। তবে জ্বীন আছে এটা বিশ্বাস করি। শুনেছি নাকি নির্জন জায়গায় জ্বীনেরা বসবাস করে। আর শুনেছি নাকি জিনেরা মানুষের রূপও ধরতে পারে হতে পারে ওটা কোন জ্বীন ছিল।
আপনারা বলেন জীন আমরা বলি ভূত একি কথা।
আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভয় লাগলো। আসলে আপনার লেখনি খুবই সুন্দর ছিলো গল্পটি পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করাব জন্য।