Better Life With Steem | | The Diary Game | | 21 December, 2024
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে আজকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের থেকে আজকে একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। যদিও বিকেল ডিউটি ছিল, তারপরও তাড়াতাড়ি উঠেছি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যে আবহাওয়া দেখতে পেয়েছি একদম অন্যরকম।
সকালবেলা চাঁদপুর শহরে ঝিরঝির করে বৃষ্টি হয়েছে। কুয়াশা ভরা এরকম সকাল দেখতে একদম অন্যরকম লাগে। যাইহোক, ঘুম থেকে যেহেতু উঠেছি পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। পরে বড় ভাইরা সবাই মিলে চিন্তা করলাম আজকে বাইরে নাস্তা খেতে যাব। কিন্তু এর মাঝে একটা ঝামেলা হয়ে গেছিল।
হঠাৎ এক ভাইয়ের ফোন আসে, পরে জানতে পারি, বড় ভাইকে চাঁদপুর ল্যাবএইড ব্রাঞ্চ থেকে সিলেটের ল্যাবএইড ব্রাঞ্চে ট্রান্সফার দিছে। কথাটা শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেছিল। কারণ অনেকদিন থেকে সবাই মিলে একসাথে থাকি, একদম নিজের পরিবারের মত হয়ে গেছি।
যেহেতু বড় ভাইয়ের ট্রান্সফার হয়ে গেছে এখানে আর কিছুই করার নেই। পরে চিন্তা করলাম বড় ভাই যেহেতু চলে যাবে, ভাইয়ের জন্য কিছু একটা কিনে গিফট করবো। পরে সবাই মিলে বাসা থেকে বের হয়ে বাইরে গিয়ে আগে নাস্তা খেয়েছি।
আজকে সকালের নাস্তাটা একদম অন্যরকম ছিল। অনেকদিন পর এরকম নাস্তা খেয়ে খুব ভালো লেগেছিল। প্রতিদিন ঘুম থেকে দেরিতে উঠার কারণে ঠিকমতো নাস্তা খাওয়া হয় না। যাইহোক, নাস্তা খাওয়া শেষ করে আমরা মার্কেটে গিয়েছি। সেখানে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর বড় ভাইয়ের জন্য একটা শার্ট কিনেছি। যদিও শার্টের দোকানের ছবি তুলেছি। কিন্তু শার্টের ছবি তোলার কথা মনে ছিল না।
পরে সব কাজ শেষ করে বাসায় চলে এসেছি। আমার যেহেতু বিকাল ডিউটি ছিল, তাই তাড়াতাড়ি গোসল করে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। পোস্টের শুরুতেই বলেছি, আজকে আবহাওয়া অনেক খারাপ ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ অফিসে পৌঁছে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে আজকে কাজের চাপ একদমই কম ছিল। শুক্রবারে কাজের চাপ হওয়ার পর, পরের দিনে কাজের চাপ একটু কমই থাকে। তার উপর আবার আজকে আবহাওয়াও খারাপ ছিল। মোটামুটি সন্ধ্যা পর্যন্ত আজকে অবসর সময় কাটিয়েছি।
সন্ধ্যার দিকে হালকা ক্ষুধা লেগেছিল, পরে নাস্তা খাওয়ার জন্য বাইরে গিয়েছি। সন্ধ্যায় নাস্তা খাওয়া আমার পুরনো দিনের অভ্যাস। সন্ধায় আমি কিছু না খেলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। কিন্তু আজকে যে কাজের চাপ এতটাই কম হবে পুরোটাই ধারণার বাইরে ছিল। সব থেকে বড় সমস্যা হলো, রাত ৭টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেছিল।
বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর, জেনারেটর চালু করার কিছুক্ষণ পরেই জেনারেটর নষ্ট হয়ে গেছে। মানে আজকে একটার পর একটা বিপদ লেগেই ছিল। যেহেতু কাজের চাপ ও ছিল না, জেনারেটরও নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই আজকে তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে। এরপর প্রতিদিনের মতোই বাসায় চলে এসেছি।
আপনাদের ওদিকে বৃষ্টি হয়েছে যেমন তেমন কলকাতার দিকেও বৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের এদিকে চারিদিকটা মেঘলা ছিল সকাল থেকে। সবাই মিলে একসাথে থাকতে থাকতে যদি সত্যিই কারো ট্রান্সফার অন্যদিকে হয়ে যায় স্বাভাবিক খারাপ লাগবে। বড় ভাই চলে যাচ্ছে বলে আপনি ওনার জন্য গিফট কিনে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার সারাদিনের গল্প আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সেদিন মোটামুটি দক্ষিন অঞ্চলের অনেক জায়গায় হালকা ঝিরঝির বৃষ্টি হয়েছে। আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনাদের কলকাতায়ও বৃষ্টি হয়েছে।
সত্যি অনেক দিন একসাথে থাকাতে নিজের একটা পরিবারের মত হয়ে গেছিলাম। এভাবে হঠাৎ একজন চলে যাওয়াটা আসলে অনেক কষ্টকর।
বড় ভাই যেহেতু চলে বড় ভাইকে একটা গিফট করেছিলাম।
আপনার মন্তব্য পরে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
আসলে গতকালকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আমাদের এখানে হয়েছে, যার কারণে পরিবেশটা একেবারেই অন্যরকম ছিল। আর আপনার বড় ভাই যেহেতু আপনাদের এখান থেকে ট্রান্সফার হয়ে চলে যাবে তাই আপনারা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বড় ভাইকে কিছু গিফট করবেন এটা খুবই ভালো একটা সিদ্ধান্ত।
অতিরিক্ত দেরি করে ঘুম থেকে উঠে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ একটা বিষয়। বিষয়টা যত এড়িয়ে চলতে পারবেন তত ভালো থাকতে পারবেন। আপনাদের প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের সমস্যার কারণে গতকালকে খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় চলে এসেছেন। ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সেদিন চাঁদপুরেও মোটামুটি ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। সত্যি অনেকদিন পর সবাই মিলে একসাথে থাকার পর চলে যাওয়াটা অনেক কষ্টকর। আমরা সবাই মিলে বড় ভাইকে একটু শার্ট গিফট করেছিলাম।
ভালো করেই জানি যে, অতিরিক্ত ঘুমানো শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি। আমি এই অভ্যাসটা চেঞ্জ করতে চাই। কিন্তু তারপরও ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।