পার্বতীপুর বাস টার্মিনালে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলের আশেপাশে যেসব দোকান চোখে পড়েছিল
আসসালামুআলাইকুম। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখে পার্বতীপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি বিশাল ওয়াজ মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছিল। যদিও ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে পারিনি, কিন্তু বিকালে যখন বাস টার্মিনালে গিয়েছিলাম তখন এখানে ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে অনেকগুলো দোকান পড়েছিল।
মূলত ওয়াজ মাহফিলে অনেক লোকসমাগম হয়, আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু ক্ষুদে বিক্রেতা আছেন যারা রাস্তায় খাবার কিংবা খেলনা বিক্রি করেন তারা একটু বেশি অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন। আর মাহফিলের আশেপাশে গঠিত এসব দোকানে ব্যবসা বেশ ভালো হয় এবং মুখরোচক অনেক খাবার পাওয়া যায়, এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবারও রয়েছে। খাবারের পাশাপাশি কিছু খেলনার দোকানও রয়েছে।
মুড়িমাখার দোকান আমাদের সব থেকে পরিচিত এবং পছন্দের একটি দোকান। মাহফিল এলাকায় বেশ কয়েকটি মুড়িমাখার দোকান দেখতে পেয়েছিলাম। আমার বন্ধু অল্প কিছু টাকার মুড়িমাখা কিনেছিল। মানুষ অন্যান্য খাবারের তুলনায় মুড়িমাখা খেতে বেশি পছন্দ করে।
এগুলো খেলনার দোকান। খেলনার দোকান বেশ কয়েকটি ছিল। মেলায় যেসকল খেলনা এবং অন্যান্য প্লাস্টিকজাতীয় সামগ্রী পাওয়া যায়, এখানেও সেরকম কিছু পণ্য পাওয়া যায়। দোকান দুটিতে বেশ ভালো ভিড় ছিল।
সেখানে দুটি দোকান দেখেছিলাম যেখানে রকমারি বেলুন বিক্রি হচ্ছিল। বেলুন বাচ্চাদের অন্যতম পছন্দের একটি খেলনা। এখানে বিভিন্ন আকৃতির বেলুন বিক্রি হচ্ছিল। মাছ আকৃতির বেলুনগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। এগুলো দামেও বেশ সস্তা।
হাওয়াই মিঠাই একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিজাতীয় খাবার। এটা অনেকের শৈশবের প্রিয় খাবার। হাওয়াই মিঠাই প্রচুর সুস্বাদু এবং এই খাবারটি দামে অন্যান্য খাবারের তুলনায় সস্তা।
ছেলেটির কাছে অনেকগুলো হাওয়াই মিঠাই ছিল। এখন সচরাচর হাওয়াই মিঠাই দেখতে পাওয়া যায়না। হঠাৎ স্টেশনে কিংবা মেলা কিংবা কোন ওয়াজ মাহফিলের অনুষ্ঠানে খুবই স্বল্প পরিসরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হয়।
একটি বিশাল আচারের দোকান। আচার একটি টক জাতীয় খাবার হলেও এটি বাঙালিদের পছন্দের খাবার। এই দোকানে বিভিন্ন পদের আচার পাওয়া যাচ্ছিল। ডাল-ভাতে কিংবা অন্যান্য খাবার খাওয়ার সময় আচার খেলে খাবার বেশ উপভোগ্য মনে হয়।
আচারগুলো দেখতে সুন্দর লাগছিল। তবে এই দোকানের আচার চেখে দেখা হয়নি। তবে সুস্বাদু হওয়ার কথা। দোকানদার আচারগুলো বিভিন্ন পাত্রে বেশ সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন। বরই আচার, আমের আচার, চালতার আচারসহ বিভিন্ন ধরণের ঝাল-মিষ্টি-টক আচার আছে এই দোকানে।
সবার শেষে শেয়ার করছি গুড়ের জিলাপির ছবি। যে কোন মেলা, হাট বা সমাবেশ অনুষ্ঠানে গুড়ের জিলাপি অন্যতম আকর্ষণ। গুড়ের জিলাপি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে।
এখানে টাটকা গুড়ের জিলাপি পাওয়া যাচ্ছিল। গরম গরম গুড়ের জিলাপি খাওয়ার মজাই আলাদা। গুড়ের জিলাপিও বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের খাবার।
- ডিভাইস- স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা
- লোকেশন- MW87+VJ আমেরিক্যান ক্যাম্প, Bangladesh
এখন ওয়াজ মাহাফিল অনুষ্ঠানে অনেক দোকান আসে।বিভিন্ন ধরনের খেলনার দোকান আসে,খাবারের দোকান আসে,ভাজাপোড়ার দোকান আসে। দোকানের মধ্যে জিলাপির দোকান আসবেই। এই ওয়াজ মাহাফিল অনুষ্ঠানে অনেক লোক হয়। আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন। ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।
ওয়াজ মাহফিলের আশেপাশের দোকান নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আচার ও জিলাপি গুলো দেখে জিবে জল চোলে আসল। ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই, বর্তমান চিত্র তুলে ধরেছেন, অনেক রকমের দোকান বসে ওয়াজ মাহফিলের আশেপাশে। ওয়াজ মাহফিল কে কেন্দ্র করে এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানের মেলা বসে। যারা ওয়াজ শুনতে যায় তারা এসব দোকান থেকে বেশি কেনাকাটা করে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
ধন্যবাদ ভাই।
বাংলাদেশের ধর্মীয় সভা মানে হরেক রকমের খাবারের দোকান ও হারেক রকমের মনি হরির দোকান।যেসব দোকানগুলোতে অনেক কিছুই বিক্রি করা হয়। পার্বতীপুর বাস টার্মিনালে আমি অনেকবার গিয়েছিলাম জায়গাটি বেশ বড় তাই বোঝা যাচ্ছে যে সেখানে ওয়াজ মাহফিল হয়েছিল এবং বেশ ভালই দোকানপাট লেগেছিল। আপনার পোষ্টের ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই দেখেই অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি দোকানগুলো সম্পর্কে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ রাহুল ভাই।
We support quality posts, and good comments anywhere, with any tags.
মাহফিলের অনেক ধরনের দোকান এসেছিল মনে হচ্ছে। আপনি বেশ চমৎকার তুলেছেন ছবি গুলো। আচার ও বেলুনের ছবি গুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন। আচার খেতে বেশ পছন্দ করি আমি। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
আমার গ্রাম অঞ্চলের এরকম মেলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু আমি ঢাকায় পড়াশোনা করার জন্য আমি গ্রামের মেলায় খুব মিস করি। সেই শৈশবকালে অনেক ঘোরাঘুরি করছি এইরকম গ্রামের মেলায় আপনার এই পোস্টে প্রত্যেকটা ছবি খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার এই মেলায় আমার সেই শৈশব কালের কথা মনে করে দিলো।
এই দোকানগুলো আমাদের শৈশবের কথাই মনে করিয়ে দেয়।