রিভিউ - রেস্টুরেন্টে | স্পেশাল খিচুড়ি | লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০% এর জন্য
আজ - ২রা আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎকাল |
আজকের সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল! বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে এই সুন্দর আবহাওয়াতে প্রতিটি মানুষের মধ্যেই খিচুড়ি খাওয়ার একটা আগ্রহ বা প্রবনতা কাজ করে। যাদের পক্ষে সম্ভব হয় তার ট্রাই করে থাকেন খিচুড়ি স্বাদ নেয়ার। খিচুড়ি অধিকাংশ মানুষ খেতে পছন্দ করেন। খিচুড়ি মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি, কেউ ভালোবাসেন ভুনা খিচুড়ি খেতে কেউবা পাতলা খিচুড়ি! চাহিদা অনুযায়ী মানুষ খেয়ে থাকেন। তবে আমি ভুনা খিচুড়ি খেতে অনেক পছন্দ করি।
বাসা থেকে আজকে দুপুরের জন্য তেমন একটা খাবার নিয়ে আসেনি। তবে অফিসের বস হঠাৎ করে অফার করলেন দুপুরে একসাথে খাওয়ার জন্য এবং তাই দেরি না করে অফিসের ঠিক কাছাকাছি একটি রেস্টুরেন্ট সেখানে আমরা বেশ কয়েকজন সহকর্মী গিয়েছি দুপুরের খাবার খেতে।
আমি রেস্টুরেন্টের নাম এবং বিস্তারিত লোকেশন আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে উল্লেখ করব। আবহাওয়া অনুযায়ী ডিমান্ড ছিলো সকলের খিচুড়ির। যাইহোক, আমরা খিচুড়ির অর্ডার করলাম। অর্ডার করার কিছুক্ষণ পরে খাবার সার্ভ করা হয় এখানে।
যাদের বনানী কিংবা গুলশান এরিয়াতে রেগুলার আসা-যাওয়া আছে তারা হয়ত অনেকেই এখানে দুপুর বা রাতের খাবার খেয়েছেন হয়তো। ইহার নাম মেজ্জান হাইলে আইয়ুন চট্টগ্রামের খাবারের আসল স্বাদ পেতে লোকজন ভীড় করে থাকেন এখানে। মেন্যু তৈরি করা হয়ে সেই অঞ্চলের ভাষায় অনুয়ায়ী, এছাড়াও প্রতিটি স্টাফ মোটামুটি সেখানকার।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাবার খেতে এখন আর চট্টগ্রাম যেতে হবে না। ঢাকায় বসেই আপনি এই খাবারের স্বাদ পেতে পারেন এই শহরের বেশ কিছু মেজবানি রেস্টুরেন্টে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বনানিতে অবস্থিত ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’।
মেজবান বা মেজ্জান অর্থ অতিথি আর মেজবানি হচ্ছে আতিথেয়তা। মেজ্জান হাইলে আইয়ুন = মেজবান খেলে আসুন। এদের মেনুও লেখা হয়েছে চাটগাঁ’র আঞ্চলিক ভাষায়।
আপনাদের সুবিধার্থে মেনুর কিছু আইটেমের শুদ্ধ বাংলা অনুবাদঃ ফরটা = পরটা, হালা ভুনো = কালো ভুনা, ছনার ডাইল= চানার ডাল।
তাদের খাবার মেন্যু
প্রতিটি খাবার সার্ভ করা হয়ে থাকে এখানে মাটির পাত্রে এবং একেকজনের পরিমাণ মতো খাবার থাকে। আর যদি কেউ ভাতের অর্ডার করে থাকেন, ভাত হচ্ছে এখানে আনলিমিটেড আপনি যত ইচ্ছা নিতে পারবেন! এছাড়াও আপনি চাইলে এখান থেকে গরু কিংবা খাসির গোশত আলাদাভাবে কেজি দরে তাদের মেনুতে পাওয়া যায় সেখান থেকে অর্ডার করতে পারেন।
খাবার আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো ছিল আমরা সবাই বেশ এনজয় করে খাবারগুলো খেয়েছি। আমরা পাঁচটি খিচুড়ি এবং ১ কেজি গরুর গোশত অর্ডার করেছিলাম, আমাদের সব মিলিয়ে বিল এসেছে মোট পনের শত টাকার মতো৷ আমি এর আগেও এখানে এসেছি যারা আমার সাথে সম্পৃক্ত আছেন তারা হয়তো জানেন।
ফটোগ্রাফি | রেস্টুরেন্ট - খিচুড়ি |
---|---|
লোকেশন | ঢাকা, বাংলাদেশ |
ব্যবহৃত ক্যামেরা | রেডমি নোট সেভেন প্রো |
কৃতজ্ঞতা | @sumon02 |
Google Plus Code : QCV3+7R Dhaka
ধন্যবাদ সবাইকে
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে আমারও খুব ভালো লাগে তা যদি আবার হয় বন্ধুরা মিলে রেস্টুরেন্টে আড্ডার সাথে শে আর বলার অপেক্ষা রাখে না কত মজা হবে
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে মন্তব্য করার জন্য। বৃষ্টির সময়ে স্পেশাল প্রাধান্য হচ্ছে খিচুড়ি ভাই। আশাকরি সাথেই থাকবেন এভাবে ❤️
বৃষ্টির দিনে খিচুরি অত্যান্ত ভালো লাগে আমার।আমি গ্রামে থাকি বৃষ্টি নামলেই ডিম ভাজি আর খিছুরি আহ বেপার টা মাখো মাখো আপনার রেস্টুরেন্ট রিভিউ সুন্দর ছিলো আর খানা দেখে আমার নিজের জিবে জল এসে গেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই ❤️ আপনার কাছ থেকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পেরে ভালো লাগলো ভাই।
খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।সবাইকে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
হ্যাঁ ভাই, ভালো সময় কেটেছে! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ❤️ আশাকরি সাথেই থাকবেন 🙂
আপনার রেস্টুরেন্ট রিভিউটি খুবই সুন্দর হয়েছে। এই রেস্টুরেন্টে খাওয়ার আমার খুব ইচ্ছা। কিন্তু ওদিকটাতে ঢাকা গেলে খুব একটা যাওয়া হয় না। এই রেষ্টুরেন্টের অনেক সুনাম শুনেছি মেজবানি খাবার এর জন্য। ভাই আপনার ব্যালেন্সে বেশকিছু স্টিম অলস পড়ে আছে। সেটা ফেলে না রেখে পাওয়ার আপ করে হিরোইজম প্রজেক্টে ডেলিগেশন করুন। এতে আপনি নিজেই লাভবান হবেন। কিউরেশন রিওয়ার্ড পাওয়ার পাশাপাশি হিরো ইজম প্রজেক্ট থেকে ভোটিং সাপোর্ট ও পাবেন। তাছাড়া আপনার সাইফক্স এর সাপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা ও বেড়ে যাবে। আমার মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে হেরোইজম প্রজেক্টে ইনভেস্ট করা। আপনার জন্য শুভকামনা।
আপনার সুন্দর মন্তব্য এবং পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আমি অবশ্যই আপনার মূল্যবান পরামর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে যাবো।
হ্যাঁ ভাই, মোটামুটি ভালো সুনাম এই রেস্টুরেন্টের। দুপুর টাইমে খুব ভীড় থাকে এখানে।
হেরোইজম প্রজেক্টে আপনার ডেলিগেশন দেখার জন্য আমি উদগ্রীব হয়ে আছি। হিরোইজম প্রজেক্টে ডেলিগেশন করুন নিজেকে শক্তিশালী করুন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশ্যই ভাই ❤️
আপনার পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।খিচুড়ি আমার বেশ পছন্দের, বিশেষ করে বুনা খিচুড়ি।আপনার সময়টা খুব সুন্দর উপভোগ করেছেন।আরো একটা জিনিষ খুব ভালো লাগলো মাটির বাসনে খাবার পরিবেশন টা।অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই জেনে ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে! আমার অনেক পছন্দের ভুনা খিচুড়ি। এছাড়াও, এখানকার বিশেষ আকর্ষন মাটির পাত্র। প্রতিটি খাবারের স্বাদ অতুলনীয়। যদি কখনো আসা হয় ঢাকার বনানী এরিয়াতে তাহলে অবশ্যই ট্রাই করবেন ভাই। লোকেশন পোস্টে উল্লেখ করা আছে। আপনার জন্য ভালোবাসা ভাই ❤️
বেশ দারুণতো, মাটির হাড়িতে খিচুড়ি।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনারা বেশ উপভোগ করেছেন খিচুড়িগুলো। সবাইর চেহারা তাই বলছে, হি হি হি। খিচুড়ি আমিও খুব ভালোবাসি এবং প্রায় সময় বাড়ীতে রান্না করে খাই। বাহিরের খাবার খুব একটা বেশী খাওয়ার সুযোগ হয় না আমার। ধন্যবাদ
হ্যাঁ ভাই, আমরা অনেক ইনজয় করেছি। ভাইয়া এখানকার বিশেষ আকর্ষন হচ্ছে, মাটির পাত্রে খাবার সার্ভ করা। যাইহোক, খাবারের মান খুবই ভালো! যদি কখনো এখানে এই এরিয়াতে আসা হয় তাহলে অবশ্যই ট্রাই করবেন ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য ❤️