|| রাজস্থানের রাজমহলের ঘরানায় এবার দুর্গা মন্ডপ লো-ল্যান্ড কলোনিতে (অন্দর মহল) ||
প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি সকলে ভালো আছেন।
আজ বরানগর লো-ল্যান্ড কলোনির দুর্গা মন্ডপের অন্দর সজ্জা ছবি-সহকারে আলোচনা করা হলো।
সুবিশাল প্রাসাদ। মানুষের ভিড়। আর গানের সুরে কেমন নেশা নেশা লাগে। মনে হয় অন্য একটা জগতে ঢুকেছি। চোখ আর মন বাইরের পৃথিবীটাকে ভুলে কিছুক্ষণের জন্য বিভোর হয়ে যায় - মানুষের ভিড়ে, গানের সুরে, প্রাসাদের সৌন্দর্যের আভিজাত্যে। সেই আভিজাত্যেরই বর্ণনা হলো আজকের পোস্টে।
এই প্রবেশ পথ দিয়ে মন্ডপের ভেতরে ঢোকার পর বেশ তাজ্জব বনে যেতে হয় অন্দরের সাজ সজ্জা দেখে। বাইরে যা দেখে অবাক হয়েছি, ভেতরে ঢোকার তা আরো দশগুণ হয়ে যায়।
শুরু থেকেই এই ঝাড়বাতি গুলো একাধিক রয়েছে। পরে পরে সাজানো। ঝাড়বাতি গুলোয় চড়া আলো নেই আর তাতেই মাতিয়ে তুলেছে আপন শোভায় মানুষকে।
মূলত এই জায়গায় এসে থমকে যেতে হয় শিল্পী ও সকল থিম নির্মাণকারী দের কাজ দেখে। হাতের জাদুতে কিভাবে এই প্রাসাদ বাঁশ কাঠ দিয়ে বানিয়ে ফেলল, তা ভাবনায় ফেলে। এই ছবি গুলোয় দেখা যাচ্ছে অন্দরের মূল প্রাসাদ।
আমি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ফটো তুলেছি যাতে দেখতে ও বুঝতে সুবিধা হয়। আমরা প্রাচীন রাজপ্রাসাদ দেখে থাকলে নিশ্চয় বলতে পারবো এই প্রাসাদ কতটা অবিকল হয়ে উঠতে পেরেছে।
এই শিল্পীরা কতখানি বুদ্ধিমান ও পারদর্শী তা আমরা আঁচ করতে পারবো। কোনো খামতি নেই, কোথাও বিন্দু সমান ভুল ধরার জায়গা নেই। অন্তত আমি পায়নি। কেবল তারিফ করতে ইচ্ছে হয়।
কেবল অবাক হয়ে ভাবতে ইচ্ছে হয়। দেখতে পাচ্ছি রাজপ্রাসাদ থামে থামে দাড়িয়ে রয়েছে। দোতলায় ক্রমশ ছোট থাম। নিচে অর্থাৎ গ্রাউন্ডে মোটা বড় থাম। যেরূপ রাজাদের প্রাসাদ হয় সেরূপ।
মূল প্রাসাদ শোভা দর্শন করে আরো সামনে গেলে দেখা যায় বিশেষ অন্দরমহল। আমি যতদুর দেখলাম অন্দর মহল তিন ভাবে বিভক্ত।
প্রথম মহলটা এক তলা মূলত থামের কারুকার্যের ওপর শিল্পী গণের মুন্সিয়ানা দেখতে পায়। দোতলায় ও অসংখ্য থাম প্রাসাদ কে অভিজাত করে তুলেছে। তবে এর পরের মহল টা শৈল্পিক নমুনা ভরপুর।
বিরাট ঝাড়বাতি গুলো আভিজাত্যে মুখর হয়ে আছে। নিচে নীল রঙের হাতের কাজ করা থামগুলো আরো সৌন্দর্যটা বৃদ্ধি করছে। এটা পূর্বের থেকে আলাদা। এবার অন্দরমহলের সেই জায়গা যেখানে প্রতিমা রয়েছে।
সেটাকে আরো সর্ণখোচিত করে তোলা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে স্বর্ণ রং ধাতুর ওপর অসংখ্য আয়না বসানো।
এই মহলের উপর দিকে তাকালেই বোঝা যায় কত মেহনত করতে হয়েছে এই সন্দর্য আনতে শিল্পী গণকে। শুধুই কি মেহনত , কত বুদ্ধির ও আন্তরিক যত্নের প্রয়োগ করতে হয়েছে, সেটাও বোঝা যায়।
আজ এই অব্দি রইল। আগামীকাল আবার নতুন কিছু কথা নিয়ে নতুন কোনো লেখা নিয়ে হাজির হব। ততক্ষণ আপনারা ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
বরানগর লো-ল্যান্ড কলোনির দুর্গা মন্ডপের প্যান্ডেলটি অসাধারণ সুন্দর ছিল। আমার তো রাজস্থানে গিয়ে এই ধরনের রাজমহল গুলো সামনাসামনি দেখার অনেক ইচ্ছা রয়েছে।