আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 101

in #photography13 days ago
আসসালামুআলাইকুম

'নেই।'
'কেন? বিয়ে করিসনি?'
'করেছিলাম। অল্পবয়সি মেয়েরা যে বোকামি করে সেটা আমিও করেছিলাম। কিন্তু মিলল না। আমি কারও হুকুমের চাকর হয়ে থাকতে রাজি নই। ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল তাই। আমি বেঁচে গেলাম
আর ও রক্ষে পেল।'
'রক্ষে পেল মানে?'
'আর একটা পতিব্রতা বাঙালি মেয়েকে সহজেই পেয়ে গিয়েছে।'
'তুই তা হলে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকিস।'
'কিছুদিন ছিলাম। এখন একাই থাকি। বাবা-মায়ের কাছে বিয়ের আগে যখন ছিলাম তখন পরিস্থিতি আলাদা ছিল। এখন রোজগার করতে গিয়ে বুঝলাম আমার জীবনযাপনের ধরন ওদের অসুবিধাতে ফেলবে। তাই আলাদা হলাম। তবে যাই প্রতি সপ্তাহে, রোজ দু' বেলা ফোনে কথা হয়।'
'তোর জীবনযাপনের ধরন কীরকম?'
'ব্যবসার কাজে হয়তো সকাল আটটায় বের হলাম ফিরলাম রাত্রে, ডিনার খেয়ে। মায়ের এটা মোটেই পছন্দ নয়। তার ইচ্ছ্য আবার একটি পুরুষকে জীবনভর বহন করি। সেটা আমি পারব না জানাতে মুখ ভার হয়ে গেল তার। এসব অশান্তি আর ভাল লাগে না।' হাসল উপাসনা 'একা আছি,
বেশ আছি, ভাল আছি।'
রঞ্জনা ভেবে পাচ্ছিল না এতটা সাহস উপাসনা কী করে পেল! কলেজে পড়ার সময় যে মেয়ে লুকিয়ে সিনেমা দেখতে ভয় পেত সে এখন এভাবে এক থাকে! সে দেখল হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার পরেও উপাসনা আবার তার হাত ধরেছে। ওর এই আন্তরিকতা ওকে মুগ্ধ করল।

1730523827858.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

বাড়ি ফিরতে কি খুব দেরি হবে? আটটা সাড়ে আটটার মধ্যে ফিরলে কোনও অসুবিধা নেই। সুবীর যদি সেলিনা রেস্টুরেন্টে আসত তা হলে তো তাকে ওইরকম সময়ে ফিরতে হত। যাক গে, শ্বশুরবাড়ি তো নয়, সুবীর যদি আজ বন্ধুর বাড়িতে স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে তা হলে সে কেন পারবে না বান্ধবীর বাড়ি একটু দেরি করে ফিরতে?
একটি বহুতল বাড়ির ছয়তলায় উপাসনার ফ্ল্যাট। বাড়িতে ঢোকার সময় সিকিউরিটির সামনে পড়তে হবে। আগন্তুককে, যদি সে নতুন হয়। অর্থাৎ নিরাপত্তা রয়েছে। লিফট থেকে নেমে চাবি
বের করল উপাসনা। ফ্ল্যাটের দরজা খুলে বলল, 'আয়।' উপাসনার ফ্ল্যাট মাঝারি সাইজের কিন্তু একজন মানুষের পক্ষে প্রয়োজনের তুলনায় প্রচুর
জায়গা। দুটো বেডরুম ব্যালকনি। এখন সন্ধে হয়ে গিয়েছে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে গেল রঞ্জনা। সমস্ত কলকাতা যেন হিরে হয়ে জ্বলছে। তার শ্বশুরবাড়ির ঘর থেকে এই দৃশ্য দেখার কথা ভাবা পাগলামো। বাপের বাড়ির ঘর থেকে রাস্তার একটা টুকরো দেখা যায়। উপাসনার এই ফ্ল্যাট যেন স্বর্গের কাছাকাছি।
'বাব্বা, কী তন্ময় হয়ে দেখছিস। দেখ বাবা, আমি ততক্ষণে একটু ফ্রেশ হয়ে আসছি।' কথাগুলো বলে চলে গেল উপাসনা।'
ব্যালকনি থেকে ভিতরে সরে এল রঞ্জনা।

1730523827807.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

এই ফ্ল্যাটে একা থাকতে উপাসনার ভয় লাগে না? সাহস আছে বটে মেয়েটার। সুন্দর সাজানো ঘর। উপাসনার বেডরুমে ঢুকল সে। দেয়াল জুড়ে ও কার ছবি? ক্লিওপেট্রার? এত বড় ছবি? আধশোয়া হয়ে সাপের মতো তাকিয়ে আছে আঙুরের থোকা আঙুলে নিয়ে। স্বল্পবাস। উরুর অনেকটা দেখা যাচ্ছে। হোক ক্লিওপেট্রা, কীরকম লজ্জা লজ্জা করছিল ওর উদ্ধত ভঙ্গি দেখে। পাশের দরজা খুলে গেল। উপাসনা বেরিয়ে এল চুলে হাত বোলাতে বোলাতে। এখন ওর পরনে হালকা বেগুনি কাঁধ কাটা ফ্রক যা শেষ হয়েছে হাঁটুর সামান্য নীচে। হেসে বলল, 'কী রে, চান করবি?'
'না।' রঞ্জনা মাথা নাড়ল।
'তিনবার শাওয়ারের তলায় না দাঁড়ালে আমার ঘুম আসে না। তা বল, কেমন দেখছিস আমার এই ফ্ল্যাট।'
'খুব ভাল। কিন্তু এই ছবিটা কেন রেখেছিস?'
কেন? খারাপ লাগছে?' '
'কী রকম যেন।'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।