The Diary Game:: 16 August, 2020::steemCreated with Sketch.

in Steem Bangladesh4 years ago

সকাল সকাল বাড়ির দুটা পিচ্চি আসে আমার ঘুমটা নষ্ট করে দিল। পিচ্চি দুটার একটা ভাতিজা সালমান আর একটা ভাতিজা তাহিয়া। দুজনেই ভাই বোন। তাহিয়া বয়স এখনো দুই বছর হয় নিই। কিন্তু সে একদম পাকা বুড়ি। যাই হোক এদের দুজনের টার্গেট হচ্ছে আমি। প্রতিদিন কেউ না কেউ এদের টার্গেটে থাকে। আজ এরা আমাকে ঘুমাতে দিবে না। তালা আমার বেডে আসে চিল্লাচিল্লা লাফ্ফালাফ্ফি শুরু করে দিয়েছে। সেখানে কি আর ঘুম হয়।

আজ ঘুমটা ভেংগেছে এদের দুজনের বদমাইশির কারণেই। খুবেই বিরক্তিকর এইসবের কারণে ঘুম ভাঙ্গাটা। তবে আবার ভালোই লাগে বাচ্চাদের এমন দুষ্টামি। রাতে দেরি করে ঘুমিয়েছিলাম। তাই ঘুম টা খুব গভীর ছিল ।

যাক চরম বিরক্ত হয়ে বেড থেকে উঠে ছোট রুমে গেলাম। ছোট রুম বলতে নিশ্চিত বুঝতেই পারছেন। আসলে ছোট রুমে বসে যে ভাবনাটা ভাববেন সেটা কিন্তু সব সময় ভিন্ন রকম। তো আজকের ভাবনাটি ছিল স্টিমিট ও ডায়েরী গেইম নিয়ে। এই ভাবতে ভাবতে কাঁটায় কাঁটায় পাঁচ মিনিট লেগো গেলো। হঠাৎ আচমকা মনে হল দেরী হয়ে যাচ্ছে আমাকে তো যেতে হবে। তরিঘরি করে বার হয়ে গোসলটা সেরে নাস্তা খেয়ে সেন্টারের দিকে। রওনা দিলাম।

তবে নাস্তাটা আজ ভালোই হয়েছে। রুটি আর চিকন চিকন করে আলু কেটে একেবারে তেলে মচমচা করে ভাজলে খুবেই টেস্টি হয়। অন্যদের কাছে কেমন লাগে জানি না। তবে আমার কাছে ভালোই লাগে।

নাস্তার পর্ব শেষ করে পোশাক আশাক পরে আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখতে ভাল করি না। মাসুম চেহায়া চোখে ইমোশনাল একটা ভাব আছে 🤣 নিজের চেহারা কেউ এভাবে দেখে নাকি এটা ভাবতে ভাবতে আয়নায় ঘড়ির দিকে তাকাতেই এদিক যে ঘড়ির কাটা অনেক দুর এগিয়ে গেছে সেদিকে খেয়াল নেই।

যাক বাসা থেকে বার হলাম। রিক্সায় উঠে রওনা দিলাম। প্রচন্ড রোদের তাপ সানগ্লাস না পরলে খুব কষ্ট হত। আসার সময় রাস্তায় চারিদিকে তাকায় দেখি কে কি করে এইসব ভালো করেই লক্ষ করি। আসলে মানুষের জীবন জীবিকার জন্য রোদ বৃষ্টি বাদল কিছুই মানে না।

20200817_140942.jpg

প্রতিদিনের মত সেন্টারে আসা। এটাই আমার বর্তমান জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ। করোনার কারণে ব্যবস্যা বানিজ্য একধরনের স্থবিরতা ছিল। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সেটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এতো সহজে তো তা সম্ভব না। ঐদিক আবার কোচিং সেন্টার ও বন্ধ। সব মিলিয়ে আমরা ভালো নেই।

20200817_141000.jpg

কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ক্লাস নিচ্ছিলাম। সেই সময় দুটা পিচ্চি বাইরে থেকে তাকিয়ে আছে দেখছে কিভাবে কম্পিউটার চালায়। ইশারা করে ভিতরে ডাকতেই পালিয়ে গেলো। আবার কিছুক্ষন পর ওকে মারছে। আবার হাত দিয়ে ইশারা করতেই আবার পালিয়ে গেলো। সে এটাকে খেলা হিসেবেই নিয়েছে। কিন্তু আমার কি আর সেই সময় আছে। তবে আমার আশেপাশে সব গুলোই পার্লার। অনেক সময় অনেক কিছুই দেখি। কেউ দেখি কেউ বউকে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে দাঁড়ায় অপেক্ষা করছে কেউ বোন কে কেউ শালীকে। এমন ও অনেক সময় দেখি কেউ পার্লার থেকে বার হলে বাচচা আর মায়ের কোলে যেতে চায় না। মায়ের মেকাপের ফলে মা কে চিনতে পারে না। হাউ মাও করে কাঁদে🤣

20200816_182329.jpg

যাক শরীরটা ইদানিং একদম ভালো লাগছেনা বাসায় দ্রুত চলে আসি। আসে প্রতিদিনের মত ফ্রেশ খাওয়া নামাজ রেস্ট এভাবেই রাত। রাতে স্টিমিট পোস্ট পরা ও পোস্ট লেখা।

তবে শরীর ভালো না লাগার কারনে আজকে আর বেশি লিখতে পারছি না।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। খোদা হাফেজ।

Sort:  
 4 years ago 

একটা ভাতিজা হলে আরেকটা তো ভাতিজি হবে, যেহেতু তারা ভাইবোন।

ওরে মিসটেক। ভূল সবে ভূল 🤣

 4 years ago 

morning with your nephew and niece was awesome. I think they make your life very happy. Hope you will get success with your Computer training center.

#onepercent
#bangladesh

Thank you very much .......