The Diary Game: 19/08/2020 সমাজের ভাবনা নিয়ে দিনটি শুরু

in Steem Bangladesh4 years ago

হিন্দি সিরিয়ালের অন্ধ ভক্ত। হিন্দি সিরিয়ালে আর আগের মতো মজা নাই l একটি সময় ছিল টিভির রিমোটটা তারেই দখলে ছিল। স্টার প্লাস আর স্টার জলসা ছাড়া অন্য কোন চ্যানেল দেখা নিষিদ্ধ ছিল বলা যায়। এখন আর আগের মত তৃপ্তি পায় না। পর্বের পর পর্ব আসে, কিন্তু গল্পে মোড় আসেনা। রীতমত বিরোক্তকর হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। দুই মিনিটের নাটককে টেনে দুই পর্বে নিয়ে যায় তারাl অসহ্য l জাস্ট শীট ! তবে এটা বুঝতে বুঝতে আবেক অনেক ক্ষয় করে ফেলেছে। মাঝে মাঝে এইসব দেখে অশ্রুও অনেক ক্ষয় করেছে।

এখন আর ভালো লাগছে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বিছানায় গা শোয়াতে বেশ রাত হয়ে গেলো ডায়নারl আগামী পর্বে কি হতে পারে এই টেনশন নিয়েই একবার এপিঠ তো আরেকবার ওপিঠ। সেই ভাবনা ভাবতে ভাবতে একসময় গভীর ঘুমে চলে গেলেন। মাঝে মাঝেই ঘুমের মধ্যে কার্তিক কার্তিক করে চিল্লায় উঠে।

নাটকের কথা মাথায় ঘুরপাচ খেতে খেতে ঘুভটা একটু দেরিতেই ধরেছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখেন সকাল সাড়ে দশটার ঘরে ঘন্টার কাটা l ধরপরিয়ে উঠলেন ডায়না। ঘুম থেকে উঠেই সোজা দৌড় দিলেন ওয়াস রুমে।

কোৎ দিচ্ছেন কিন্তু বেরুচ্ছে না। হালকা কোৎ দিয়ে ঝাড়ি মেরে, বেয়াদব ! বের হ ! কিন্তু, বের হলো না l

আজকাল এই হাগা নিয়ে তিঁনি বিরাট বেকায়দায় আছেন l কেন জানি তার একটু সমস্যা হচ্ছে। কুততে-কুততে ছাগলের নাদীর মতো দুই-তিন দানা বের হয় l তারপরেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে যেতে ধ্যানে চলে গেলেন নাটকের। আজকে কি কার্তিককে পুলিশ ধরিয়ে নিয়ে যাবে? এমনটাই ভাবছিল। আবার নিছে নিজেই বলছিল কার্তিককে ফাসিয়ে দিল। কত্তবড় খারাপ। হঠাৎ করে নাটকের ধ্যান ভেঙ্গে নিজেকে আবিস্কার করলেন ওয়াসরুমে। নিজের রসিকতায় নিজেই হিহিহি করে হাসতে লাগলেন l

ওয়াসরুম হতে বার হতেই ঘড়ির কাটাটা এগারোটায় গিয়ে ঠেকেছে। অনেকদিন পর ডায়না বুঝতে পারলেন, যে এইসব নাটকের চক্করে ত্যাগে যে প্রকৃত সুখ সেটাও ভূলে গেছে। ওয়াসরুমে গিয়ে যে একটু স্বস্তির কোৎ দিবে তাতেও ঐ কার্তিকেরা চলে আসে।

আমার ডায়রি পোস্ট আর উপরের গল্পটির সাথে কোন সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন না তাই না। আসলে না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এই গল্পটি বলার কারণ হয়তো আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে। উপরের গল্পটিতে বোঝানো হয়েছে ভারতীয় সিরিয়াল গুলোর টেনশনে আমাদের অনেকের ঠিক ভাবে ত্যাগ করেও সুখ পাচ্ছে না।

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফেবুকে পুরাতন একটি ছবি চোখে পরলো। দুজন শিশু পাখি ড্রেস না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আসলে এমন নিউজ আমাদের প্রায় শুনতে হয় দেখতে হয়। চিন্তা করা যায় কি পরিমান আসক্ত হয়ে পরছি আমরা দিনকে দিন। ভারতীয় সিরিয়ালের এই অপসংস্কৃতি আমাদের কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। যাক সকালটা এইসব ভাবতেই গেলো। তাই ভাবতে ভাবতে গল্পটি লিখেছিলাম।

প্রতিদিনের সকাল হয় যেভাবে ঠিক সেভাবেই হল। নাস্তা করে অফিসের দিকে রওনা দিলাম। সেন্টারে স্টুদের ক্লাস নেওয়া ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে কথা বলা। এভাবেই চলছে সারে নামাজ আদায় করা। নামাজ আদায় করা আমাদের প্রতিটা মুসলিমের জন্য ফরজ ইবাদত। আমাদের অনেকে শুক্রবারের নামাজটা পর্যন্ত পরে না। যাক এভাবেই বিকাল হল। বিকালে বাসায় আসতে হয়। বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নামাজ আর খাওয়া দাওয়া। খাওয়া দাওয়া শেষ করেই একটু রেস্ট নেই। আজ আবার তারাতারি ঘুমাতে হবে। কাল সকালে খুব জরুরী একটা কাজ আছে। কালকের কাজটা কালকের পোস্টেই উল্লেখ্য করবো। বাসার সবাই মোটামুটি টেনশনে আছে।

যাক এই টেনশন নিয়েই শুয়ে শুয়ে স্টিমিটের পোস্ট দেখি ফেসবুকে টুকটাক নিউজ ফিড ঘাটাঘাটি করি। এভাবেই এক সময় ঘুমায় পরি।

ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ইনশাআল্লাহ্ আবার হাজির হব নতুন কোন ডায়েরি পোস্ট নিয়ে।

20200502_205358.jpg

Sort:  
 4 years ago 

Good writing bro

Thank you bro