The Diary Game:: August 13, 2020:: আজকের সারাদিনের ব্যস্ততা
প্রতিদিন সকালের মত আজ আর কোন কাহিনি নাই। আজ নিজেকে কেমন সুখি সুখি মনে হচ্ছে। আজ মা'ও ব্যাস্ত সকাল থেকে। মা তার মেয়ের বাসায় যাবে। মা ও খুব খুশি। অনেক কিছু রান্না বান্না করতেছে। সেই সুযোগে আমাদের ও খাওয়া দাওয়াটা আজ জব্বর হবে।
যাক মা মায়ের কাজে ব্যাস্ত। প্রতিদিনের মতোই আমি সকালেই গোসল করে বার হলাম। নাস্তা খেয়ে ট্রেনিং সেন্টার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বার রিক্সায় উঠলাম।
বাসার মোড়ে সব সময় রিক্সা ওয়ালা থাকেই। কিন্তু আজ একটা রিক্সাও নাই। হাঁটা শুরু করলাম। প্রচুর রোদে অবস্থা খারাপ। ছাতা নিয়ে বার হই নিই। কিছুদূর যেতেই একটা খালি রিক্সা আসছে এই রিক্সা যাবেন? তার রিক্সায় উঠে রওনা দিলাম। আমার একটা অভ্যাস নতুন রিক্সাতে উঠলেই রিক্সা ওয়ালার সাথে কথাতে লিপ্ত হই। তার সম্পর্কে জানার আগ্রহ কাজ করে । এই খেটে খাওয়া মানুষের গল্প শুনতে ভালোই লাগে। অনেক দুঃখ কষ্ট বেদনা থাকে। তারপরেও তারাই সুখি।
এই রিক্সার প্যাডেল চালা আর চাকা ঘুরারপিছনে সবার ভিন্ন ভিন্ন গল্প রয়েছে। কিছু কিছু গল্প খুব হৃদয় বিদারক আবার কিছু গল্প অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে। যাক এই গল্প করতে করতে চলে আসলাম গন্তব্য স্থলে।
সেন্টার খুলে ঝাড়ু দেওয়া পরিষ্কার করা নিত্যদিনের কাজ আমার। প্রথমে সেন্টার খুলেই ঝারু দিতে হয়।
যাক সেন্টারে আবার আজকে দোস্ত @mspbro এসেছিল। অনেকক্ষণ কথা হল। দোস্ত আমার স্টিমিটে খুব এক্টিভ। স্টিমিট সম্পর্কে প্রথম ধারণা দিয়েছিল সুমন দোস্তোই।
যাই হোক আমি আবার রীতিমত চা খোর। বাসায় ফেরার পরে ভাসানী চাচার চা এর দোকানে আমি আর @faizurehan চা খেয়ে বাজারে ঢুকলাম। বাজারে কিছু পলিথিন সাথে পুরাতন পেপার লাগতো ফাইজুরের। তাই বাজারে এইসব নিতে দেরী হয়ে গেলো। বাসার পথে রওনা দিলাম।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সন্ধ্যায় সারলাম। তারপর কিছুক্ষন রেস্ট। কিছুক্ষন ফেসবুকে সময় দিলাম। সাধারণত ফেবুতে আমি নিউজ ফিডে ঢুকি টুকটাক দেশের পরিস্থিতি দেখার জন্য। বর্তমানে দেশ চলছে উদ্ভট এক উটের পিঠে। যে যার মত লুটে ফুটে খেয়ে নিচ্ছে। আইনের শাসন নেই। নেই বিচার ব্যবস্থার সচ্ছতা। এইখানে টাকা থাকলে সব কিছু হয়। ক্ষমতা থাকলে সব কিছুই পাওয়া যায়।
যাক আজ রাতে আবার @steem-bangladesh কমিউনিটির ভয়েস মিটিং। রাত নয়টা থেকে রাত দশটা এক ঘন্টা মিটিং চলে।
আবার আমাদেয ক্লাবে আজ রাতেই পিকনিক। দীর্ঘ দিন পর ক্লাবে পিকনিক হচ্ছে। আগে আমরা প্রতি মাসে একবার করে পিকনিক খেতাম। তবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। আমাদের পিকনিকে আমরা নিজেরাই রান্না করি। এতে আলাদা একটা মজা রয়েছে।
আমাদের রাঁধুনি হিসেবে সব সময় টপে থাকে আমির (টাকলু), সজল (কোপা), আর আমরা সাপোর্টিং হিসেবে থাকি। তবে আজকে সোহেল ভাই রান্না করেছে।
আজকের মেনুতে ছিল খিচুড়ি, গরুর মাংস, মুরগির রোস্ট, সালাত। সব গুলোই দাড়ুন টেস্ট হয়েছে। অবশেষে খাওয়া করে আমি দ্রুত বাসায় চলে আসি। আমার ফোনের চার্জ ছিল না তাই ছবি তুলতে পারি নিই।
Hi, can you change your profile logo to something unique?
You use the official Steemit logo as your profile picture and is misleading.
Thanks for understanding
Of course it is changeable. I'm changing it right now.
Thank you very much....❤
Great diary post, Keep posting every day.
Thank you dear brother....