বোনের হোস্টেল থেকে ফিরে ধর্মতলা ভ্রমণ - দ্বিতীয় পর্ব
গতকাল বোনের হোস্টেল থেকে বেরোনোর পর হেঁটে মেইন রোডে আসলাম,সেখান থেকে বাস ধরে সাঁতরাগাছি।এবার আমাদের গন্তব্য ধর্মতলা।সেখানে আমাদের পছন্দের দোকানে খাওয়াদাওয়ার পর একটু হালকা করে মার্কেটিং করে তার পর ফিরব।
সাঁতরাগাছি থেকে যখন ধর্মতলা ঢোকার কথা,তখন দেখলাম বাস অন্য দিকে টার্ন নিল।আমি গুগল ম্যাপ খুলেই বসে আছি।আমার মনে হল বাস অন্য দিক দিয়ে যাবে তাই কন্ডাক্টর কে জিজ্ঞেস না করেই নেমে পড়লাম।
নামার পর বুঝলাম আমরা নেমেছি রবীন্দ্র সদনে।ভাবলাম হেঁটে ধর্মতলা বেশিক্ষণ লাগবে না।তাই হাঁটতে লাগলাম।কিন্তু সকাল থেকে কিছু না খেয়ে শরীর আর চলছিল না।ভীষন বিরক্ত হয়ে পড়ছিলাম।তাই রবীন্দ্রসদন এর সামনে একটা মোমো এর দোকানে দাড়িয়ে মোমো খেলাম।খুব সুন্দর ছিল মোমো টা।একদম পাহাড়ি মোমো যেমন সুন্দর খেতে তেমনই।তার পর কিছু ক্ষণ হাঁটার পর বুঝলাম ধর্মতলা পৌঁছাতে এভাবে অনেক সময় লেগে যাবে।
কিন্তু উপায় নেই,আমরা যে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম সেটা ছিল ওয়ান ওয়ে,অর্থাৎ গাড়ি সব ধর্মতলা থেকে আসছিল,ওদিকে যেতে হলে কিছু দূর সামনে গিয়ে একটা ক্রসিং পড়বে সেখান থেকে বাস ধরতে হবে।
কিছু টা এগিয়ে গিয়ে যে রাস্তাটা পেলাম সেটা দেখে বুঝলাম যে বাস থেকে যদি না নামতাম তবে এই রাস্তা দিয়েই ধর্মতলা পৌঁছাতাম।কিই বা করার।এতটাই ক্লান্ত যে হাসতেও ইচ্ছে করছিল না।উঠে পড়লাম বাসে।নামলাম একদম esplanade মার্কেটের সামনে।
আমরা যদিও ঠিক করেছিলাম আগে খেয়ে তার পর বাজার করব।কিন্তু একদম বাজারের সামনে নেমে পড়ায় ভাবলাম আগে বাজার টা করে নিই।
সে কয়েকটা কানের,একটা গলার,আর কয়েকটা ড্রেস কিনল।
এর ফাঁকে আমার কলেজের দুই বান্ধবীর সঙে দেখা।এই জনসমুদ্রে পরিচিত কারোর সঙ্গে দেখা হলে অবাক হওয়ায় স্বাভাবিক।ওদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর একে ওপরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম।বেশি ক্ষণ দাঁড়ায়নি সেখানে আমরা।কারণ এত ভিড়ে জটলা করে দাড়িয়ে থাকার কোনো মানে হয়না।
আমরা একে অপরকে বিদায় জানিয়ে আবার কেনা কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।সরস্বতী পুজোয় পরার জন্য সে আরো কিছু খুঁজছিল কিন্তু খিদের চোটে আর কিছুই ভালো লাগছিল না।তাই আমি বারবার তাড়া দিচ্ছিলাম।
তাই কেনা কিনি রেখে চললাম খেতে।দুজনেরই বিফ ভীষন পছন্দের।তাই ধর্মতলায় বড় মসজিদের পেছনে কয়েকটা ছোট ছোট বিফের দোকান আছে।সেখানে ঢুকল আমরা।ভাত,বিফ ভুনা,বিফ কষা,বিফ চাপ আর ভাত দিয়ে খাওয়া দাওয়া করলাম।
ফেরার পথে একটু ফালুদা খেলাম।তার পর মেট্রোতে চেপে বসলাম।সে আমার আগে দমদমে নেমে পড়বে।আর আমি নামব বরানগর স্টেশনে।দেখতে দেখতেই দমদম এসে পড়ল।বিদায়ের পালা।
এর পর হোস্টেল পৌঁছে রুম পরিস্কার করতে হবে।কারণ আজ আবার কাকা আসবে।আগের বার যে রিপোর্ট গুলো করতে দিয়েছিলেন সেগুলো তুলবেন ও ডাক্তার দেখবেন।
আমার পরীক্ষা সামনে,খুব বেশি হলে ৪০-৪২ দিন সময় বাকি।এই মুহূর্তে কাকা আসলে পড়ার বেঘাত তো ঘটছে।কিন্তু কিই বা করার।তিনি অসুস্থ তাই তিনিও অপরাগ।তিনি আজ রাতে আসবেন।এবং কাল আমাকেও ওনার সঙ্গে যেতে হবে ডাক্তারের কাছে। কাল কি ভাবে দিন কাটবে সেটা কাল এবার এখানে এসে আপনাদের জানাব।
ধন্যবাদ এত দূর পড়ার জন্য। কাল আবার দেখা হচ্ছে এই incredible india তেই,ঠিক এই জায়গায়। |
---|
Curated by - @ngoenyi