জ্বীনের মসজিদ পরিদর্শন !!
হ্যালো সকল বন্ধুরা,,
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন ৷ আমিও ইশ্বরের কৃপায় অনেক ভালো আছি ৷ আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো একটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে ৷ তাহলে চল শুরু করা যাক ৷
দিনটি ছিল ২৩ অক্টোবর রোজ সোমবার নবমীর দিন যেদিন আমরা দূর্গা পুজোতে ঘুরতে যাই যাওয়ার সময় এই দর্শনীয় স্থানে আমারা প্রবেশ করি ৷ আর এই দর্শনীয় স্থানের নাম হল জ্বীনের মসজিদ ৷ এটা ঠাকুরগাঁও জেলার ভূল্লী থানায় অবস্থিত ৷ এখানকার মানুষদের কাছে শোনা যায় এটি একটি পুরনো মসজিদ যেটা এক রাতে কাল্পনিক ভাবে নির্মাণ হয়েছিল ৷
তবে এই মসজিদ টি আসলেই দেখতে অনেক সুন্দর এবং ডিজাইন টাও অনেক সুন্দর ৷ অনেক দুর থেকে মানুষ আসে এই জ্বীনের মসজিদ টি দেখার জন্য ৷ আমি ও অনেক নাম শুনেছি কিন্তু একবারো যাওয়া হয় নি তবে সেই দিন এই জ্বীনের মসজিদ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে ৷
গ্রামের মানুষদের কাছে শোনা যায় কোন এক আমাবস্যার রাতে জ্বীন ও পরীরা এই এলাকার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাটি পছন্দ করে থাকে ৷ তারপর তারা মাটিতে নেমে এসে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করে দেয় কিন্তু গম্বুজ তৈরির আগেই ভোর হয়ে যায় যার জন্য তারা কাজ অসম্পূর্ণ রেখে চলে যায় ৷
তারপর জানা যায় ভারতের মেহের বকস চৌধুরী উনবিংশ শতাব্দীতে ঠাকুরগাঁও আসে ব্যবসা বাণিজ্য করতে তারপর তিনি দেখেন এই মসজিদ কিছু কাজ বাকি রয়েছে সে এই মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা তৈরি করেন ৷ মেহের বকস স্থানীয় কারিগরের সহায়তায় পুনরায় মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় কারিগরগণ মসজিদের গম্বুজ নির্মাণে ব্যর্থ হন । ১৯১০ সালে মেহের বকস চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।
মেহের বকস এর ছোট ভাই কয়েকবছর পর পুনরায় এই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন ৷ কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই তিনিও মৃত্যুবরণ করেন ৷ যার কারনে মসজিদ টি ১০০ বছর গম্বুজ ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকে ৷ তারপর মেহের বকস এর কন্যা এই মসজিদের পুনরায় সংস্কার কাজ শুরু করে দেন এবং ঐতিহাসিক নকশায় নতুন ভাবে গম্বুজ নির্মাণ করা হয় ৷
এক রাতে কাল্পনিক ভাবে তৈরি হওয়া জ্বীনের মসজিদ টি আসলেই অনেক সুন্দর ভাবে নকশা দিয়ে তৈরি করেছিল যা এখনো ইতিহাস হয়ে রয়েছে ৷ প্রতিনিয়ত মানুষের ভিড় হয় এই জ্বীনের মসজিদ দেখার জন্য ৷
তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই রইলো ৷ আর আমার লেখা টি কেমন ছিল তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন ৷ সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি ৷ ভালো থাকবেন সবাই ৷
The essence of my writing is Visiting the Mosque of Jinn. |
---|
I am a Bengali and my mother tongue is Bengali. I don't know English very well. So I always prefer to write in Bengali for convenience of Bengali language. I hope you will like my mother tongue Bengali writing very much. Thank you all.. |
---|
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
জীনের মসজিদ সম্পর্কে শুনেছি তবে কখন যাওয়া হয় নি। শুনেছি মসজিদটি অনেক সুন্দর। আপনি খুব সুন্দর করে মসজিদের নির্মান ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন যা আমি আগে জানতাম না। আপনার আলোচনা পড়ে যাওয়ার আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
এই মসজিদ আপনার চোখ দিয়ে দেখে মন ভরে গেল। এর ইতিহাস ও খুব সুন্দর ভাবে বর্ননা করার জন্য পোষ্টি খুবই উতকৃস্ট মানের হয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি ফাটাফাটি। আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ দাদা
মসজিদটা জীন বা মানুষ যে-ই তৈরি করে থাকুক না কেন দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।আসলে সারা দেশে এমন বেশ কিছু মসজিদ আছে যেগুলো জীনের মসজিদ নামে পরিচিত।
এত সুন্দর একটা লেখা উপপহার দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
Supported by @muzack1
Thank you so much dear 🙏🌺
জ্বিনের মসজিদের গল্প আমি এর আগে শুনেছি,,কিন্তু আমি যেই গল্পটি শুনেছিলাম তার সাথে মিল পেলাম না।।
আমি যেই গল্পটি জানি সেখানে বলা হয়েছিল যে,,জ্বিন যেন মসজিদটি তৈরি করে ফেলতে পারতো তাহলে কারও একজনের ক্ষতি হতো তাই,গ্রামের মানুষেরা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোরের অনেক আগেই আশেপাশের মসজিদে আযান দিয়েছিল,,আর জ্বিনও তখন মসজিদ তৈরির কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
যাইহোক এই মসজিদটি কখনো দেখা হয়নি,,তবে আজকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পারলাম,, চোখ জুরিয়ে যাওয়ার মতো একটি মসজিদ।।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
Welcome.
মসজিদটি দেখতে ভীষণ সুন্দর। তবে নাম শুনেই কেমন ভয় ভয় লাগছিলো। আপনাকে ধন্যবাদ এই মসজিদটির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যে।
ধন্যবাদ ভাই
জ্বীনের মসজিদ নামটা আমি অনেকবার শুনেছি। আমার জামা খুব ইচ্ছা কারো নামটা একটু অদ্ভুত।। আপনি খুবই চমৎকারভাবে মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন খুবই ভালো লাগলো সেগুলো জানে।।
Tnx
আপনার উঠানো মসজিদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সেখানে ভ্রমণ করার ইচ্ছে জেগেছে। দেখি আগামী কিছুদিনের মধ্যে ঠাকুরগাঁও ভ্রমণ করব এবং এই মসজিদটি পরিদর্শন করে আসবো ইনশাআল্লাহ।