হিংসার আগুনে নিভে যায় মানবতা//by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- হিংসার আগুনে নিভে যায় মানবতা
- ২১, আগস্ট ,২০২৫
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি "হিংসার আগুনে নিভে যায় মানবতা" শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
মানবতা হলো মানুষের সেই স্বভাবগত গুণ, যা মানুষকে করুণা, সহানুভূতি, দয়া ও সদ্ভাবের পথে পরিচালিত করে। কিন্তু যখন মানুষের মনে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে, তখন এই মানবিক মূল্যবোধ ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে। হিংসা শুধু শারীরিক আগ্রাসন নয়; এটি মানসিক ক্ষোভ, দোষারোপ ও প্রতিশোধের রূপ নিয়েও সমাজে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে মানুষ মানবিকতা ভুলে গিয়ে পরিণত হয় নিষ্ঠুর ও নির্মম সত্তায়।
হিংসার মূল জন্ম হয় মানুষের অন্তরেই—লোভ, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা দখল বা মতাদর্শগত দম্ভের কারণে মানুষের বিবেক আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। যখন কেউ নিজেকে সর্বোচ্চ ভাবতে থাকে, তখন অন্যের অস্তিত্বকে হুমকি হিসেবে দেখে। এই মানসিক দাসত্বই তাকে হিংসার পথে ঠেলে দেয়। এর ফলে মানুষ নিজের মানবিক সত্তাকে হত্যা করে রূপ নেয় হিংস্র প্রাণীতে।
মানবতা তখনই ঝুঁকিতে পড়ে যখন সমাজে সংলাপের পরিবর্তে সংঘাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ধর্ম, রাজনীতি বা জাতিগত বিভেদের নামে যখন মানুষ মানুষকে আঘাত করে, তখন বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানবিক মূল্যবোধ। একে অপরের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সমাজে তৈরি হয় ভীতি ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ, যা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে ধ্বংস করে দেয়।
হিংসার মারাত্মক দিক হলো এটি শুধু যে মানুষের দেহকে আঘাত করে তা নয়; এটি মানুষের চেতনাকেও পঙ্গু করে দেয়। একটি শিশু যখন দেখে তার চারপাশে রক্তপাত আর সংঘর্ষ, তখন তার মনে মানবতার বদলে ঘৃণার বীজ বপন হয়। ফলে আগামী প্রজন্মও হিংসার উত্তরাধিকার বহন করে বেড়ে ওঠে, যা একটি জাতির সভ্যতাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
হিংসা কখনো স্থায়ী সমাধান আনতে পারে না। এটি সাময়িকভাবে শক্তি প্রদর্শনের বাহ্যিক সাফল্য দিলেও ভিতরের শান্তি কেড়ে নেয়। ইতিহাস সাক্ষী যে, হিংসা দিয়ে কখনো টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। বরং সংলাপ, ক্ষমা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই দীর্ঘমেয়াদে সমাধানের পথ উন্মুক্ত করেছে। যেখানে হিংসার দহন, সেখানে মানবতার প্রদীপ জ্বালিয়ে শান্তি আনা সম্ভব নয়।
মানবতাকে রক্ষা করতে হলে হিংসা দমনের পাশাপাশি মানুষের অন্তর্গত মানসিক উন্নয়ন প্রয়োজন। শিক্ষা, নৈতিক চর্চা, সহমর্মিতার বিকাশ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হিংসার মূল কারণ দূর করা যায়। সমাজ যদি প্রতিটি মানুষের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, তবে সেই সমাজে হিংসার আগুন জ্বলে উঠার সুযোগ কমে যায়।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।





খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই, কিন্তু কথা হলো নীতি কথা আমরা পড়তে ভালোবাসি বাস্তবে কার্যকর করার জন্য না, হি হি হি।
https://x.com/mahmudrr_r/status/1980894182878404764?t=g5SSnKtzvGK29qT0LSqyRA&s=19
https://x.com/mahmudrr_r/status/1980894521073504740?t=YJSKf6Wb9GTwneJiqVw90A&s=19