গল্প, আড্ডা আর প্ল্যানিং
নমস্কার,,
ছেলেটার নাম তানজিম। ভার্সিটি লাইফ থেকে আমাদের পরিচয় এবং বন্ধুত্বের শুরু। তানজিমকে নিয়ে এক কথায় যদি বলতে হয় তাহলে বলবো ভীষণ সহজ সরল এবং শান্ত প্রকৃতির একটা ছেলে। আবার আইটি সংক্রান্ত যেকোন ব্যাপারে ভীষণ এক্সপার্ট। অনেক আগে থেকেই আমার যত প্রকার জোড় জুলুম আছে সব অনায়াসে তানজিমের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার একটা স্বভাব আছে। আর তানজিম ও হাসিমুখে সব প্যারা মেনে নেয় 😉। যে কথাটা না বললেই নয়, এই ছেলেটা না থাকলে আমি হয়তো কখনো থিসিস টপকে যেতে পারতাম না। ফাইনাল সেমিস্টারে এসে মোটামুটি একাই থিসিস এর চাপ নিয়ে সব কাজ করেছে। আমি মজা করে শুধু প্রেজেন্টেশন দিয়ে উদ্ধার পেয়েছি 😅।
মোটামুটি আগে থেকেই কথা বলা ছিল গতকাল আমরা দেখা করব। তানজিম বুয়েট হলে থাকে। সেখানে এম এস করছে। আর এমনিতে ওই দিকে যেতে আমার বেশ ভালো লাগে। ভার্সিটির চত্বরটা এবং রাস্তার চারপাশ দিয়ে দারুন একটা পরিবেশ থাকে সবসময়। অন্য আরেকটা কারণ হলো বুয়েটের ডাইনিং এ মোটামুটি কম খরচে বেশ ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়। দুপুর বেলার খাওয়াটা বেশ জমিয়ে করি যেদিন ওই দিকে যাই। তবে বিরক্তির ব্যাপার একটাই কাজ করে সেটা হল ধানমন্ডি আর নিউমার্কেটের সেই অকল্পনীয় জ্যাম।
দুপুরের একটু আগেই পৌঁছে গেছিলাম। ঐ হলে গেলে টেবিল টেনিসের রুমটা বেশ ডাকে আমাকে। যদিও খেলতে পারি না, তবুও কিছুটা সময় বেশ মজা করে কাটানো যায়। কাছের বন্ধু গুলোকে পাশে পেলে আড্ডা জমে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। তানজিমের সাথে আমারও বেশ গল্প আড্ডা জমে উঠেছিল। সত্যি বলতে শুধু গল্প করার জন্যই সেখানে যাই নি। তার সাথে আরও কিছু কাজ ছিল যেটা আমি একা করে উঠতে পারছিলাম না সেগুলো তানজিমকে সাথে নিয়ে করেছি। আর পরবর্তীতে কি ধরনের কাজ করতে হবে সেটা নিয়েও একটা প্ল্যান বানিয়ে রাখলাম।
দুপুরের গল্প আড্ডা খাওয়া-দাওয়ার পর রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। তারপর সন্ধ্যের পরে রওনা দিলাম। ঢাকা শহরের সন্ধ্যাবেলা কেমন জ্যাম হয় এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে ফেরার সময় আমার কপালটা বোধহয় একটু ভাল ছিল। মোটামুটি ৪০ মিনিটের ভেতরেই বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।
এখানেই শেষ করছি আজ। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।





ভাইয়া আপনি নিঃস্বার্থ একজন বন্ধু পেয়েছেন ।যে আপনার সকল সমস্যায় ঝাপিয়ে পড়ে সাহায্য করে এরকম একজন বন্ধু পেলে সত্যি কি আর লাগে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনার দুজনে আপনার লেখা থেকে বুঝতে পারলাম । আর রাতের ঢাকা শহরের জ্যামের ছবিটি কিন্তু দেখতে বেশ ভালই লাগছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
এই মানুষ গুলো সবসময় আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে আপু। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ থাকব সারা জীবন ।
আর ঢাকা শহরে জ্যামে বসে থাকতে বিরক্ত লাগলেও, রাতের বেলা ফ্লাই ওভারে দাড়িয়ে গাড়ীর লাইন গুলো সত্যিই খুব ভালো লাগে দেখতে 😊
ভাইয়া আপনি তানজিমের মতো অসাধারণ একজন বন্ধু পেয়েছেন। বন্ধু অনেকেই হয় তবে তানজিমের তো সকল প্যারা নেবার মতো বন্ধু কজন পাওয়া যায়।আপনি ঠিক বলেছেন কাছের বন্ধু গুলো পেলে গল্প আড্ডায় মেতে উঠা স্বাভাবিক। দু বন্ধু মিলে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর রাতে ঢাকার শহরের রাস্তায় জ্যামে দেখতে বেশ লাগছিল। যাইহোক আপনার কপাল ভালো যে আপনি ৪০ মিনিটে বাসায় আসতে পেরেছেন।
এটা ভালো বলেছেন এখনকার দিনে সবাই প্যারা নিতে চায় না। এরকম এক জনকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া এক দিক থেকে ভাগ্যের ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাল কেটেছে বন্ধুর সাথে আজ আপনার । আরো ভাল কাটুক আগামি। প্লান গুলো বাস্তবায়িত হোক। তানজিম ও আপনার জন্য শুভ কামনা।
দোয়া করবেন আপু আমাদের জন্য। দুজনই যেন সফল হতে পারি। অনেক ভালো থাকবেন।
এরকম একজন বন্ধু পেলে জীবনে আর কি লাগে। যার উপর দিয়ে সব ঝড় ঝাপটা পার করে নেয়া যায়। আপনি খুব ভাগ্যবান না হলে এত ভালো বন্ধু এখনকার যুগে পাওয়া মুশকিল। আশা করি ভবিষ্যতের প্লান পরিকল্পনা দুই বন্ধু মিলে খুব ভালো মতো করেছেন । আর পুরনো ক্যাম্পাসে গেলে তো অন্যরকম আনন্দ থাকেই। ভালো লাগলো দেখে।
এই একটা দিক থেকে আমি সত্যিই ভাগ্যবান আপু, দিনশেষে ভালো মানুষ গুলোকেই আমি পাশে পেয়েছি সব সময়। নোংরা আবর্জনা গুলো আপনা আপনিই চলে যায়। দোয়া করবেন আপু। আর সব সময় পাশে থাকবেন।
আমার কলেজ লাইফেও তানজিমের মত একটা বন্ধু ছিল। মাঝে মাঝে তাকে প্রচুর প্যারা দিতাম, বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট এবং নিজের কাজের জন্য তারপরও সে হাসি মুখে মেনে নেয়। আসলে এরকম বন্ধুদের জন্যই কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্কটা এতো মধুর। তবে ভাই আমি কিন্তু মোটামুটি টেবিল টেনিস খেলতে পারি, একদিন আপনার সাথে অবশ্যই খেলব।।
এটা একটা সুন্দর কথা বলেছেন ভাই। বন্ধু সবাই হতে পারে না। আর যে হতে পারে সে হৃদয়ে জায়গা করে নেয় একদম। আর ভাই আপনি আমার সাথে খেলতে নিলে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাবেন। দুই বার ব্যাট চালাতেই উল্টে যাব পুরো 😉।
বাহ আপনাদের বন্ধু তো দেখে তো ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি তো এক কথায় নিঃস্বার্থ একজন বন্ধু পেলেন। আপনার বন্ধুর কথাগুলো শুনে ভীষণ ভালোই লাগলো। এরকম বন্ধু হলে সত্যিই জীবনে যে কোন বিপদ আপদ হলেও অসুবিধা নাই। দুজনে বেশ ভালোই কাটিয়েছেন। দুজনকে দেখতেও ভীষণ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু আপনাদের দোয়াতে অনেক ভালো মনের কিছু মানুষকে পাশে পেয়েছি সব সময়। আর এই মানুষ গুলোর জন্যই হয়তো ভালো আছি এবং বেচেঁ আছি। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনি তাহলে ভালই একজন ফ্রেন্ড পেলেন। ভাল ফ্রেন্ড পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার ভাগ্য ভাল এমন একজন ফ্রেন্ড পেয়েছেন যার উপর থিসিসের চাপ চাপিয়ে দিতে পারেন। আর টেবিল টেনিসের রুমটা দেখলাম। এই টেবিল টেনিস কখনো খেলি নাই। অবশ্য খেলার ইচ্ছাও নাই। যায়হোক আসার সময় জ্যামে পড়েন নি, ভাগ্য ভাল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বন্ধু পাওয়ার দিক থেকে আমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান ভাই। আর একবার টেবিল টেনিস খেলে দেখবেন ,, বেশ মজা লাগবে। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।