জেনারেল রাইটিং পোস্ট ||| অতিরিক্ত তাড়াহুরায় কোনো কাজ ভালো না ||| original writing by @saymaakter
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা প্রত্যাশা করছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

source
বরাবরের মতো আবারও হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি জেনারেল রাইটিং "অতিরিক্ত তাড়াহুরায় কোনো কাজ ভালো না"।
ডিসেম্বর মাস আসতে না আসতে প্রত্যেকটা পরিবারের যদি ছোট বাচ্চা থেকে থাকে তাদের পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে যায়। বছরের শেষ পরীক্ষা নিয়ে এতোটা দুশ্চিন্তা প্রত্যেকটি অভিভাবকের। শুধু আমার বাচ্চারা আছে এজন্যই বলছি না। প্রতিটি অভিভাবকের মুখে স্কুলে গেলে একই কথা। কি করবে বাচ্চারা পরীক্ষায়, কখন পরীক্ষা শেষ হবে, পরীক্ষা শেষ করে একটু বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে যাবে, বিনোদন বা আনন্দ উল্লাস করবে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে।
শীত চলে এসেছে কত রকমের পিঠাপুলির আয়োজন মায়ের বাড়িতে নিয়ে সন্তানদের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো অভিভাবকদের কত রকমের স্বপ্ন মনের ভেতরে থাকে এই ডিসেম্বর মাস আসলেই।কিন্তু স্বপ্ন তো মনের মধ্যে থাকে তার আগে যেটা সব সময় দুশ্চিন্তা থাকে পরীক্ষার চিন্তা নিয়ে। আমারও ঠিক তাই হয়েছে। ২৭ তারিখ থেকে আমার ছেলের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রীতিমতো একটু ব্যস্ত আছি এবং তার পিছনেও সময় দেওয়া লাগছে।
আমরা যতই কোচিং প্রাইভেট পড়াই না কেন যদি অভিভাবকরা সন্তানকে ঠিকভাবে টেককেয়ার না করে তাহলে সে সন্তানের সামনের দিকে আগানো অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাইতো চেষ্টা করি বাচ্চার পড়াগুলো সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে বসে কমপ্লিট করে দেওয়ার জন্য।আজ পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেক ব্যস্ত ও তাড়াহুড়া করছিলাম। প্রতিদিনই সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যস্ত থাকতে হয় কারণ বাচ্চাদের স্কুল অনেক সকালে তাদের টিফিন এবং সকলের নাস্তা এগুলো সব করে দিতে হয়।
আজও তেমনটি হচ্ছিল। বাচ্চার এক্সাম এর জন্য আলাদা ব্যাগ। আবার কোচিংদের জন্য আলাদা ব্যাগ দুটো গুছিয়ে রেখেছিলাম। সময় ছিল না অনেক তাড়াহুড়ো করছিল আমার ছেলে । বারবার বলছিল সাতটার দিকে স্কুলের গেট লাগিয়ে দেবে আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে হবে।এরপর টিফিন এবং বাচ্চাকে নাস্তা খাওয়াইয়ে স্কুলে নিয়ে গেলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এক্সামের জন্য যে ব্যাগটি গুছিয়ে রেখেছিলাম সেই ব্যাগটি ভুলে বাসায় রেখে গেছি।কিছু পথ যেতে না যেতে হঠাৎ করে ছেলে বলে উঠলো একটি ব্যাগ কেন আরেকটি ব্যাগ বাসায় ভুল করে রেখে আসছি।
সঙ্গে সঙ্গে বেক করে আবার চলে এলাম। বাসায় এসে ব্যাগটি নিয়ে আবার স্কুলের দিকে রওনা হলাম। স্কুলে গিয়ে দেখি স্কুল গেট লাগানো হয়েছে তারপর অনেক রিকোয়েস্ট করে আজকের ঘটনাটি বলে ছেলেকে স্কুলের ভেতরে ঢুকিয়ে দিলাম। এখান থেকে আমরা অনেক কিছু বুঝতে পারি যে আসলে তাড়াহুড়ার কোন কাজ ভালো কিছু বইয়ে আনে না বরং ক্ষতি করে। তাই যে কোন কাজ করতে গেলে ধিরস্থির ভাবে মাথা ঠান্ডা করে কাজ করতে হয়। কোন কাজই তাড়াহুড়ায় ভালো হয় না।
আজ যাচ্ছি অন্য কোনদিন আবারো হাজির হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩



