জেনারেল রাইটিং পোস্ট ||| হঠাৎ পেরেশানি ||| original writing by @saymaakter
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি । তবে অনেকটা কষ্ট ও পেরেশানিতে আছি। কখন কার কি হবে আমরা কেউ বলতে পারি না। তবে বিপদ যে কারো বলে কয়ে আসে না এটা একদম ঠিক।
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে আরেকটি ব্লগ নিয়ে।আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব অনুভূতি মূলক পোস্ট "হঠাৎ পেরেশানি" ইতিমধ্যেই আপনারা অবগত আছেন যে আমাদের একটি ছোট্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে এবং সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে অনেক কাজ করতে হয় আমাদের। আমি মনে করি কোন কাজ ছোট না। প্রতিটি মানুষকে উপরে উঠতে গেলে তাকে শূন্য থেকেই উপরে উঠতে হয় আর যারাহঠাৎ করেই গাছের আগালে পৌঁছে যায় ।তারা হঠাৎ করে যে কোন মুহূর্তে সেই গাছের আগাল ভেঙে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তবে চেষ্টা করছি টুকটুক করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে একটু একটু করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় মনে হয় সেটাই একটু একটু সম্ভব হচ্ছে। সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের বেশ কিছু প্রোডাকশনের অর্ডার হয়েছে। ইনশাল্লাহ এই কাজগুলো প্রতিবারই আমরা সুন্দরভাবে করার সক্ষ্যম হই।এবারও ঈদের আগেই চলে এসেছে অনেক কাজ। মোটামুটি ব্যস্ততায় পার করছি দিনগুলো। আজ যখন থ্রি পিস পাঞ্জাবি ফতুয়ার কিছু কাপড় অনেক কাজ বাসায় আসছিল ।তখন সেই কর্মীকে ফোন দিলে সে বলল প্রচন্ড অসুস্থ। তারপর সেই কর্মীর বাসায় গিয়ে দেখি কর্মীর বাচ্চাটি প্রচন্ড অসুস্থ। এবং সে নিজেও অসুস্থ। মোটকথা বিছানা থেকে তারা উঠতে পারছে না।

কিন্তু আমার তো এই কাজগুলো করতেই হবে এবং সেই কাজগুলো অন্য জায়গায় পরের দিন দিতে হবে। এমতাবস্থায় তার অসুস্থতা এবং বাচ্চার অসুস্থতা দেখেও খুব খারাপ লাগলো। কারণ মানুষ মানুষের জন্য একজন আরেকজনের অসুস্থতায় যদি সহানুভূতি না দেখাই তাহলে কিসের মানুষ।তারপর বাসায় ফিরে এলাম কর্মীও আমার প্রতিষ্ঠানে আসতে পারবে না বলল ৪/৫ দিন।তখন করার আর কিছুই নেই। শুরু করে দিলাম সমস্ত কাজ নিজেই। কোনরকমে আলু ভর্তা, ভাত খেয়ে কাজ শুরু করেছি।তারপর সবগুলো কাজ নিয়ে বসে পড়লাম ট্রেসিং দিয়ে ছাপ দেওয়া।

আসলে নিজের কাজ নিজে করার মধ্যেও অন্যরকম একটি শান্তি কাজ করছিল কিন্তু হঠাৎ পেরেশানিতে পড়ে গেলাম এতগুলো কাজ কখনো করা হয়নি।কিন্তু কাজগুলো আমাকে একদিনের ভিতর কমপ্লিট করতে হবে তাই নিজেই সব কাজ করে নিলাম। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলেন যে কোন কিছুই বলেন নিজের কাজ নিজেকে অনেক সময় করতে হয়। আমার সেই কর্মী বোনটি যদি অসুস্থ না থাকতো তাহলে হয়তো এ কাজগুলো সেই করত। কিন্তু তার এই অবস্থা দেখে কাজগুলো আমাকে করতে হলো। কাজ কমপ্লিট করেই লিখতে বসলাম আমার পেরেশানির অনুভূতি।
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই অন্য দিন অন্য কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩




