বিচার না করে শোনার অভ্যাস

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg


আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আগে একটা সময় ছিল, যখন আমরা কোনো প্রিয়জনকে কিংবা কাছের মানুষকে নিজের কষ্টগুলো বলতাম বা শেয়ার করতাম, তখন তারা আমাদের এই কষ্টে একইভাবে কষ্ট পেত। তারা আসলে অনেক কিছু না ভেবেই, না বিচার করেই আমাদের কথা শোনার চেষ্টা করত। অর্থাৎ, তারা সত্যিকার অর্থেই একজন ভালো শ্রোতা ছিল।

কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতির সাথে যদি আমি এসব ব্যাপার মেলাতে যাই, তাহলে অনেক কিছুই আর যেন মেলাতে পারি না। বিশেষ করে, অনেক মানুষকে যেন চোখের সামনেই বদলে যেতে দেখি। আমাদের সমাজকেও চোখের সামনে বদলে যেতে দেখছি। আর এর একটি বড় দিক হলো বিচার না করে শোনার অভ্যাস হারিয়ে যাওয়া।

আমার সাথে যদি কেউ কোনো কিছু শেয়ার করে, তাহলে আমার প্রথম কাজ হওয়া উচিত তাকে না বিচার করে, তার কষ্টটা একটু ভালোভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা করা। কারণ, সে আমার সাথে যে কষ্টটি শেয়ার করছে, সেটা হতে পারে আমার কাছে তেমন কিছু না। কিংবা আমি সেই ব্যাপারটির সাথে অভ্যস্ত। কিন্তু আমি যেহেতু সেই অভ্যস্ততা অর্জন করেছি, তা মানে এই নয় যে তাকেও সেই অভ্যস্ততা থাকতে হবে। অর্থাৎ, আমার কাছে যেটা ভালো লাগার, সেটা অন্যের কাছে খারাপ লাগার হতে পারে।

আবার, আমার কাছে যেটা খারাপ লাগার, সেটা অন্যের কাছে ভালো লাগারও হতে পারে। তাই আসলে জাজমেন্টাল হওয়াটা আমাদের বন্ধ করা উচিত। কারণ, আমরা প্রায়ই কোনো মানুষের কথা শোনার আগেই তাকে বিচার করে ফেলি। আর সেটা আমরা অনেক সময় আমাদের মনোভাব, অঙ্গভঙ্গি কিংবা কথাবার্তার মাধ্যমেই প্রকাশ করে ফেলি।

আর ঠিক এই কারণেই, বর্তমানে আমরা কারো সাথে কিছু শেয়ার করতে অনেক বেশি ভয় পাই। কারণ, ওই যে বিচার করার প্রবণতা, সেটা আমাদের মধ্যে ভীষণভাবে বেড়ে গেছে।

তাই, আমার মনে হয়, কাউকে বিচার না করে বরং তার দৃষ্টিভঙ্গি বুঝে নেওয়া অনেক বেশি জরুরি। তার কষ্টটা মন দিয়ে শোনা অনেক জরুরি। কারণ, আমাকে কিন্তু সে বিচার করার অধিকার দেয়নি। সে আমাকে একজন ভালো বন্ধু ভেবে তার কষ্টগুলো শেয়ার করছে। আমাদের উচিত ততটুকুতেই থাকা, যতটুকু সে আমাদের পাশে চেয়েছে।

ABB.gif