ব্লাড ক্যান্সার মানেই মরণব্যাধি নয়।।
আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেব রক্তের ক্যানসার কী এবং এর উপসর্গগুলোই বা কী কী।
রক্তের ক্যানসার ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন পপুলার ডায়াগনস্টিকের হেমাটোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা. আব্দুল হাই।

Source
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা. আব্দুল হাই বলেন, ক্যানসার যাদের অ্যাকিউট হয়, তাদের ডিউরেশন খুব কম থাকে। কী হয়, হাই ফিভার, ফিভার থাকে। বাচ্চাদের যদি হয়, তাহলে গ্ল্যান্ড ফুলে যেতে পারে। রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। শরীর-মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। দুর্বল হয়ে যায়। কাজ করতে পারে না। অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ব্লিডিং শুরু হয়ে যায়। ব্রিথ রেট কাউন্ট কমে যায়। সাধারণত জ্বর, দুর্বলতা এবং শরীরের কোথাও গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া; এসব কারণগুলোই সাধারণত বেশি দেখা যায়। যদি বাচ্চা হয়, সে বলতে পারবে না। কিন্তু তার মা-বাবা দেখতে পাবে জ্বর হচ্ছে, খাওয়াদাওয়ার প্রতি অনীহা, বমি করছে, ঘুম হচ্ছে না, অবসাদ; এ ধরনের কারণগুলো হয়।
কী ধরনের ডায়াগনসিসের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায় একজন ব্যক্তি ক্যানসারে আক্রান্ত?
এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা. আব্দুল হাই বলেন, আমাদের প্রথমেই ব্লাড টেস্ট করতে হবে। সিম্পল ব্লাড টেস্ট। যেটাকে আমরা বলি সিবিসি বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট। একটা সিবিসি যদি করা হয়, অভিজ্ঞ হেমাটোলজিস্ট যদি দেখেন, ওটা দেখে উনি বলতে পারবেন কী হয়েছে। মোটামুটি একটা আইডিয়ায় চলে যেতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা বোন-ম্যারো টেস্ট করি, আমরা জিন অ্যানালাইসিস করি, ইমিউনোসাইকোকেমিস্ট্রি করি বা অনেক টেস্ট করতে পারি।
ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা কত দিন বেঁচে থাকতে পারবেন?
এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা. আব্দুল হাই বলেন, এক সময় বলা হতো ক্যানসার হলে বাঁচা সম্ভব নয়। এখন যুগ পালটে গেছে। এখন আমাদের ট্রিটমেন্ট এমন অ্যাডভান্স স্টেজে চলে এসেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। বাংলাদেশেই সেটা হচ্ছে।
ধন্যবাদ
@kairinakter
.jpeg)
কপি পোস্ট করা বন্ধ করুন। আমাদের কমিউনিটি তে শুধুমাত্র আপনি আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ ঘটাতে পারেন। তাছাড়াও আপনি শুধুমাত্র আমাদের কমিউনিটি তে আপনার নিজস্ব কার্যক্রমগুলো শেয়ার করতে পারেন।
এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
https://discord.gg/RX86Cc4FnA