আমার ছোট্ট ভাগ্নের জন্য রক্ত নেওয়ার মুহূর্ত

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার ছোট্ট ভাগ্নের জন্য রক্ত নেওয়ার মুহূর্ত। আজকে খুব সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেছি তাই ভাবলাম আজকে সকাল সকাল আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করি। আপনারা সকলে জানেন কিছুদিন আগে আমি রাজশাহী মডেল হাসপাতালে আমার ছোট্ট দুই ভাগ্নিদের নিয়ে আমরা বেশ কিছুদিন ভর্তি ছিলাম। সেখানে কাটানো দিনগুলো ছিল আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক। আমার ভাগ্নেদের মূলত নিউমোনিয়ার এবং কাশিতে আক্রান্ত হইছিল শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছিল তাদের। আমারও প্রায় রাজশাহীতে আট দিন অবস্থান করেছিলাম। এরমধ্যে একদিন ডাক্তার আমাকে বলেছিল আমার একটা ভাগ্নের 60 ML রক্তের প্রয়োজন। তখনই আমি ডক্টরের কাছ থেকে আমার ভাগ্নের রক্তের গ্রুপ জেনে নিয়েছিলাম তারপরে আমার ভাগ্নের জন্য সেই রাতে রক্ত খুঁজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম এভাবেই ব্যস্ততম সময় কেটেছিল রাজশাহীতে।

আপনার উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই সুন্দরভাবে দুইটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমার ভাগ্নের রক্তের গ্রুপ ছিল এবি পজেটিভ। আসলে আমার অনেক বন্ধুবান্ধব রয়েছে রাজশাহীতে আমি তাদের কাছে ফোন দিয়েছিলাম মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমার এক বন্ধু আমার ভাগ্নেকে রক্ত দেওয়ার জন্য আমার কাছে চলে আসে। আসলে মানুষ মানুষের জন্য এতটা উপকার করতে পারে তাকে না দেখলে হয়তো বুঝতাম না সকাল সাতটার দিকে রক্ত দেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসে পৌঁছে ছিল। তারপরে রাজশাহী মডেল হাসপাতাল থেকে আমার ভাগ্নের রক্ত দেওয়ার জন্য ওইখান থেকে একটা পেপার সংগ্রহ করেছিলাম পরবর্তীতে আমরা রক্ত সংগ্রহ করার জন্য শাহ মখদুম ব্লাড ব্যাংকে উপস্থিত হয়েছিলাম। একটু ফরম পূরণ করার পরে রক্ত টানার কার্যক্রম শুরু করেছিল।

আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো খুবই সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে রাজশাহীতে আমার তেমন চেনা জানা নেই আসলে আমাদের বাসা থেকে রাজশাহী প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। যেহেতু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত নিতে গিয়েছিলাম শাহ মখদুম ব্লাড ব্যাংক জায়গাটি আমার চেনা ছিল না তারপরে আমি জায়গাটি গুগল ম্যাপ থেকে নির্ধারণ করে গুগল ম্যাপ ধরে রিক্সা নিয়ে চলে গিয়েছিলাম। আসলে আমার ভাগ্নেদের অবস্থা তখন খুবই খারাপ ছিল আমি কি করছি কি হচ্ছিল কিছুই আমার মাথায় ছিল না কয়েকদিন খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করেছিলাম। তারপরে আমি যখন শাহ মখদুম ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে পৌঁছেছিলাম বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো খুবই চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছি। ব্লাড ব্যাংকে পৌঁছানোর পরে আমরা সেখানে নির্ধারিত কার্যক্রম গুলো শেষ করার পরে বেশ কিছু সময় আমরা ব্লাড ব্যাংকে বসে ছিলাম রক্ত সংগ্রহ করার জন্য। যেহেতু অনেক অল্প বয়স্ক বাচ্চার রক্ত তাই খুবই ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ক্রস ম্যাচিং করা প্রয়োজন ছিল। সবগুলো পরীক্ষা করানোর পরে আমরা রক্ত শাহ মখদুম ব্লাড ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। আসলে মানুষ অসুস্থ না হলে বোঝা যায় না মানুষ কতটা অসহায় মানুষের কষ্ট দুঃখ দেখতে হলে হাসপাতালে কয়েকদিন নিজেকে অবস্থান করতে হবে তাহলে বোঝা যাবে মানুষ কতটা অসহায় হাসপাতালের বেডে। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে সকলকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।